তার অন্ত নাই গো যে আনন্দে গড়া আমার অঙ্গ। তার অণু-পরমাণু পেল কত আলোর সঙ্গ। ও তার অন্ত নাই গো নাই। তারে মোহন-মন্ত্র দিয়ে গেছে কত ফুলের গন্ধ। তারে দোলা দিয়ে দুলিয়ে গেছে কত ঢেউয়ের ছন্দ। ও তার অন্ত নাই গো নাই। আছে কত সুরের সোহাগ যে তার স্তরে স্তরে লগ্ন সে যে কত রঙের রসধারায় কতই হল মগ্ন। ও তার অন্ত নাই গো নাই। কত শুকতারা যে স্বপ্নে তাহার রেখে গেছে স্পর্শ। কত বসন্ত যে ঢেলেছে তার অকারণের হর্ষ। ও তার অন্ত নাই গো নাই। সে যে প্রাণ পেয়েছে পান ক'রে যুগ-যুগান্তরের স্তন্য ভুবন কত তীর্থজলের ধারায় করেছে তায় ধন্য। ও তার অন্ত নাই গো নাই। সে যে সঙ্গিনী মোর আমারে সে দিয়েছে বরমাল্য। আমি ধন্য, সে মোর অঙ্গনে যে কত প্রদীপ জ্বালল। ও তার অন্ত নাই গো নাই।
দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ওপারে। আমার সুরগুলি পায় চরণ, আমি পাই নে তোমারে। বাতাস বহে মরি মরি আর বেঁধে রেখো না তরী, এসো এসো পার হয়ে মোর হৃদয়-মাঝারে। তোমার সাথে গানের খেলা দূরের খেলা যে, বেদনাতে বাঁশি বাজায় সকল বেলা যে। কবে নিয়ে আমার বাঁশি বাজাবে গো আপনি আসি, আনন্দময় নীরব রাতের নিবিড় আঁধারে।