আমার হৃদয় তোমার আপন হাতের দোলে দোলাও, কে আমারে কী-যে বলে ভোলাও ভোলাও ॥ ওরা কেবল কথার পাকে নিত্য আমায় বেঁধে রাখে, বাঁশির ডাকে সকল বাঁধন খোলাও ॥ মনে পড়ে, কত-না দিন রাতি আমি ছিলেম তোমার খেলার সাথী। আজকে তুমি তেমনি ক'রে সামনে তোমার রাখো ধরে, আমার প্রাণে খেলার সে ঢেউ তোলাও ॥
ও মঞ্জরী, ও মঞ্জরী আমের মঞ্জরী, আজ হৃদয় তোমার উদাস হয়ে পড়ছে কি ঝরি॥ আমার গান যে তোমার গন্ধে মিশে দিশে দিশে ফিরে ফিরে ফেরে গুঞ্জরি॥ পূর্ণিমাচাঁদ তোমার শাখায় শাখায় তোমার গন্ধ-সাথে আপন আলো মাখায়। ওই দখিন-বাতাস গন্ধে পাগল ভাঙল আগল, ঘিরে ঘিরে ফিরে সঞ্চরি॥
জীবনের কিছু হল না হায়-- হল না গো হল না হায় হায়। গহনে গহনে কত আর ভ্রমিব,নিরাশার এ আঁধারে। শূন্য হৃদয় আর বহিতে যে পারি না, পারি না গো পারি না আর। কী লয়ে এখন ধরিব জীবন,দিবস-রজনী চলিয়া যায়-- দিবস-রজনী চলিয়া যায়-- কত কী করিব বলি উঠে বাসনা, কী করিব জানি না গো। সহচর ছিল যারা,ত্যেজিয়া গেল তারা;ধনুর্বাণ ত্যেজেছি, কোনো আর নাহি কাজ-- কী করি কী করি বলি, হাহা করি ভ্রমি গো-- কী করিব জানি না যে!