মনের মধ্যে নিরবধি শিকল গড়ার কারখানা। একটা বাঁধন কাটে যদি বেড়ে ওঠে চারখানা।। কেমন ক’রে নামবে বোঝা, তোমার আপদ নয় যে সোজা– অন্তরেতে আছে যখন ভয়ের ভীষণ ভারখানা।।
রাতের আঁধার ঘোচে বটে বাতির আলো যেই জ্বালো, মূর্ছাতে যে আঁধার ঘটে রাতের চেয়ে ঘোর কালো। ঝড়-তুফানে ঢেউয়ের মারে তবু তরী বাঁচতে পারে, সবার বড়ো মার যে তোমার ছিদ্রটার ওই মারখানা।।
পর তো আছে লাখে লাখে, কে তাড়াবে নি:শেষে। ঘরের মধ্যে পর যে থাকে পর করে দেয় বিশ্বে সে। কারাগারের দ্বারী গেলে তখনি কি মুক্তি মেলে। আপনি তুমি ভিতর থেকে চেপে আছ দ্বারখানা।।
শূন্য ঝুলির নিয়ে দাবি রাগ ক’রে রোস্ কার ’পরে। দিতে জানিস তবেই পাবি, পাবি নে তো ধার ক’রে। লোভে ক্ষোভে উঠিস মাতি, ফল পেতে চাস রাতারাতি– আপন মুঠো করলে ফুটো আপন খাঁড়ার ধারখানা।।
বাদল-দিনের প্রথম কদম ফুল করেছ দান, আমি দিতে এসেছি শ্রাবণের গান॥ মেঘের ছায়ায় অন্ধকারে রেখেছি ঢেকে তারে এই-যে আমার সুরের ক্ষেতের প্রথম সোনার ধান॥ আজ এনে দিলে, হয়তো দিবে না কাল-- রিক্ত হবে যে তোমার ফুলের ডাল। এ গান আমার শ্রাবণে শ্রাবণে তব বিস্মৃতিস্রোতের প্লাবনে ফিরিয়া ফিরিয়া আসিবে তরণী বহি তব সম্মান॥