জীবন যখন ছিল ফুলের মতো পাপড়ি তাহার ছিল শত শত ॥ বসন্তে সে হ'ত যখন দাতা ঝরিয়ে দিত দু-চারটি তার পাতা, তবুও যে তার বাকি রইত কত ॥ আজ বুঝি তার ফল ধরেছে, তাই হাতে তাহার অধিক কিছু নাই। হেমন্তে তার সময় হল এবে পূর্ণ করে আপনাকে সে দেবে, রসের ভারে তাই সে অবনত ॥
বাণী মোর নাহি, স্তব্ধ হৃদয় বিছায়ে চাহিতে শুধু জানি॥ আমি অমাবিভাবরী আলোছায়া, মেলিয়া অগণ্য তারা নিষ্ফল আশায় নিঃশেষ পথ চাহি॥ তুমি যবে বাজাও বাঁশি সুর আসে ভাসি নীরবতার গভীরে বিহ্বূল বায়ে নিদ্রাসমুদ্র পারায়ে। তোমার সুরের প্রতিধ্বনি তোমারে দিই ফিরায়ে, কে জানে সে কি পশে তব স্বপ্নের তীরে বিপুল অন্ধকার বাহি॥