১ অগস্ট, ১৯৩২


 

হরিণী (horini)


হে হরিণী,

                  আকাশ লইবে জিনি

                      কেন তব এ অধ্যবসায়?

         সুদূরের অভ্রপটে অগম্যেরে দেখা যায়,

          কালো চোখে পড়ে তার স্বপ্নরূপ লিখা;

                      একি মরীচিকা,

                  পিপাসার স্বরচিত মোহ,

          একি আপনার সাথে আপন বিদ্রোহ?

                  নিজের দুঃসহ সঙ্গ হতে

          ছুটে যেতে চাও কোনো নূতন আলোতে--

                নিকটের সংকীর্ণতা করি ছেদ,

          দিগন্তের নব নব যবনিকা করি দিয়া ভেদ।

                   আছ বিচ্ছেদের পারে;

          যারে তুমি জানো নাই, রক্তে তুমি চিনিয়াছ যারে,

          সে যে ডাক দিয়ে গেছে যুগে যুগে যত হরিণীরে

                বনে মাঠে গিরিতটে নদীতীরে--

                   জানায়েছে অপূর্ব বারতা

                কত শত বসন্তের আত্মবিহ্বলতা।

            তারই লাগি বিশ্বভোলা মহা-অভিসার

                   হয়েছে দুর্বার,

                অদৃশ্যেরে সন্ধানের তরে

                   দাঁড়ায়েছ স্পর্ধাভরে,

                একান্ত উৎসুক তব প্রাণ

              আকাশেরে করে ঘ্রাণ--

                কর্ণ করিয়াছে খাড়া,

          বাতাসে বাতাসে আজি অশ্রুত বাণীর পায় সাড়া।

 

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •