বিশ্বজোড়া ফাঁদ পেতেছ, কেমনে দিই ফাঁকি-- আধেক ধরা পড়েছি গো, আধেক আছে বাকি। কেন জানি আপনা ভুলে বারেক হৃদয় যায় যে খুলে, বারেক তারে ঢাকি-- আধেক ধরা পড়েছি যে, আধেক আছে বাকি। বাহির আমার শুক্তি যেন কঠিন আবরণ-- অন্তরে মোর তোমার লাগি একটি কান্না-ধন। হৃদয় বলে তোমার দিকে রইবে চেয়ে অনিমিখে, চায় না কেন আঁখি-- আধেক ধরা পড়েছি যে, আধেক আছে বাকি।
রোদনভরা এ বসন্ত সখী কখনো আসে নি বুঝি আগে। মোর বিরহবেদনা রাঙালো কিংশুকরক্তিমরাগে॥ কুঞ্জদ্বারে বনমল্লিকা সেজেছে পরিয়া নব পত্রালিকা, সারা দিন-রজনী অনিমিখা কার পথ চেয়ে জাগে॥ দক্ষিণসমীরে দূর গগনে একেলা বিরহী গাহে বুঝি গো। কুঞ্জবনে মোর মুকুল যত আবরণবন্ধন ছিঁড়িতে চাহে। আমি এ প্রাণের রুদ্ধ দ্বারে ব্যাকুল কর হানি বারে বারে-- দেওয়া হল না যে আপনারে এই ব্যথা মনে লাগে॥
বাছা, তুই যে আমার বুকচেরা ধন। তোর কথাতেই চলেছি পাপের পথে, পাপীয়সী। হে পবিত্র মহাপুরুষ, আমার অপরাধের শক্তি যত ক্ষমার শক্তি তোমার আরো অনেক গুণে বড়ো। তোমারে করিব অসম্মান-- তবু প্রণাম, তবু প্রণাম, তবু প্রণাম।