আছে তোমার বিদ্যে-সাধ্যি জানা।
                 রাজত্ব করা এ কি তামাশা পেয়েছ।
          জানিস না কেটা আমি।
        ঢের ঢের জানি-- ঢের ঢের জানি--
         হাসিস নে হাসিস নে মিছে,যা যা--
                 সব আপন কাজে যা যা,
                 যা আপন কাজে।
        খুব তোমার লম্বাচওড়া কথা!
            নিতান্ত দেখি তোমায় কৃতান্ত ডেকেছে!

              ওগো সাঁওতালি ছেলে,
শ্যামল সঘন নববরষার কিশোর দূত কি এলে॥
ধানের ক্ষেতের পারে   শালের ছায়ার ধারে
বাঁশির সুরেতে   সুদূর দূরেতে   চলেছ হৃদয় মেলে॥
     পুবদিগন্ত দিল তব দেহে নীলিমলেখা,
          পীত ধড়াটিতে অরুণরেখা,
     কেয়াফুলখানি   কবে তুলে আনি
          দ্বারে মোর রেখে গেলে॥
আমার গানের হংসবলাকাপাঁতি
বাদল-দিনের তোমার মনের সাথি।
     ঝড়ে চঞ্চল তমালবনের প্রাণে
          তোমাতে আমাতে মিলিয়াছি একখানে,
              মেঘের ছায়ায় চলিয়াছি ছায়া ফেলে॥

                   ছি ছি, কুৎসিত কুরূপ সে।
                   হেন বঙ্কিম ভুরুযুগ নাহি তার,
                        হেন উজ্জ্বল কজ্জল-আঁখিতারা।
                   সন্ধিতে পারে লক্ষ্য
                        কীণাঙ্কিত তার বাহু,
                   বিঁধিতে পারে না বীরবক্ষ
                        কুটিল কটাক্ষশরে।
                   নাহি লজ্জা, নাই শঙ্কা,
                        নাহি নিষ্ঠুর সুন্দর রঙ্গ,
                   নাহি নীরব ভঙ্গির সংগীতলীলা
                        ইঙ্গিতছন্দমুখর॥