সেই ভালো মা, সেই ভালো।
                                        থাক্‌ তোর মন্ত্র, থাক্‌ তোর--
                                   আর কাজ নাই, কাজ নাই ,কাজ নাই।
                             না না না, পড়্‌ মন্ত্র তুই, পড়্‌ তোর মন্ত্র--
                                        পথ তো আর নেই বাকি!
                                   আসবে সে, আসবে সে, আসবে,
                               আমার জীবনমৃত্যু-সীমানায় আসবে।
                                  নিবিড় রাত্রে এসে পৌঁছবে পান্থ,
                                    বুকের জ্বালা দিয়ে আমি
                                        জ্বালিয়ে দিব দীপখানি--
                                              সে আসবে।

আমরা   না-গান-গাওয়ার দল রে, আমরা   না-গলা-সাধার।
          মোদের ভৈঁরোরাগে   প্রভাতরবি রাগে   মুখ-আঁধার॥
                   আমাদের এই অমিল-কণ্ঠ-সমবায়ের চোটে
          পাড়ার কুকুর সমস্বরে,   ও ভাই,   ভয়ে ফুক্‌রে ওঠে--
                   আমরা কেবল ভয়ে মরি ধূর্জটিদাদার॥
                   মেঘমল্লার ধরি যদি ঘটে অনাবৃষ্টি,
          ছাতিওয়ালার দোকান জুড়ে লাগে শনির দৃষ্টি।
                   আধখানা সুর যেমনি লাগাই বসন্তবাহারে
          মলয়বায়ুর ধাত ফিরে যায়, তৎক্ষণাৎ আহা রে
          সেই হাওয়াতে বিচ্ছেদতাপ পালায় শ্রীরাধায়॥
                   অমাবস্যার রাত্রে যেমনি বেহাগ গাইতে বসা
                        কোকিলগুলোর লাগে দশম-দশা।
                        শুক্লকোজাগরী নিশায় জয়জয়ন্তী ধরি,
                                  অমনি মরি মরি
                   রাহু-লাগার বেদন লাগে পূর্ণিমা-চাঁদার॥

                   গাও বীণা-- বীণা, গাও রে।
          অমৃতমধুর তাঁর প্রেমগান মানব-সবে শুনাও রে।
          মধুর তানে নীরস প্রাণে মধুর প্রেম জাগাও রে ॥
ব্যথা দিয়ো না কাহারে, ব্যথিতের তরে পাষাণ প্রাণ কাঁদাও রে ॥
নিরাশেরে কহো আশার কাহিনী, প্রাণে নব বল দাও রে।
আনন্দময়ের আনন্দ-আলয় নব নব তানে ছাও রে।
পড়ে থাকো সদা বিভুর চরণে,   আপনারে ভুলে যাও রে ॥