আমার নয়ন তব নয়নের নিবিড় ছায়ায় মনের কথার কুসুমকোরক খোঁজে সেথায় কখন অগম গোপন গহন মায়ায় পথ হারাইল ও যে॥ আতুর দিঠিতে শুধায় সে নীরবেরে-- নিভৃত বাণীর সন্ধান নাই যে রে; অজানার মাঝে অবুঝের মতো ফেরে অশ্রুধারায় মজে॥ আমার হৃদয়ে যে কথা লুকানো তার আভাষণ ফেলে কভু ছায়া তোমার হৃদয়তলে? দুয়ারে এঁকেছি রক্ত রেখায় পদ্ম-আসন, সে তোমারে কিছু বলে? তব কুঞ্জের পথ দিয়ে যেতে যেতে বাতাসে বাতাসে ব্যথা দিই মোর পেতে-- বাঁশি কী আশায় ভাষা দেয় আকাশেতে সে কি কেহ নাহি বোঝে॥
আঁধার রাতে একলা পাগল যায় কেঁদে। বলে শুধু, বুঝিয়ে দে, বুঝিয়ে দে, বুঝিয়ে দে ॥ আমি যে তোর আলোর ছেলে, আমার সামনে দিলি আঁধার মেলে, মুখ লুকালি-- মরি আমি সেই খেদে ॥ অন্ধকারে অস্তরবির লিপি লেখা, আমারে তার অর্থ শেখা। তোর প্রাণের বাঁশির তান সে নানা সেই আমারই ছিল জানা, আজ মরণ-বীণার অজানা সুর নেব সেধে ॥