বস্তুগত ও ভাবগত কবিতা
Others
চারি দিকে লোক জন, চারি দিকেই হাট বাজার, সদাসর্ব্বদাই কাজকর্ম্ম বিষয়-আশয়ের চিন্তা। সম্মুখে দেনাদার, পশ্চাতে পাওনাদার, দক্ষিণে বিষয়কর্ম্ম, বামে লোকলৌকিকতা, পদতলে গত কল্যের খরচ, মাথার উপরে আগামী কল্যের জন্য জমা। যে দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করি-- পৃথিবীর মৃত্তিকা; দীর্ঘ, প্রস্থ, বেধ; স্বাদ, ঘ্রাণ, স্পর্শ; আরম্ভ, স্থিতি ও অবসান। মানুষের মন কোথায় গিয়া বিশ্রাম করিবে? এমন ঠাঁই কোথায় মিলিবে, যেখানে জড়দেহপোষণের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা নাই, একমুঠা আহারের জন্য লক্ষ লক্ষ আকৃতিধারীর কোলাহল নাই, যেখানকার ভূমি ও অধিবাসী মাটি ও মাংসে নির্ম্মিত নয়; অর্থাৎ চব্বিশ ঘণ্টা আমরা যে অবস্থার মধ্যে নিমগ্ন থাকি সে অবস্থা হইতে আমরা বিরাম চাই। কোথায় যাইব!
পৃথিবী কিছু বিশ্রামের জন্য নহে, পৃথিবীর পদে পদে অভাব। পৃথিবীর উপরে চলিতে গেলে মৃত্তিকার সহিত সংগ্রাম করিতে হয়, পৃথিবীর উপরে বাঁচিতে গেলে শত প্রকার আয়োজন করিতে হয়। যাহার আকার আছে তাহার বিশ্রাম নাই। আমাদের হৃদয় আকার-আয়তন-ছাড়া স্থানে বিশ্রামের জন্য যাইতে চায়। বস্তুর রাজ্য হইতে ভাবের রাজ্যে যাইতে চায়। কেবল বস্তু! দিন রাত্রি বস্তু, বস্তু, বস্তু! হৃদয় ভাবের আকাশে গিয়া বলে, "আঃ, বাঁচিলাম, আমার বিচরণের স্থান ত এই! "
দক্ষিণের দ্বার খুলি মৃদুমন্দগতি
বাহির হয়েছে কিবা ঋতুকুলপতি।
লতিকার গাঁটে গাঁটে ফুটাইছে ফুল,
অঙ্গে ঘেরি পরাইছে পল্লবদুকূল!
কি জানি কিসের লাগি হইয়া উদাস
ঘরের বাহির হ'ল মলয় বাতাস --
ভয়ে ভয়ে পদার্পয়ে তবু পথ ভুলে,
গন্ধমদে ঢলি পড়ে এ ফুলে ও ফুলে।
মনের আনন্দ আর না পারি রাখিতে,
কোথা হতে ডাকে পিক রসালশাখীতে,
কুহু কুহু কুহু কুহু কুঞ্জে কুঞ্জে ফিরে,
ক্রমে মিলাইয়া যায় কাননগভীরে!
So, young muser, I sat listening
To my Fancys wildest word
On a sudden, through the glistening
Leaves around a little stirred,
Came a sound, a sense of music,
Which was rather felt than heard.
Softly, finely, it enwound me
From the world it shut me in
Like a fountain falling round me
Which with silver water thin
Holds a little marble Naiad.
sitting smilingly within.
আরো দেখুন