একদা প্রাতে কুঞ্জতলে    অন্ধ বালিকা
              পত্রপুটে আনিয়া দিল পুষ্পমালিকা।।
              কণ্ঠে পরি অশ্রুজল    ভরিল নয়নে,
              বক্ষে লয়ে চুমিনু তার   স্নিগ্ধ বয়নে।।
              কহিনু তারে, ‘অন্ধকারে    দাঁড়ায়ে রমণী,
              কী ধন তুমি করিছ দান    না জানো আপনি।
              পুষ্পসম অন্ধ তুমি    অন্ধ বালিকা,
              দেখ নি নিজে মোহন কী যে    তোমার মালিকা।’

না রে, না রে,    ভয় করব না    বিদায়বেদনারে।
            আপন সুধা দিয়ে    ভরে দেব তারে।
চোখের জলে সে-যে নবীন রবে,    ধ্যানের মণিমালায় গাঁথা হবে,
                পরব বুকের হারে॥
নয়ন হতে তুমি আসবে প্রাণে, মিলবে তোমার বাণী আমার গানে।
বিরহব্যথায় বিধুর দিনে    দুখের আলোয় তোমায় নেব চিনে,
            এ মোর সাধনা রে।

     শ্রান্ত কেন ওহে পান্থ, পথপ্রান্তে বসে একি খেলা!
আজি বহে অমৃতসমীরণ,         চলো চলো এইবেলা ॥
              তাঁর দ্বারে হেরো ত্রিভুবন দাঁড়ায়ে,
              সেথা অনন্ত উৎসব জাগে,
          সকল শোভা গন্ধ সঙ্গীত আনন্দের মেলা ॥