সে (se)

উৎসর্গ


সুহৃদ্বর শ্রীযুক্ত চারুচন্দ্র ভট্টাচার্য

 

করতলযুগলেষু

 

মেঘের ফুরোল কাজ এইবার।

সময় পেরিয়ে দিয়ে ঢেলেছিল জলধার,

           সুদীর্ঘ কালের পরে নিল ছুটি।

                     উদাসী হাওয়ার সাথে জুটি

                          রচিছে যেন সে অন্যমনে

                     আকাশের কোণে কোণে

           ছবির খেয়াল রাশি রাশি,

মিলিছে তাহার সাথে হেমন্তে কুয়াশা-ছোঁওয়া হাসি।

           দেবপিতামহ হাসে স্বর্গের কর্মের হেরি হেলা,

                     ইন্দ্রের প্রাঙ্গণতলে দেবতার অর্থহীন খেলা।

আমারো খেয়াল-ছবি মনের গহন হতে

           ভেসে আসে বায়ুস্রোতে।

                     নিয়মের দিগন্ত পারায়ে

                          যায় সে হারায়ে

                              নিরুদ্দেশে

                             বাউলের বেশে।

           যেথা আছে খ্যাতিহীন পাড়া

সেথায় সে মুক্তি পায় সমাজ-হারানো লক্ষ্মীছাড়া।

                     যেমন-তেমন এরা বাঁকা বাঁকা

           কিছু ভাষা দিয়ে কিছু তুলি দিয়ে আঁকা,

                     দিলেম উজাড় করি ঝুলি।

                             লও যদি লও তুলি,

           রাখ ফেল যাহা ইচ্ছা তাই--

                     কোনো দায় নাই।

                     ফসল কাটার পরে

           শূন্য মাঠে তুচ্ছ ফুল ফোটে অগোচরে

                     আগাছার সাথে।

এমন কি আছে কেউ যেতে যেতে তুলে নেবে হাতে--

                     যার কোনো দাম নেই,

                             নাম নেই,

                     অধিকারী নাই যার কোনো,

           বনশ্রী মর্যাদা যারে দেয় নি কখনো।

  •