তুমি যে আমারে চাও আমি সে জানি। কেন যে মোরে কাঁদাও আমি সে জানি ॥ এ আলোকে এ আঁধারে কেন তুমি আপনারে ছায়াখানি দিয়ে ছাও আমি সে জানি ॥ সারাদিন নানা কাজে কেন তুমি নানা সাজে কত সুরে ডাক দাও আমি সে জানি। সারা হলে দে'য়া-নে'য়া দিনান্তের শেষ খেয়া কোন্ দিক-পানে বাও আমি সে জানি ॥
নারীর ললিত লোভন লীলায় এখনি কেন এ ক্লান্তি। এখনি কি সখা, খেলা হল অবসান॥ যে মধুর রসে ছিলে বিহ্বল সে কি মধুমাখা ভ্রান্তি-- সে কি স্বপ্নের দান। সে কি সত্যের অপমান। দূর দুরাশায় হৃদয় ভরিছ, কঠিন প্রেমের প্রতিমা গড়িছ-- কী মনে ভাবিয়া নারীতে করিছ পৌরুষসন্ধান। এও কি মায়ার দান॥ সহসা মন্ত্রবলে নমনীয় এই কমনীয়তারে যদি আমাদের সখী একেবারে পরের বসন-সমান ছিন্ন করি ফেলে ধূলিতলে সবে না সবে না সে নৈরাশ্য-- ভাগ্যের সেই অট্টহাস্য জানি জানি সখা, ক্ষুব্ধ করিবে লুব্ধ পুরুষপ্রাণ-- হানিবে নিঠুর বাণ॥