কে এসে যায় ফিরে ফিরে আকুল নয়ননীরে । কে বৃথা আশাভরে চাহিছে মুখ’পরে । সে যে আমার জননী রে ।। কাহার সুধাময়ী বাণী মিলায় অনাদর মানি ! কাহার ভাষা হায় ভুলিতে সবে চায় । সে যে আমার জননী রে ।। ক্ষণেক স্নেহ-কোল ছাড়ি চিনিতে আর নাহি পারি । আপন সন্তান করিছে অপমান— সে যে আমার জননী রে ।। পুণ্য কুটিরে বিষণ্ণ কে বসি সাজাইয়া অন্ন । সে স্নেহ-উপচার রুচে না মুখে আর । সে যে আমার জননী রে ।।
এ তো খেলা নয়, খেলা নয়। এ যে হৃদয়-দহন-জ্বালা, সখী। এ যে, প্রাণভরা ব্যাকুলতা, গোপন মর্মের ব্যথা, এ যে, কাহার চরণোদ্দেশে জীবন মরণ ঢালা। কে যেন সতত মোরে ডাকিয়ে আকুল করে, যাই যাই করে প্রাণ, যেতে পারি নে। যে কথা বলিতে চাহি, তা বুঝি বলিতে নাহি, কোথায় নামায়ে রাখি, সখী, এ প্রেমের ডালা। যতনে গাঁথিয়ে শেষে, পরাতে পারি নে মালা।
আমার যেতে সরে না মন-- তোমার দুয়ার পারায়ে আমি যাই যে হারায়ে অতল বিরহে নিমগন॥ চলিতে চলিতে পথে সকলই দেখি যেন মিছে, নিখিল ভুবন পিছে ডাকে অনুক্ষণ॥ আমার মনে কেবলই বাজে তোমায় কিছু দেওয়া হল না যে। যবে চলে যাই পদে পদে বাধা পাই, ফিরে ফিরে আসি অকারণ॥