আঁধার অম্বরে প্রচণ্ড ডম্বরু   বাজিল গম্ভীর গরজনে।
অশত্থপল্লবে অশান্ত হিল্লোল   সমীরচঞ্চল দিগঙ্গনে॥
নদীর কল্লোল, বনের মর্মর,   বাদল-উচ্ছল নির্ঝরঝর্ঝর,
ধ্বনি তরঙ্গিল নিবিড় সঙ্গীতে-- শ্রাবণসন্ন্যাসী রচিল রাগিণী॥
কদম্বকুঞ্জের সুগন্ধমদিরা   অজস্র লুটিছে দুরন্ত ঝটিকা।
তড়িৎশিখা ছুটে দিগন্ত সন্ধিয়া,   ভয়ার্ত যামিনী উঠিছে ক্রন্দিয়া--
নাচিছে যেন কোন্‌ প্রমত্ত দানব   মেঘের দুর্গের দুয়ার হানিয়া ॥

জরজর প্রাণে, নাথ, বরিষন করো তব প্রেমসুধা--
          নিবারো এ হৃদয়দহন ॥
করো হে মোচন করো সব পাপমোহ,
          দূর করো বিষয়বাসনা ॥

            ভালো যদি বাস, সখী, কী দিব গো আর—
               কবির হৃদয় এই দিব উপহার ।।
          এত ভালোবাসা, সখী,   কোন্‌ হৃদে বলো দেখি—
            কোন্‌ হৃদে ফুটে এত ভাবের কুসুমভার ।।
          তা হলে এ হৃদিধামে  তোমারি তোমারি নামে
            বাজিবে মধুর স্বরে মরমবীণার তার ।
          যা-কিছু গাহিব গান  ধ্বনিবে তোমারি নাম—
            কী আছে কবির বলো, কী তোমারে দিব আর ।।