আজি   কোন্‌ ধন হতে বিশ্বে আমারে
                   কোন্‌ জনে করে বঞ্চিত--
তব     চরণ-কমল-রতন-রেণুকা
                   অন্তরে আছে সঞ্চিত ॥
কত     নিঠুর কঠোর দরশে ঘরষে   মর্মমাঝারে শল্য বরষে,
          তবু প্রাণ মন পীযূষপরশে পলে পলে পুলকাঞ্চিত ॥
আজি   কিসের পিপাসা মিটিল না ওগো
                   পরম পরানবল্লভ!
চিতে   চিরসুধা করে সঞ্চার তব
                   সকরুণ করপল্লব।
নাথ,    যার যাহা আছে তার তাই থাক, আমি থাকি চিরলাঞ্ছিত--
শুধু     তুমি এ জীবনে নয়নে নয়নে থাকো থাকো চিরবাঞ্ছিত ॥

                ফিরো না ফিরো না আজি– এসেছ দুয়ারে।
                শূন্য প্রাণে কোথা যাও শূন্য সংসারে।। 
                আজ তাঁরে যাও দেখে,  হৃদয়ে আনো গো ডেকে–
                অমৃত ভরিয়া লও মরমমাঝারে।। 
                শুষ্ক প্রাণ শুষ্ক রেখে কার পানে চাও। 
                শূন্য দুটো কথা শুনে কোথা চলে যাও। 
                তোমার কথা তাঁরে কয়ে  তাঁর কথা যাও লয়ে–
                চলে যাও তাঁর কাছে রাখি আপনারে।।

মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
কেন মেঘ আসে হৃদয়-আকাশে, তোমারে দেখিতে দেয় না?।
ক্ষণিক আলোকে আঁখির পলকে তোমায় যবে পাই দেখিতে
হারাই-হারাই সদা হয় ভয়, হারাইয়া ফেলি চকিতে ॥
কী করিলে বলো পাইব তোমারে, রাখিব আঁখিতে আঁখিতে।
এত প্রেম আমি কোথা পাব নাথ, তোমারে হৃদয়ে রাখিতে?
আর কারো পানে চাহিব না আর, করিব হে আমি প্রাণপণ--
তুমি যদি বল এখনি করিব বিষয়বাসনা বিসর্জন ॥