মরাঠী: তুকারাম
                Verses
                
                    
                     ১
মাঝিয়ে মঁনীচা জাণা হা নির্ধার।
জিবাসি উদার জালোঁ আতাঁ॥
তুজবিণ দুজেঁ ন ধরীঁ আণিকা।
ভয় লজ্জা শংকা টাকিয়েলী॥
ঠাযীঁচা সংবন্ধ তুজ মজ হোতা।
বিশেষ অনন্ত কেলা সন্তীঁ॥
জীবভাব তুঝ্যা ঠেবিয়েলা পায়ীঁ।
হেঁ চি আতাঁ নাহীঁ লাজ তুম্হাঁ॥
তুকা হ্মণে সন্তীঁ ঘাতলা হাবালা।
ন সোডীঁ বিঠ্ঠলা পায আতাঁ॥
                  ১
শুন, দেব এ মনের বাসনানিচয়--
জীবনও সঁপিতে আমি নাহি করি ভয়। [১]
সকলই করেছি ত্যাগ, তোমারেই চাই--
সংশয় আশঙ্কা ভয় আর কিছু নাই।
হে অনন্তদেব, মোর    আছিল সম্বন্ধডোর
তব সাথে বহু পূর্বে যাহা,
মিলি যত সাধুগণ    আমাদের সে বাঁধন
দৃঢ়তর করিলেন আহা!
আর কিছু নাই, শুধু ভক্তি ও জীবন
যা আছে তোমারই পদে করেছি অর্পণ।
সাধুগণ সঁপিয়াছে    আমারে তোমারই কাছে,
আমি কভু ছাড়িব না ও তব চরণ।
তুমিই করো গো মোর লজ্জানিবারণ।
                     ২
নামদেবেঁ কেলেঁ স্বপ্নামাজী জাগেঁ।
সবেঁ পাণ্ডরংগে যেঊনিয়াঁ॥
সাংগিতলেঁ কাম করাবেঁ কবিত্ব।
বাউগেঁ নিমিত্য বোলোঁ নকো॥
মাপ টাকী সল ধরিলী বিঠ্ঠলেঁ।
থাপটোনি কেলেঁ সাবধান॥
প্রমাণাচী সংখ্যা সাংগে শত কোটী।
উরলে শেবটীঁ লাবী তুকা।
                     ২
নামদেব পাণ্ডুরঙ্গে লয়ে সঙ্গে ক'রে
একদা দিলেন দেখা স্বপ্নে তিনি মোরে।
আদেশ করিলা মোরে কবিতারচনে
মিছা দিন না যাপিয়া প্রলাপবচনে।
ছন্দ কহি দিলা মোরে, আদেশিলা [২] পিছু--
বিঠলেরে লক্ষ্য কোরো লিখিবে যা-কিছু। [২]
কহিলেন পিঠ মোর চাপড়িয়া হাতে
এক শত কোটি শ্লোক হইবে পুরাতে।
                  ৩
দ্যাল ঠাব তরি রাহেন সংগতী।
সন্তাঁচে পংগতী পায়াঁপাশীঁ॥
আবডীচা ঠাব আলোঁসেঁ টাকুন।
আতাঁ উদাসীন ন ধরাবেঁ॥
সেবটলি স্ছল নীচ মাঝী বৃত্তি।
আধারেঁ বিশ্রান্তী পাবঈন॥
নামদেবা পায়ীঁ তুক্যা স্বপ্নীঁ ভেটী।
প্রসাদ হা পোঁটী রাহিলাসে॥
                  ৩
যদি মোরে স্থান দাও [৩] তব পদছায়
দিবানিশি সাধুসঙ্গে রহিব সেথায়।
যাহা ভালোবাসিতাম ছেড়েছি সকল,
তুমি মোরে ছাড়িয়ো না শুন গো বিঠ্ঠল!
