গল্প
Stories
ছেলেটির যেমনি কথা ফুটল অমনি সে বললে, 'গল্প বলো।'
দিদিমা বলতে শুরু করলেন, 'এক রাজপুত্তুর, কোটালের পুত্তুর, সদাগরের পুত্তুর--'
আরো দেখুন
বিপ্লব
Verses
ডমরুতে নটরাজ বাজালেন তান্ডবে যে তাল
          ছিন্ন করে দিল তার ছন্দ তব ঝংকৃত কিঙ্কিণী
                   হে নর্তিনী,
          বেণীর বন্ধনমুক্ত উৎক্ষিপ্ত তোমার কেশজাল
                   ঝঞ্ঝার বাতাসে
               উচ্ছৃঙ্খল উদ্দাম উচ্ছ্বাসে;
বিদীর্ণ বিদ্যুৎঘাতে তোমার বিহ্বল বিভাবরী
                   হে সুন্দরী।
     সীমন্তের সিঁথি তব, প্রবালে খচিত কণ্ঠহার--
অন্ধকারে মগ্ন হল চৌদিকে বিক্ষিপ্ত অলংকার।
                   আভরণশূন্য রূপ
               বোবা হয়ে আছে করি চুপ।
                   ভীষণ রিক্ততা তার
উৎসুক চক্ষুর 'পরে হানিছে আঘাত অবজ্ঞার।
     নিষ্ঠুর নৃত্যের ছন্দে মুগ্ধ হস্তে-গাঁথা পুষ্পমালা
          বিস্রস্ত দলিত দলে বিকীর্ণ করিছে রঙ্গশালা।
               মোহমদে ফেনায়িত কানায় কানায়
                   যে পাত্রখানায়
               মুক্ত হত রসের প্লাবন
মত্ততার শেষ পালা আজি সে করিল উদ্‌যাপন।
          যে অভিসারের পথে চেলাঞ্চলখানি
                   নিতে টানি
          কম্পিত প্রদীপশিখা-'পরে
     তার চিহ্ন পদপাতে লুপ্ত করি দিলে চিরতরে;
          প্রান্তে তার ব্যর্থ বাঁশিরবে
     প্রতীক্ষিত প্রত্যাশার বেদনা যে উপেক্ষিত হবে।
এ নহে তো ঔদাসীন্য, নহে ক্লান্তি, নহে বিস্মরণ,
     ক্রুদ্ধ এ বিতৃষ্ণা তব মাধুর্যের প্রচন্ড মরণ,
                   তোমার কটাক্ষ
          দেয় তারই হিংস্র সাক্ষ্য
                        ঝলকে ঝলকে
                             পলকে পলকে,
                        বঙ্কিম নির্মম
                   মর্মভেদী তরবারি-সম।
             তবে তাই হোক,
     ফুৎকারে নিবায়ে দাও অতীতের অন্তিম আলোক।
চাহিব না ক্ষমা তব, করিব না দুর্বল বিনতি,
     পরুষ মরুর পথে হোক মোর অন্তহীন গতি,
          অবজ্ঞা করিয়া পিপাসারে,
     দলিয়া চরণতলে ক্রূর বালুকারে।
          মাঝে মাঝে কটুস্বাদ দুখে
তীব্র রস দিতে ঢালি রজনীর অনিদ্র কৌতুকে
               যবে তুমি ছিলে রহঃসখী।
প্রেমেরি সে দানখানি, সে যেন কেতকী
          রক্তরেখা এঁকে গায়ে
রক্তস্রোতে মধুগন্ধ দিয়েছে মিশায়ে।
     আজ তব নিঃশব্দ নীরস হাস্যবাণ
          আমার ব্যথার কেন্দ্র করিছে সন্ধান।
               সেই লক্ষ্য তব
          কিছুতেই মেনে নাহি লব,
     বক্ষ মোর এড়ায়ে সে যাবে শূন্যতলে,
          যেখানে উল্কার আলো জ্বলে
               ক্ষণিক বর্ষণে
                   অশুভ দর্শনে।
     বেহে ওঠে ডঙ্কা, শঙ্কা শিহরায় নিশীথগগনে--
হে নির্দয়া, কী সংকেত বিচ্ছুরিল স্খলিত কঙ্কণে।
আরো দেখুন
নিশীথে
Stories
'ডাক্তার! ডাক্তার!'
