রাসমণির ছেলে
Stories
কালীপদর মা ছিলেন রাসমণি-- কিন্তু তাঁহাকে দায়ে পড়িয়া বাপের পদ গ্রহণ করিতে হইয়াছিল। কারণ, বাপ মা উভয়েই মা হইয়া উঠিলে ছেলের পক্ষে সুবিধা হয় না। তাঁহার স্বামী ভবানীচরণ ছেলেকে একেবারেই শাসন করিতে পারেন না।
তিনি কেন এত বেশি আদর দেন তাহা জিজ্ঞাসা করিলে তিনি যে উত্তর দিয়া থাকেন তাহা বুঝিতে হইলে পূর্ব ইতিহাস জানা চাই।
আরো দেখুন
পণরক্ষা
Stories
বংশীবদন তাহার ভাই রসিককে যেমন ভালোবাসিত এমন করিয়া সচরাচর মাও ছেলেকে ভালোবাসিতে পারে না। পাঠশালা হইতে রসিকের আসিতে যদি কিছু বিলম্ব হইত তবে সকল কাজ ফেলিয়া সে তাহার সন্ধানে ছুটিত। তাহাকে না খাওয়াইয়া সে নিজে খাইতে পারিত না। রসিকের অল্প কিছু অসুখবিসুখ হইলেই বংশীর দুই চোখ দিয়া ঝর্‌ঝর্‌ করিয়া জল ঝরিতে থাকিত।
রসিক বংশীর চেয়ে ষোলো বছরের ছোটো। মাঝে যে কয়টি ভাইবোন জন্মিয়াছিল সবগুলিই মারা গিয়াছে। কেবল এই সব-শেষেরটিকে রাখিয়া, যখন রসিকের এক বছর বয়স, তখন তাহার মা মারা গেল এবং রসিক যখন তিন বছরের ছেলে তখন সে পিতৃহীন হইল। এখন রসিককে মানুষ করিবার ভার একা এই বংশীর উপর।
আরো দেখুন
51
Verses
WHEN THEY came and clamoured and surrounded me they hid thee from
my sight.
I thought I would bring to thee my gifts last of all.
Now that the day has waned, and they have taken their dues and left me alone,
I see thee standing at the door.
But I find I have no gift remaining to give, and I hold both my hands up to thee.
আরো দেখুন
গলি
Stories
আমাদের এই শানবাঁধানো গলি, বারে বারে ডাইনে বাঁয়ে এঁকে বেঁকে একদিন কী যেন খুঁজতে বেরিয়েছিল। কিন্তু, সে যে দিকেই যায় ঠেকে যায়। এ দিকে বাড়ি, ও দিকে বাড়ি, সামনে বাড়ি।
উপরের দিকে যেটুকু নজর চলে তাতে সে একখানি আকাশের রেখা দেখতে পায়-- ঠিক তার নিজেরই মতো সরু, তার নিজেরই মতো বাঁকা।
আরো দেখুন
দুই বোন
Novels
মেয়েরা দুই জাতের, কোনো কোনো পণ্ডিতের কাছে এমন কথা শুনেছি।
এক জাত প্রধানত মা, আর-এক জাত প্রিয়া।
আরো দেখুন
রীতিমত নভেল
Stories
'আল্লা হো আকবর' শব্দে রণভূমি প্রতিধ্বনিত হইয়া উঠিয়াছে। একদিকে তিনলক্ষ যবনসেনা, অন্যদিকে তিনসহস্র আর্যসৈন্য। বন্যার মধ্যে একাকী অশ্বত্থবৃক্ষের মতো হিন্দুবীরগণ সমস্ত রাত্রি এবং সমস্ত দিন যুদ্ধ করিয়া অটল দাঁড়াইয়া ছিল কিন্তু এইবার ভাঙিয়া পড়িবে, তাহার লক্ষণ দেখা যাইতেছে। এবং সেইসঙ্গে ভারতের জয়ধ্বজা ভূমিসাৎ হইবে এবং আজিকার ঐ অস্তাচলবর্তী সহস্ররশ্মির সহিত হিন্দুস্থানের গৌরবসূর্য চিরদিনের মতো অস্তমিত হইবে।
হর হর বোম্‌ বোম্‌! পাঠক বলিতে পার, কে ঐ দৃপ্ত যুবা পঁয়ত্রিশজন মাত্র অনুচর লইয়া মুক্ত অসি হস্তে অশ্বারোহণে ভারতের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর করনিক্ষিপ্ত দীপ্ত বজ্রের ন্যায় শত্রুসৈন্যের উপরে আসিয়া পতিত হইল? বলিতে পার, কাহার প্রতাপে এই অগণিত যবনসৈন্য প্রচণ্ড বাত্যাহত অরণ্যানীর ন্যায় বিক্ষুব্ধ হইয়া উঠিল?-- কাহার বজ্রমন্দ্রিত 'হর হর বোম্‌ বোম্‌' শব্দে তিনলক্ষ ম্লেচ্ছকণ্ঠের 'আল্লা হো আকবর' ধ্বনি নিমগ্ন হইয়া গেল? কাহার উদ্যত অসির সম্মুখে ব্যাঘ্র-আক্রান্ত মেষষুথের ন্যায় শত্রুসৈন্য মুহূর্তের মধ্যে ঊর্ধ্বশ্বাসে পলায়নপর হইল? বলিতে পার, সেদিনকার আর্যস্থানের সূর্যদেব সহস্ররক্তকরস্পর্শে কাহার রক্তাক্ত তরবারিকে আশীর্বাদ করিয়া অস্তাচলে বিশ্রাম করিতে গেলেন? বলিতে পার কি পাঠক।
