ডাকিল মোরে জাগার সাথি।
প্রাণের মাঝে বিভাস বাজে,   প্রভাত হল আঁধার রাতি ॥
বাজায় বাঁশি তন্দ্রা-ভাঙা,   ছড়ায় তারি বসন রাঙা--
     ফুলের বাসে এই বাতাসে   কী মায়াখানি দিয়েছে গাঁথি ॥
     গোপনতম অন্তরে কী   লেখনরেখা দিয়েছে লেখি!
মন তো তারি নাম জানে না,   রূপ আজিও নয় যে চেনা,
     বেদনা মম বিছায়ে দিয়ে   রেখেছি তারি আসন পাতি ॥

শুধু কি          তার বেঁধেই তোর কাজ ফুরাবে
          গুণী মোর, ও গুণী!
          বাঁধা বীণা রইবে পড়ে এমনি ভাবে
          গুণী মোর, ও গুণী!
তা হলে                   হার হল যে হার হল,
শুধু              বাঁধাবাঁধিই সার হল   গুণী মোর, ও গুণী!
বাঁধনে            যদি তোমার হাত লাগে
          তা হলেই সুর জাগে,   গুণী মোর, ও গুণী!
না হলে          ধুলায় প'ড়ে লাজ কুড়াবে ॥

                   দ্বারে কেন দিলে নাড়া ওগো মালিনী!
                   কার কাছে পাবে সাড়া ওগো মালিনী॥
তুমি তো তুলেছ ফুল, গেঁথেছ মালা,   আমার আঁধার ঘরে লেগেছে তালা।
                   খুঁজে তো পাই নি পথ, দীপ জ্বালি নি॥
                   ওই দেখো গোধূলির ক্ষীণ আলোতে
                   দিনের শেষের সোনা ডোবে কালোতে।
আঁধার নিবিড় হলে আসিয়ো পাশে,   যখন দূরের আলো জ্বালে আকাশে
                   অসীম পথের রাতি   দীপশালিনী॥