যুগল পাখি (jugol pakhi)
স্বপ্নগগন পথের-চিহ্ন-হীন
সেথা ছিলে একদিন,
বিরহাবেগের উধাও মেঘের
সজল বাষ্পে লীন।
বহিল সহসা নববসন্ত-বায়,
এক দিগন্তে আনিল দোঁহারে
এক নব বেদনায়।
সেদিন ফাগুন আম্রমুকুলে ভরি
উড়ায়েছে উত্তরী,
গন্ধে-রসানো ঘোমটা-খসানো
পূর্ণিমাবিভাবরী।
সেদিন গগন মুখর বাঁশির গানে,
ধরণীর হিয়া ধায় উদাসিয়া
অভিসার-পথ-পানে।
অসীম শূন্যে সন্ধান গেল থেমে,
এলে বনতলে নেমে।
চঞ্চল পাখা মানিল বিরাম
সীমার মোহন প্রেমে।
লভিল শান্তি তৃপ্তিবিহীন আশা,
শ্যামল ধরার বক্ষের কাছে
রচিলে নিভৃত বাসা।
বাণীর ব্যথায় উচ্ছ্বাসি এক পাখি
গেয়ে ওঠো থাকি থাকি।
আর পাখি শোনো আপনার মনে
ডানা-'পরে মুখ রাখি।
ভাষার প্রবাহ মেলে ভাষাহারা গানে,
অধীরের সুর লভিল আকাশ
ধীর নীরবের প্রাণে।