চরণের এক পাশে দেহ যদি স্থান
শান্তিসুখে কাটাইব এ মম পরান।
নামদেবে মোর [৪] কাছে পাঠালে স্বপনে,
[৫] এই অনুগ্রহ তব [৫] গাঁথা র'ল মনে।
                  ৪
মজচি ভোঁবতাঁ কেলা যেণেঁ জোগ।
কায় যাচা ভোগ অন্তরলা॥
চালোনিয়াঁ ঘরা সর্ব সুখেঁ য়েতী।
মাঝী তোঁ ফজীতী চুকেচি না॥
কোণাচী বাঈল হোঊনিয়াঁ বোঢ়ুঁ।
সঁবসারীঁ কাঢ়ুঁ আপদা কিতী॥
কায় তরী দেঊঁ তোড়তীল পোরেঁ।
মরতীঁ তরী বরেঁ হোতেঁ আতাঁ॥
কাঁহীঁ নেদী বাঁচোঁ ধোবিয়েলেঁ ঘর।
সারবাবয়া ঢ়োরশেণ নাহীঁ॥
তুকা হ্মণে রাণ্ড ন করিতাঁ বিচার।
বাহুনিয়াঁ ভার কুন্থে মাথাঁ॥
                       ৪
"আমারই বেলায় উনি যোগী!   নিজের তো বাকি নাই সুখ--
সব সুখ ঘরে আসে, শুধু   আমারই তো ঘুচিল না দুখ।
ঘরে মোর অন্ন নেই ব'লে   বলো দেখি যাই কার দ্বার?
এই পোড়া সংসারের তরে   আপদ সহিব কত আর?
অন্ন অন্ন ক'রে রাত দিন   ছেলেগুলো খেলে যে আমায়!
মরণ তাদের হয় যদি   সকল বালাই ঘুচে যায়।
সকলই ঝেঁটিয়ে নিয়ে যান,   তিলমাত্র ঘরে থাকা ভার।'
তুকা বলে, "দূর, পোড়ামুখী, আপনি মাথায় নিলি ভার।
এখন তাহার তরে মিছে    কাঁদিলে কী হবে বল্ আর!'
                                  ৫
কায় নেণোঁ হোতা দাবেদার মেলা।
বৈর তো সাধিলা হোঊনি গোহো॥
কিতী সর্বকাল সোসাবেঁ হেঁ দুঃখ।
কিতী লোকাঁ মুখ বাঁসুঁ তরী॥
ঝবে আপুলী আঈ কায় মাঝেঁ কেলেঁ।
ধড় যা বিট্টলে সংসারা চেঁ॥
তুকা হ্মণে যেতী বাঈলে আসড়ে।
ফুন্দোনিয়াঁ রড়ে হাঁসে কাঁহীঁ॥
                           ৫
"বোধ হয় এ পাষণ্ড   পূর্বজন্মে ছিল মোর অরি,
এ জনমে স্বামী হয়ে   বৈর সাধিতেছে এত করি।
কত ৬জ্বালা সবো বলো [৬] আর!   কত ভিক্ষা মাগি পরদ্বারে!
বিঠোবার মুখে ছাই!   কী ভালো কল্লেন এ সংসারে!'
তুকা বলে, "স্ত্রী আমার   রাগিয়া কতই কটু ভাষে--
কভুবা কাঁদিয়া মরে,   কভুবা আপনমনে হাসে।'
                 ৬
গোণী আলী ঘরা
দাণে খাঊঁ নেদী পোরাঁ॥
ভরী লোকাঞ্চী পাঁটোরী।
মেলা চোরটা খাণোরী॥
খবললী পিসী।
হাতা ঝেম্বে জৈসী লাঁসী॥
তুকা হ্মণে খোটা।
রাণ্ডে সঞ্চিতাচা সাঁটা॥
                                ৬
"ঘরে দুটা অন্ন এলে    ছেলেদের দেবো কোথা খেতে,
হতভাগা তা দেবে না--   সকলেই পরেরে যান দিতে।'
তুকা বলে, "অতিথিরে   যখনি গো দিতে যাই ভাত,
রাক্ষসীর মতো এসে   হতভাগী ধরে মোর হাত।'
"না জানি যে পূর্বজন্মে   কতই করিয়াছিলি পাপ'
