যে দিন ফুটল কমল কিছুই জানি নাই আমি ছিলেম অন্যমনে। আমার সাজিয়ে সাজি তারে আনি নাই সে যে রইল সংগোপনে। মাঝে মাঝে হিয়া আকুলপ্রায়, স্বপন দেখে চমকে উঠে চায়, মন্দ মধুর গন্ধ আসে হায় কোথায় দখিন-সমীরণে। ওগো সেই সুগন্ধে ফিরায় উদাসিয়া আমায় দেশে দেশান্তে। যেন সন্ধানে তার উঠে নিশ্বাসিয়া ভুবন নবীন বসন্তে। কে জানিত দূরে তো নেই সে, আমারি গো আমারি সেই যে, এ মাধুরী ফুটেছে হায় রে আমার হৃদয়-উপবনে।
তোমার দ্বারে কেন আসি ভুলেই যে যাই, কতই কী চাই-- দিনের শেষে ঘরে এসে লজ্জা যে পাই ॥ সে-সব চাওয়া সুখে দুখে ভেসে বেড়ায় কেবল মুখে, গভীর বুকে যে চাওয়াটি গোপন তাহার কথা যে নাই ॥ বাসনা সব বাঁধন যেন কুঁড়ির গায়ে-- ফেটে যাবে, ঝরে যাবে দখিন-বায়ে। একটি চাওয়া ভিতর হতে ফুটবে তোমার ভোর-আলোতে প্রাণের স্রোতে-- অন্তরে সেই গভীর আশা বয়ে বেড়াই ॥