আরো চাই যে, আরো চাই গো-- আরো যে চাই। ভাণ্ডারী যে সুধা আমায় বিতরে নাই ॥ সকালবেলার আলোয় ভরা এই-যে আকাশ বসুন্ধরা এরে আমার জীবন-মাঝে কুড়ানো চাই-- সকল ধন যে বাইরে আমার, ভিতরে নাই ॥ প্রাণের বীণায় আরো আঘাত, আরো যে চাই। গুণীর পরশ পেয়ে সে যে শিহরে নাই। দিনরজনীর বাঁশি পূরে যে গান বাজে অসীম সুরে তারে আমার প্রাণের তারে বাজানো চাই। আপন গান যে দূরে তাহার, নিয়ড়ে নাই ॥
এই কথাটি মনে রেখো, তোমাদের এই হাসিখেলায় আমি যে গান গেয়েছিলেম জীর্ণ পাতা ঝরার বেলায়। শুকনো ঘাসে শূন্য বনে আপন-মনে অনাদরে অবহেলায় আমি যে গান গেয়েছিলেম জীর্ণ পাতা ঝরার বেলায়॥ দিনের পথিক মনে রেখো, আমি চলেছিলেম রাতে সন্ধ্যাপ্রদীপ নিয়ে হাতে। যখন আমার ও-পার থেকে গেল ডেকে ভেসেছিলেম ভাঙা ভেলায়। আমি যে গান গেয়েছিলেম জীর্ণ পাতা ঝরার বেলায়॥