পান্থ তুমি, পান্থজনের সখা হে, পথে চলাই সেই তো তোমায় পাওয়া। যাত্রাপথের আনন্দগান যে গাহে তারি কণ্ঠে তোমারি গান গাওয়া ॥ চায় না সে জন পিছন-পানে ফিরে, বায় না তরী কেবল তীরে তীরে, তুফান তারে ডাকে অকূল নীরে যার পরানে লাগল তোমার হাওয়া ॥ পান্থ তুমি, পান্থজনের সখা হে, পথিকচিত্তে তোমার তরী বাওয়া। দুয়ার খুলে সমুখ-পানে যে চাহে তার চাওয়া যে তোমার পানে চাওয়া। বিপদ বাধা কিছুই ডরে না সে, রয় না পড়ে কোনো লাভের আশে, যাবার লাগি মন তারি উদাসে-- যাওয়া সে যে তোমার পানে যাওয়া ॥
ওহে জীবনবল্লভ, ওহে সাধনদুর্লভ, আমি মর্মের কথা অন্তরব্যথা কিছুই নাহি কব-- শুধু জীবন মন চরণে দিনু বুঝিয়া লহো সব। আমি কী আর কব ॥ এই সংসারপথসঙ্কট অতি কণ্টকময় হে, আমি নীরবে যাব হৃদয়ে লয়ে প্রেমমুরতি তব। আমি কী আর কব ॥ সুখ দুখ সব তুচ্ছ করিনু প্রিয় অপ্রিয় হে-- তুমি নিজ হাতে যাহা সঁপিবে তাহা মাথায় তুলিয়া লব। আমি কী আর কব ॥ অপরাধ যদি ক'রে থাকি পদে, না করো যদি ক্ষমা, তবে পরানপ্রিয়, দিয়ো হে দিয়ো বেদনা নব নব। তবু ফেলো না দূরে, দিবসশেষে ডেকে নিয়ো চরণে-- তুমি ছাড়া আর কী আছে আমার মৃত্যু-আঁধার ভব। আমি কী আর কব ॥