আসা-যাওয়ার পথের ধারে গান গেয়ে মোর কেটেছে দিন। যাবার বেলায় দেব কারে বুকের কাছে বাজল যে বীন॥ সুরগুলি তার নানা ভাগে রেখে যাব পুষ্পরাগে, মীড়গুলি তার মেঘের রেখায় স্বর্ণলেখায় করব বিলীন॥ কিছু বা সে মিলনমালায় যুগলগলায় রইবে গাঁথা, কিছু বা সে ভিজিয়ে দেবে দুই চাহনির চোখের পাতা। কিছু বা কোন্ চৈত্রমাসে বকুল-ঢাকা বনের ঘাসে মনের কথার টুকরো আমার কুড়িয়ে পাবে কোন উদাসীন॥
পুষ্প দিয়ে মার যারে চিনল না সে মরণকে। বাণ খেয়ে যে পড়ে সে যে ধরে তোমার চরণকে॥ সবার নীচে ধুলার 'পরে ফেলো যারে মৃত্যু-শরে সে যে তোমার কোলে পড়ে, ভয় কী বা তার পড়নকে?। আরামে যার আঘাত ঢাকা, কলঙ্ক যার সুগন্ধ, নয়ন মেলে দেখল না সে রুদ্র মুখের আনন্দ। মজল না সে চোখের জলে, পৌঁছল না চরণতলে, তিলে তিলে পলে পলে ম'ল যেজন পালঙ্কে॥