ওগো দেবতা আমার, পাষাণদেবতা, হৃদিমন্দিরবাসী, তোমারি চরণে উজাড় করেছি সকল কুসুমরাশি। প্রভাত আমার সন্ধ্যা হইল, অন্ধ হইল আঁখি। এ পূজা কি তবে সবই বৃথা হবে। কেঁদে কি ফিরিবে দাসী। এবার প্রাণের সকল বাসনা সাজায়ে এনেছি থালি। আঁধার দেখিয়া আরতির তরে প্রদীপ এনেছি জ্বালি। এ দীপ যখন নিবিবে তখন কী রবে পূজার তরে। দুয়ার ধরিয়া দাঁড়ায়ে রহিব নয়নের জলে ভাসি।।
আগে চল্, আগে চল্ ভাই! পড়ে থাকা পিছে, মরে থাকা মিছে, বেঁচে মরে কিবা ফল ভাই! আগে চল্, আগে চল্ ভাই ॥ প্রতি নিমেষেই যেতেছে সময়, দিন ক্ষণ চেয়ে থাকা কিছু নয়-- 'সময় সময়' ক'রে পাঁজি পুঁথি ধ'রে সময় কোথা পাবি বল্ ভাই! আগে চল্, আগে চল্ ভাই ॥ পিছায়ে যে আছে তারে ডেকে নাও নিয়ে যাও সাথে করে-- কেহ নাহি আসে, একা চলে যাও মহত্ত্বের পথ ধরে। পিছু হতে ডাকে মায়ার কাঁদন, ছিঁড়ে চলে যাও মোহের বাঁধন-- সাধিতে হইবে প্রাণের সাধন, মিছে নয়নের জল ভাই! আগে চল্, আগে চল্ ভাই ॥ চিরদিন আছি ভিখারির বেশে জগতের পথপাশে-- যারা চলে যায় কৃপাচোখে চায়, পদধুলা উড়ে আসে। ধুলিশয্যা ছেড়ে ওঠো ওঠো সবে মনিবের সাথে যোগ দিতে হবে-- তা যদি না পারো চেয়ে দেখো তবে ওই আছে রসাতল ভাই! আগে চল্, আগে চল্ ভাই ॥