তুমি বাহির থেকে দিলে বিষম তাড়া তাই ভয়ে ঘোরায় দিক্বিদিকে, শেষে অন্তরে পাই সাড়া ॥ যখন হারাই বন্ধ ঘরের তালা-- যখন অন্ধ নয়ন, শ্রবণ কালা, তখন অন্ধকারে লুকিয়ে দ্বারে শিকলে দাও নাড়া ॥ যত দুঃখ আমার দুঃস্বপনে, সে যে ঘুমের ঘোরেই আসে মনে-- ঠেলা দিয়ে মায়ার আবেশ কর গো দেশছাড়া। আমি আপন মনের মারেই মরি, শেষে দশ জনারে দোষী করি-- আমি চোখ বুজে পথ পাই নে ব'লে কেঁদে ভাসাই পাড়া ॥
আমার মন, যখন জাগলি না রে ও তোর মনের মানুষ এল দ্বারে। তার চলে যাওয়ার শব্দ শুনে ভাঙল রে ঘুম-- ও তোর ভাঙল রে ঘুম অন্ধকারে ॥ মাটির 'পরে আঁচল পাতি একলা কাটে নিশীথরাতি। তার বাঁশি বাজে আঁধার-মাঝে, দেখি না যে চক্ষে তারে ॥ ওরে, তুই যাহারে দিলি ফাঁকি খুঁজে তারে পায় কি আঁখি? এখন পথে ফিরে পাবি কি রে ঘরের বাহির করলি যারে?।