আমার নিকড়িয়া-রসের রসিক কানন ঘুরে ঘুরে নিকড়িয়া বাঁশের বাঁশি বাজায় মোহন সুরে । আমার ঘর বলে, ‘তুই কোথায় যাবি, বাইরে গিয়ে সব খোয়াবি !’ আমার প্রাণ বলে, ‘তোর যা আছে সব যাক্-না উড়ে পুড়ে ।’ ওগো, যায় যদি তো যাক্-না চুকে, সব হারাব হাসিমুখে– আমি এই চলেছি মরণসুধা নিতে পরান পূরে । ওগো, আপন যারা কাছে টানে এ রস তারা কেই বা জানে– আমার বাঁকা পথের বাঁকা সে যে ডাক দিয়েছে দূরে । এবার বাঁকার টানে সোজার বোঝা পড়ুক ভেঙে-চুরে।।
তোমার সুরের ধারা ঝরে যেথায় তারি পারে দেবে কি গো বাসা আমায় একটি ধারে?। আমি শুনব ধ্বনি কানে, আমি ভরব ধ্বনি প্রাণে, সেই ধ্বনিতে চিত্তবীণায় তার বাঁধিব বারে বারে ॥ আমার নীরব বেলা সেই তোমারি সুরে সুরে ফুলের ভিতর মধুর মতো উঠবে পুরে। আমার দিন ফুরাবে যবে, যখন রাত্রি আঁধার হবে, হৃদয়ে মোর গানের তারা উঠবে ফুটে সারে সারে ॥