তোমায় দেখে মনে লাগে ব্যথা, হায় বিদেশী পান্থ। এই দারুণ রৌদ্রে, এই তপ্ত বালুকায় তুমি কি পথভ্রান্ত। দুই চক্ষুতে এ কী দাহ জানি নে, জানি নে, জানি নে, কী যে চাহ। চলো চলো আমাদের ঘরে, চলো চলো ক্ষণেকের তরে, পাবে ছায়া, পাবে জল। সব তাপ হবে তব শান্ত। কথা কেন নেয় না কানে, কোথা চ'লে যায় কে জানে। মরণের কোন্ দূত ওরে করে দিল বুঝি উদ্ভ্রান্ত।
কেন সারা দিন ধীরে ধীরে বালু নিয়ে শুধু খেলো তীরে॥ চলে গেল বেলা, রেখে মিছে খেলা ঝাঁপ দিয়ে পড়ো কালো নীরে। অকূল ছানিয়ে যা পাও তা নিয়ে হেসে কেঁদে চলো ঘরে ফিরে॥ নাহি জানি মনে কী বাসিয়া পথে বসে আছে কে আসিয়া। কী কুসুমবাসে ফাগুনবাতাসে হৃদয় দিতেছে উদাসিয়া। চল্ ওরে এই খ্যাপা বাতাসেই সাথে নিয়ে সেই উদাসীরে॥