আজি শরততপনে প্রভাতস্বপনে কী জানি পরান কী যে চায়। ওই শেফালির শাখে কী বলিয়া ডাকে বিহগ বিহগী কী যে গায় গো ॥ আজি মধুর বাতাসে হৃদয় উদাসে, রহে না আবাসে মন হায়-- কোন্ কুসুমের আশে কোন্ ফুলবাসে সুনীল আকাশে মন ধায় গো ॥ আজি কে যেন গো নাই, এ প্রভাতে তাই জীবন বিফল হয় গো-- তাই চারি দিকে চায়, মন কেঁদে গায় "এ নহে, এ নহে, নয় গো'। কোন্ স্বপনের দেশে আছে এলোকেশে কোন্ ছায়াময়ী অমরায়। আজি কোন্ উপবনে, বিরহবেদনে আমারি কারণে কেঁদে যায় গো ॥ আজি যদি গাঁথি গান অথিরপরান, সে গান শুনাব কারে আর। আমি যদি গাঁথি মালা লয়ে ফুলডালা, কাহারে পরাব ফুলহার॥ আমি আমার এ প্রাণ যদি করি দান, দিব প্রাণ তবে কার পায়। সদা ভয় হয় মনে পাছে অযতনে মনে মনে কেহ ব্যথা পায় গো ॥
ওগো কে যায় বাঁশরি বাজায়ে আমার ঘরে কেহ নাই যে তারে মনে পড়ে যারে চাই যে॥ তার আকুল পরান, বিরহের গান, বাঁশি বুঝি গেল জানায়ে। আমি আমার কথা তারে জানাব কী করে, প্রাণ কাঁদে মোর তাই যে॥ কুসুমের মালা গাঁথা হল না, ধূলিতে প'ড়ে শুকায় রে। নিশি হয় ভোর, রজনীর চাঁদ মলিন মুখ লুকায় রে। সারা বিভাবরী কার পূজা করি যৌবনডালা সাজায়ে-- বাঁশিস্বরে হায় প্রাণ নিয়ে যায়, আমি কেন থাকি হায় রে॥