ভুল স্বর্গ
Stories
লোকটি নেহাত বেকার ছিল।
তার কোনো কাজ ছিল না, কেবল শখ ছিল নানা রকমের।
আরো দেখুন
উপসংহার
Stories
ভোজরাজের দেশে যে মেয়েটি ভোরবেলাতে দেবমন্দিরে গান গাইতে যায় সে কুড়িয়ে-পাওয়া মেয়ে।
আচার্য বলেন, 'একদিন শেষরাত্রে আমার কানে একখানি সুর লাগল। তার পরে সেইদিন যখন সাজি নিয়ে পারুলবনে ফুল তুলতে গেছি তখন এই মেয়েটিকে ফুলগাছতলায় কুড়িয়ে পেলেম।'
আরো দেখুন
নিশীথে
Stories
'ডাক্তার! ডাক্তার!'
জ্বালাতন করিল! এই অর্ধেক রাত্রে--
আরো দেখুন
ইচ্ছাপূরণ
Stories
সুবলচন্দ্রের ছেলেটির নাম সুশীলচন্দ্র। কিন্তু সকল সময়ে নামের মতো মানুষটি হয় না। সেইজন্যই সুবলচন্দ্র কিছু দুর্বল ছিলেন এবং সুশীলচন্দ্র বড়ো শান্ত ছিলেন না।
ছেলেটি পাড়াসুদ্ধ লোককে অস্থির করিয়া বেড়াইত, সেইজন্য বাপ মাঝে মাঝে শাসন করিতে ছুটিতেন; কিন্তু বাপের পায়ে ছিল বাত, আর ছেলেটি হরিণের মতো দৌড়িতে পারিত; কাজেই কিল চড়-চাপড় সকল সময় ঠিক জায়গায় গিয়া পড়িত না। কিন্তু সুশীলচন্দ্র দৈবাৎ যেদিন ধরা পড়িতেন সেদিন তাঁহার আর রক্ষা থাকিত না।
আরো দেখুন
5
Verses
JOY FREED from the bond of earth's slumber
rushes into numberless leaves,
and dances in the air for a day.
আরো দেখুন
খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন
Stories
রাইচরণ যখন বাবুদের বাড়ি প্রথম চাকরি করিতে আসে তখন তাহার বয়স বারো। যশোহর জিলায় বাড়ি, লম্বা চুল, বড়ো বড়ো চোখ, শ্যামচিক্কণ ছিপ্‌ছিপে বালক। জাতিতে কায়স্থ। তাহার প্রভুরাও কায়স্থ। বাবুদের এক-বৎসর-বয়স্ক একটি শিশুর রক্ষণ ও পালন-কার্যে সহায়তা করা তাহার প্রধান কর্তব্য ছিল।
সেই শিশুটি কালক্রমে রাইচরণের কক্ষ ছাড়িয়া স্কুলে, স্কুল ছাড়িয়া কলেজে, অবশেষে কলেজ ছাড়িয়া মুন্‌সেফিতে প্রবেশ করিয়াছে। রাইচরণ এখনো তাঁহার ভৃত্য।
আরো দেখুন
আতঙ্ক
Verses
বটের জটায় বাঁধা ছায়াতলে
                       গোধূলিবেলায়
           বাগানের জীর্ণ পাঁচিলেতে
                       সাদাকালো দাগগুলো
                       দেখা দিত ভয়ংকর মূর্তি ধরে।
           ওইখানে দৈত্যপুরী,
                 অদৃশ্য কুঠুরি থেকে তার
      মনে-মনে শোনা যেত হাঁউমাউখাঁউ।
           লাঠি হাতে কুঁজোপিঠ
      খিলিখিলি হাসত ডাইনিবুড়ী।
                     কাশিরাম দাস
      পয়ারে যা লিখেছিল হিড়িম্বার কথা
           ইট-বের-করা সেই পাঁচিলের 'পরে
                    ছিল তারি প্রত্যক্ষ কাহিনী।
      তারি সঙ্গে সেইখানে নাককাটা সূর্পণখা
                 কালো কালো দাগে
                       করেছিল কুটুম্বিতা।
      সতেরো বৎসর পরে
           গিয়েছি সে সাবেক বাড়িতে।
                 দাগ বেড়ে গেছে,
      মুগ্ধ নতুনের তুলি পুরোনোকে দিয়েছে প্রশ্রয়।
      ইঁটগুলো মাঝে-মাঝে খসে গিয়ে
                 পড়ে আছে রাশকরা।
           গায়ে গায়ে লেগেছে অনন্তমূল,
                 কালমেঘ লতা,
                 বিছুটির ঝাড়;
           ভাঁটিগাছে হয়েছে জঙ্গল।
                 পুরোনো বটের পাশে
           উঠেছে ভেরেণ্ডাগাছ মস্তবড়ো হয়ে।
      বাইরেতে সূর্পণখা-হিড়িম্বার চিহ্নগুলো আছে,
           মনে তারা কোনোখানে নেই।
      স্টেশনে গেলেম ফিরে একবার খুব হেসে নিয়ে
                 জীবনের ভিত্তিটার গায়ে
                       পড়েছে বিস্তর কালো দাগ,
                 মূঢ় অতীতের মসীলেখা;
                       ভাঙা গাঁথুনিতে
           ভীরু কল্পনার যত জটিল কুটিল চিহ্নগুলো।
                       মাঝে-মাঝে
                 যেদিন বিকেলবেলা
                       বাদলের ছায়া নামে
                 সারি সারি তালগাছে
                       দিঘির পাড়িতে,
                    দূরের আকাশে
                 স্নিগ্ধ সুগম্ভীর
               মেঘের গর্জন ওঠে গুরুগুরু,
           ঝিঁ ঝিঁ ডাকে বুনো খেজুরের ঝোপে,
                 তখন দেশের দিকে চেয়ে
           বাঁকাচোরা আলোহীন পথে
                ভেঙেপড়া দেউলের মূর্তি দেখি;
                 দীর্ণ ছাদে, তার জীর্ণ ভিতে
                 নামহীন অবসাদ,-
           অনির্দিষ্ট শঙ্কাগুলো নিদ্রাহীন পেঁচা,
                 নৈরাশ্যের অলীক অত্যুক্তি যত,
             দুর্বলের স্বরচিত শত্রুর চেহারা।
                 ধিক্‌ রে ভাঙনলাগা মন,
      চিন্তায় চিন্তায় তোর কত মিথ্যা আঁচড় কেটেছে।
           দুষ্টগ্রহ সেজে ভয়
                 কালোচিহ্নে মুখভঙ্গি করে।
           কাঁটা-আগাছার মতো
                 অমঙ্গল নাম নিয়ে
                      আতঙ্কের জঙ্গল উঠেছে।
           চারিদিকে সারি সারি জীর্ণ ভিতে
           ভেঙেপড়া অতীতের বিরূপ বিকৃতি।
                 কাপুরুষে করিছে বিদ্রূপ।
আরো দেখুন