জানি নাই গো সাধন তোমার বলে কারে। আমি ধুলায় বসে খেলেছি এই তোমার দ্বারে ॥ অবোধ আমি ছিলেম বলে যেমন খুশি এলেম চলে, ভয় করি নি তোমায় আমি অন্ধকারে ॥ তোমার জ্ঞানী আমায় বলে কঠিন তিরস্কারে, "পথ দিয়ে তুই আসিস নি যে, ফিরে যা রে।' ফেরার পন্থা বন্ধ করে আপনি বাঁধো বাহুর ডোরে, ওরা আমায় মিথ্যা ডাকে বারে বারে ॥
কেহ কারো মন বুঝে না, কাছে এসে সরে যায়। সোহাগের হাসিটি কেন চোখের জলে মরে যায়॥ বাতাস যখন কেঁদে গেল প্রাণ খুলে ফুল ফুটিল না, সাঁঝের বেলা একাকিনী কেন রে ফুল ঝরে যায়॥ মুখের পানে চেয়ে দেখো, আঁখিতে মিলাও আঁখি-- মধুর প্রাণের কথা প্রাণেতে রেখো না ঢাকি। এ রজনী রহিবে না, আর কথা হইবে না-- প্রভাতে রহিবে শুধু হৃদয়ের হায়-হায়॥
যখন তোমায় আঘাত করি তখন চিনি। শত্রু হয়ে দাঁড়াই যখন লও যে জিনি॥ এ প্রাণ যত নিজের তরে তোমারি ধন হরণ করে ততই শুধু তোমার কাছে হয় সে ঋণী॥ উজিয়ে যেতে চাই যতবার গর্বসুখে, তোমার স্রোতের প্রবল পরশ পাই যে বুকে। আলো যখন আলসভরে নিবিয়ে ফেলি আপন ঘরে লক্ষ তারা জ্বালায় তোমার নিশীথিনী॥