আরো দেখুন
মানসী
Verses
    মনে নেই, বুঝি হবে অগ্রহান মাস,
               তখন তরণীবাস
                   ছিল মোর পদ্মাবক্ষ-'পরে।
               বামে বালুচরে
     সর্বশূন্য শুভ্রতার না পাই অবধি।
               ধারে ধারে নদী
কলরবধারা দিয়ে নিঃশব্দেরে করিছে মিনতি।
      ওপারেতে আকাশের প্রশান্ত প্রণতি
          নেমেছে মন্দিরচূড়া-'পরে।
     হেথা-হোথা পলিমাটিস্তরে
               পাড়ির নিচের তলে
         ছোলা-খেত ভরেছে ফসলে।
অরণ্যে নিবিড় গ্রাম নীলিমার নিম্নান্তের পটে;
               বাঁধা মোর নৌকাখানি জনশূন্য বালুকার তটে।
                   পূর্ণ যৌবনের বেগে
          নিরুদ্দেশ বেদনার জোয়ার উঠেছে মনে জেগে
                   মানসীর মায়ামূর্তি বহি।
          ছন্দের বুনানি গেঁথে অদেখার সাথে কথা কহি।
                   ম্লানরৌদ্র অপরাহ্নবেলা
          পান্ডুর জীবন মোর হেরিলাম প্রকান্ড একেলা
               অনারব্ধ সৃজনের বিশ্বকর্তা-সম।
                        সুদূর দুর্গম
                   কোন্‌ পথে যায় শোনা
               অগোচর চরণের স্বপ্নে আনাগোনা।
প্রলাপ বিছায়ে দিনু আগন্তুক অচেনার লাগি,
     আহ্বান পাঠানু শূন্যে তারি পদপরশন মাগি।
          শীতের কৃপণ বেলা যায়।
                   ক্ষীণ কুয়াশায়
                        অস্পষ্ট হয়েছে বালি।
          সায়াহ্নের মলিন সোনালি
                        পলে পলে
     বদল করিছে রঙ মসৃণ তরঙ্গহীন জলে।
     বাহিরেতে বাণী মোর হল শেষ,
অন্তরের তারে তারে ঝংকারে রহিল তার রেশ।
     অফলিত প্রতীক্ষার সেই গাথা আজি
কবিরে পশ্চাতে ফেলি শূন্যপথে চলিয়াছে বাজি।
               কোথায় রহিল তার সাথে
     বক্ষস্পন্দে-কম্পমান সেই স্তব্ধ রাতে
                   সেই সন্ধ্যাতারা।
               জন্মসাথিহারা
কাব্যখানি পাড়ি দিল চিহ্নহীন কালের সাগরে
                   কিছুদিন তরে;
               শুধু একখানি
                   সূত্রছিন্ন বাণী
          সেদিনের দিনান্তের মগ্নস্মৃতি হতে
                        ভেসে যায় স্রোতে।
আরো দেখুন
উজ্জ্বল করো হে
Songs
উজ্জ্বল করো হে আজি এ আনন্দরাতি
     বিকাশিয়া তোমার আনন্দমুখভাতি।
সভা-মাঝে তুমি আজ   বিরাজো হে রাজরাজ,
     আনন্দে রেখেছি তব সিংহাসন পাতি॥
          সুন্দর করো, হে প্রভু, জীবন যৌবন
              তোমারি মাধুরীসুধা করি বরিষন।
     লহো তুমি লহো তুলে   তোমারি চরণমূলে
          নবীন মিলনমালা প্রেমসূত্রে গাঁথি॥
          মঙ্গল করো হে, আজি মঙ্গলবন্ধন
          তব শুভ আশীর্বাদ করি বিতরণ।
     বরিষ হে ধ্রুবতারা, কল্যাণকিরণধারা--
     দুর্দিনে সুদিনে তুমি থাকো চিরসাথী॥
আরো দেখুন
উপসংহার
Stories
ভোজরাজের দেশে যে মেয়েটি ভোরবেলাতে দেবমন্দিরে গান গাইতে যায় সে কুড়িয়ে-পাওয়া মেয়ে।
আচার্য বলেন, 'একদিন শেষরাত্রে আমার কানে একখানি সুর লাগল। তার পরে সেইদিন যখন সাজি নিয়ে পারুলবনে ফুল তুলতে গেছি তখন এই মেয়েটিকে ফুলগাছতলায় কুড়িয়ে পেলেম।'
আরো দেখুন