প্রভাত-আলোরে মোর কাঁদায়ে গেলে মিলনমালার ডোর ছিঁড়িয়া ফেলে॥ পড়ে যা রহিল পিছে সব হয়ে গেল মিছে, বসে আছি দূর-পানে নয়ন মেলে॥ একে একে ধূলি হতে কুড়ায়ে মরি যে ফুল বিদায়পথে পড়িছে ঝরি। ভাবি নি রবে না লেশ সে দিনের অবশেষ-- কাটিল ফাগুনবেলা কী খেলা খেলে॥
ওগো দেবতা আমার, পাষাণদেবতা, হৃদিমন্দিরবাসী, তোমারি চরণে উজাড় করেছি সকল কুসুমরাশি। প্রভাত আমার সন্ধ্যা হইল, অন্ধ হইল আঁখি। এ পূজা কি তবে সবই বৃথা হবে। কেঁদে কি ফিরিবে দাসী। এবার প্রাণের সকল বাসনা সাজায়ে এনেছি থালি। আঁধার দেখিয়া আরতির তরে প্রদীপ এনেছি জ্বালি। এ দীপ যখন নিবিবে তখন কী রবে পূজার তরে। দুয়ার ধরিয়া দাঁড়ায়ে রহিব নয়নের জলে ভাসি।।