ছড়া (chhora)
অলস মনের আকাশেতে
প্রদোষ যখন নামে,
কর্মরথের ঘড়্ঘড়ানি
যে-মুহূর্তে থামে,
এলোমেলো ছিন্নচেতন
টুকরো কথার ঝাঁক
জানি নে কোন্ স্বপ্নরাজের
শুনতে যে পায় ডাক,
ছেড়ে আসে কোথা থেকে
দিনের বেলার গর্ত--
কারো আছে ভাবের আভাস
কারো বা নেই অর্থ--
ঘোলা মনের এই যে সৃষ্টি,
আপন অনিয়মে
ঝিঁঝির ডাকে অকারণের
আসর তাহার জমে।
একটুখানি দীপের আলো
শিখা যখন কাঁপায়
চার দিকে তার হঠাৎ এসে
কথার ফড়িং ঝাঁপায়।
পষ্ট আলোর সৃষ্টি-পানে
যখন চেয়ে দেখি
মনের মধ্যে সন্দেহ হয়
হঠাৎ মাতন এ কি।
বাইরে থেকে দেখি একটা
নিয়ম-ঘেরা মানে,
ভিতরে তার রহস্য কী
কেউ তা নাহি জানে।
খেয়াল-স্রোতের ধারায় কী সব
ডুবছে এবং ভাসছে--
ওরা কী-যে দেয় না জবাব,
কোথা থেকে আসছে।
আছে ওরা এই তো জানি,
বাকিটা সব আঁধার--
চলছে খেলা একের সঙ্গে
আর-একটাকে বাঁধার।
বাঁধনটাকেই অর্থ বলি,
বাঁধন ছিঁড়লে তারা
কেবল পাগল বস্তুর দল
শূন্যেতে দিক্হারা।