মানস কুমার দাশ

সখী, ভাবনা কাহারে বলে

        সখী,    ভাবনা কাহারে বলে।   সখী,    যাতনা কাহারে বলে ।
        তোমরা যে বলো দিবস-রজনী    ‘ভালোবাসা’ ‘ভালোবাসা’—
        সখী,    ভালোবাসা কারে কয়!  সে কি   কেবলই যাতনাময় ।
        সে কি   কেবলই চোখের জল?   সে কি   কেবলই দুখের শ্বাস ?
        লোকে তবে করে   কী সুখেরই তরে   এমন দুখের আশ ।
                  আমার চোখে তো সকলই শোভন,
        সকলই নবীন, সকলই বিমল,    সুনীল আকাশ, শ্যামল কানন,
        বিশদ জোছনা, কুসুম কোমল— সকলই আমার মতো ।
        তারা  কেবলই হাসে, কেবলই গায়,   হাসিয়া খেলিয়া মরিতে চায়—
        না জানে বেদন, না জানে রোদন,   না জানে সাধের যাতনা যত ।
        ফুল সে হাসিতে হাসিতে ঝরে,   জোছনা হাসিয়া মিলায়ে যায়,
        হাসিতে হাসিতে আলোকসাগরে   আকাশের তারা তেয়াগে কায় ।
        আমার মতন সুখী কে আছে।   আয় সখী, আয় আমার কাছে—
        সুখী হৃদয়ের সুখের গান   শুনিয়া তোদের জুড়াবে প্রাণ ।
        প্রতিদিন যদি কাঁদিবি কেবল    একদিন নয় হাসিবি তোরা—
        একদিন নয় বিষাদ ভুলিয়া    সকলে মিলিয়া গাহিব মোরা।।

রাগ : বেহাগ-খাম্বাজ-বাউল

তাল : একতাল

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ) : 1287

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ) : 1881

রচনাস্থান :

স্বরলিপিকার: 1881

মানস কুমার দাশ - অন্যান্য নিবেদন