সবার সাথে চলতেছিল অজানা এই পথের অন্ধকারে, কোন্ সকালের হঠাৎ আলোয় পাশে আমার দেখতে পেলেম তারে॥ এক নিমেষেই রাত্রি হল ভোর, চিরদিনের ধন যেন সে মোর, পরিচয়ের অন্ত যেন কোনোখানে নাইকো একেবারে-- চেনা কুসুম ফুটে আছে না-চেনা এই গহন বনের ধারে অজানা এই পথের অন্ধকারে॥ জানি জানি দিনের শেষে সন্ধ্যাতিমির নামবে পথের মাঝে-- আবার কখন পড়বে আড়াল, দেখাশোনার বাঁধন রবে না যে। তখন আমি পাব মনে মনে পরিচয়ের পরশ ক্ষণে ক্ষণে, জানব চিরদিনের পথে আঁধার আলোয় চলছি সারে সারে-- হৃদয়-মাঝে দেখব খুঁজে একটি মিলন সব-হারানোর পারে অজানা এই পথের অন্ধকারে॥
কী করিলি মোহের ছলনে। গৃহ তেয়াগিয়া প্রবাসে ভ্রমিলি, পথ হারাইলি গহনে।। ওই সময় চলে গেল, আঁধার হয়ে এল, মেঘ ছাইল গগনে। শ্রান্ত দেহ আর চলিতে চাহে না, বিঁধিছে কন্টক চরণে।। গৃহে ফিরে যেতে প্রাণ কাঁদিছে, এখন ফিরিব কেমনে। ‘পথ বলে দাও’ ‘পথ বলে দাও’ কে জানে কারে ডাকি সঘনে।। বন্ধু যাহারা ছিল সকলে চলে গেল, কে আর রহিল এ বনে। ওরে, জগতসখা আছে যা রে তাঁর কাছে, বেলা যে যায় মিছে রোদনে।। দাঁড়ায়ে গৃহদ্বারে জননী ডাকিছে, আয় রে ধরি তাঁর চরণে। পথের ধূলি লেগে অন্ধ আঁখি মোর, মায়েরে দেখেও দেখিলি নে। কোথা গো কোথা তুমি জননী, কোথা তুমি, ডাকিছ কোথা হতে এ জনে। হাতে ধরিয়ে সাথে লয়ে চলো তোমার অমৃতভবনে।।