জ্বালাতন করিল! এই অর্ধেক রাত্রে--
আরো দেখুন
চোখের বালি
Novels
বিনোদিনীর মাতা হরিমতি মহেন্দ্রের মাতা রাজলক্ষ্মীর কাছে আসিয়া ধন্না দিয়া পড়িল। দুইজনেই এক গ্রামের মেয়ে, বাল্যকালে একত্রে খেলা করিয়াছেন।
রাজলক্ষ্মী মহেন্দ্রকে ধরিয়া পড়িলেন, "বাবা মহিন, গরিবের মেয়েটিকে উদ্ধার করিতে হইবে। শুনিয়াছি মেয়েটি বড়ো সুন্দরী, আবার মেমের কাছে পড়াশুনাও করিয়াছে-- তোদের আজকালকার পছন্দর সঙ্গে মিলিবে।"
"চরণতরণী দে মা, তারিণী তারা।'
আরো দেখুন
খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন
Stories
রাইচরণ যখন বাবুদের বাড়ি প্রথম চাকরি করিতে আসে তখন তাহার বয়স বারো। যশোহর জিলায় বাড়ি, লম্বা চুল, বড়ো বড়ো চোখ, শ্যামচিক্কণ ছিপ্‌ছিপে বালক। জাতিতে কায়স্থ। তাহার প্রভুরাও কায়স্থ। বাবুদের এক-বৎসর-বয়স্ক একটি শিশুর রক্ষণ ও পালন-কার্যে সহায়তা করা তাহার প্রধান কর্তব্য ছিল।
সেই শিশুটি কালক্রমে রাইচরণের কক্ষ ছাড়িয়া স্কুলে, স্কুল ছাড়িয়া কলেজে, অবশেষে কলেজ ছাড়িয়া মুন্‌সেফিতে প্রবেশ করিয়াছে। রাইচরণ এখনো তাঁহার ভৃত্য।
আরো দেখুন
পরিশিষ্ট
Stories
(ছোটো গল্প)
সাহিত্যে বড়ো গল্প ব'লে যে-সব প্রগল্‌ভ বাণীবাহন দেখা যায় তারা প্রাক্‌ভূতাত্ত্বিক যুগের প্রাণীদের মতো-- তাদের প্রাণের পরিমাণ যত দেহের পরিমাণ তার চার গুণ, তাদের লেজটা কলেবরের অত্যুক্তি।
আরো দেখুন
মণিহারা
Stories
সেই জীর্ণপ্রায় বাঁধাঘাটের ধারে আমার বোট লাগানো ছিল। তখন সূর্য অস্ত গিয়াছে।
বোটের ছাদের উপরে মাঝি নমাজ পড়িতেছে। পশ্চিমের জ্বলন্ত আকাশপটে তাহার নীরব উপাসনা ক্ষণে ক্ষণে ছবির মতো আঁকা পড়িতেছিল। স্থির রেখাহীন নদীর জলের উপর ভাষাতীত অসংখ্য বর্ণচ্ছটা দেখিতে দেখিতে ফিকা হইতে গাঢ় লেখায়, সোনার রঙ হইতে ইস্পাতের রঙে, এক আভা হইতে আর-এক আভায় মিলাইয়া আসিতেছিল।
আরো দেখুন
রাজপুত্তুর
Stories
রাজপুত্তুর চলেছে নিজের রাজ্য ছেড়ে, সাত রাজার রাজ্য পেরিয়ে, যে দেশে কোনো রাজার রাজ্য নেই সেই দেশে।
সে হল যে কালের কথা সে কালের আরম্ভও নেই, শেষও নেই।
আরো দেখুন
ভুল স্বর্গ
Stories
লোকটি নেহাত বেকার ছিল।
তার কোনো কাজ ছিল না, কেবল শখ ছিল নানা রকমের।
আরো দেখুন