চল্‌ চল্‌ ভাই,ত্বরা করে মোরা আগে যাই।
        প্রাণপণ খোঁজ্‌ এ বন সে বন,
                 চল্‌ মোরা ক-জন ওদিকে যাই।
          না না ভাই, কাজ নাই
                 হোথা কিছু নাই, কিছু নাই,
                 ওই ঝোপে যদি কিছু পাই।
         বরা বরা--
          আরে দাঁড়া দাঁড়া, অত ব্যস্ত হলে ফসকাবে শিকার,
                 চুপি চুপি আয়,চুপি চুপি আয় অশথতলায়,
                         এবার ঠিকঠাক হয়ে সব থাক্‌,
                 সাবধান ধর্‌ বাণ, সাবধান ছাড়্‌ বাণ,
                 গেল গেল, ঐ ঐ, পালায় পালায়,চল্‌ চল্‌।
                         ছোট্‌ রে পিছে আয় রে ত্বরা যাই।

          প্রাণে খুশির তুফান উঠেছে।
          ভয়-ভাবনার বাধা টুটেছে ॥
দুঃখকে আজ কঠিন বলে   জড়িয়ে ধরতে বুকের তলে
          উধাও হয়ে হৃদয় ছুটেছে ॥
হেথায় কারো ঠাঁই হবে না    মনে ছিল এই ভাবনা,
          দুয়ার ভেঙে সবাই জুটেছে।
যতন করে আপনাকে যে     রেখেছিলেম ধুয়ে মেজে,
          আনন্দে সে ধুলায় লুটেছে ॥

       যাও রে অনন্তধামে মোহ মায়া পাশরি
             দুঃখ আঁধার যেথা কিছুই নাহি।
       জরা নাহি, মরণ নাহি, শোক নাহি যে লোকে,
             কেবলি আনন্দস্রোত চলিছে প্রবাহি!
       যাও রে অনন্তধামে, অমৃতনিকেতনে,
             অমরগণ লইবে তোমা উদারপ্রাণে!
       দেব-ঋষি, রাজ-ঋষি, ব্রহ্ম-ঋষি যে লোকে
             ধ্যানভরে গান করে এক তানে!
       যাও রে অনন্তধামে জ্যোতিময় আলয়ে,
             শুভ্র সেই চিরবিমল পুণ্য কিরণে--
       যায় যেথা দানব্রত, সত্যব্রত, পুণ্যবান,
             যাও বৎস, যাও সেই দেবসদনে!