তুকা বলে, "এ জনমে   তাই এত পেতেছিস তাপ।'
                      ৭
আতাঁ পোরা কায় খাসী।
গোহো ঝালা দেবলসী॥
ডোচকেঁ তিম্বী ঘাতল্যা মালা।
উদমাচা সাণ্ডী চালা॥
আপল্যা পোটা কেলী থোর।
আমচা নাহীঁ যেসপার॥
হাতীঁ টাল তোণ্ড বাসী।
গায় দে উলীঁ দেবাপাশীঁ॥
আতাঁ আম্হী করূঁ কায়।
ন বসে ঘরীঁ রানা জায়॥
তুকা হ্মণে আঁতা ধীরী।
আজুনী নাহীঁ জালেঁ তরী॥
                ৭
"খাবার কোথায় পাবি বাছা,
বাপ তোর থাকেন মন্দিরে--
মাথায় জড়ান তিনি মালা,
ঘরে আর আসেন না ফিরে।
নিজের হলেই হল খাওয়া,
আমাদের দেখেন না চেয়ে।
খর্তাল বাজিয়ে তিনি [৭] শুধু
মন্দিরে বেড়ান গেয়ে গেয়ে।
কী করিব বল্ দেখি বাছা৭,
কিছুই তো ভেবে নাহি পাই।
ঘরে না বসেন এক রতি,
চলে যান অরণ্যে সদাই।'
তুকা বলে, "ধৈর্য ধরো মনে [৭]
এখনো [৮] সকল ফুরায় নাই।'
             ৮
বরেঁ ঝালেঁ গেলেঁ।
আজী অবঘেঁ মিলালেঁ॥
আতাঁ খাঈন পোটভরী।
ওল্যা কোরড্যা ভাকরি॥
কিতী তরী তোণ্ড।
যাঁশীঁ বাজবুঁ মী রাণ্ড॥
তুকা বাইলে মানবলা।
ছিথু করূনিয়াঁ বোলা॥
                ৮
"গেছে সে আপদ গেছে,   ঘরেতে থাকিবে তবু রুটি।
যা হোক তা হোক ক'রে   পেট ভ'রে খেতে পাব দুটি।
বোকে বোকে দিনু এলে,   জ্বালাতন হনু হাড়ে মাসে।'
তুকা বলে, "যদিও সে   দিবানিশি কত কটু ভাষে,
তুকারে তুকার স্ত্রী [৯]   মনে মনে তবু ভালোবাসে।'
              ৯
ন করবে ধন্দা।
আইতা তোণ্ডীঁ পড়ে লোন্দা॥
উঠি তেঁ তেঁ কুটিতেঁ টাল।
অবঘা মাণ্ডিলা কোলাহল॥
জিবন্তচি মেলে।
লাজা বাটুনিয়াঁ প্যালে॥
সঁবসারাকড়ে।
ন পাহাতী ওস পড়ে॥
তলমলতী যাঞ্চ্যা রাণ্ডা।
ঘালিতী জীবা নাঁবেঁ ধোণ্ডা॥
তুকা হ্মণে বরেঁ ঝালেঁ।
ঘে গে বাইলে লিহিলেঁ॥
                     ৯
"ঘরে আর আসে না সে--   কোনো পরিশ্রম নাহি ক'রে
নিজে নাকি খেতে পায়   রোজ রোজ সুখে পেট ভরে!
না উঠিতে শয্যা হতে   মিলি দলবলগুলা-সাথে
করতাল বাজাইতে   আরম্ভ করেন অতি প্রাতে।
খেয়েছে লজ্জার মাথা,   জ্যান্তে তারা মড়ার মতন--
ঘরে আছে ছেলেপিলে,   তাদের তো না করে যতন।
স্ত্রী তাদের পড়ে আছে--   হতভাগী লজ্জা [১০] -দুঃখ-ভরে
অভিশাপ দিতে দিতে   মাথায় পাথর ভেঙে মরে।'
"ভাগ্যে যাহা আছে তাহা'--   তুকা বলে, "থাক সহ্য ক'রে।'
                   ১০
কোণ ঘরা যেতেঁ আমুচ্যা কাশালা।
কায় জ্যাচা ত্যালা নাহী ধন্দা॥
দেবাসাঠীঁ ঝালেঁ ব্রহ্মাণ্ড সোইরেঁ।
কোঁবল্যা উত্তরেঁ কায় বেঁচে॥
মানেঁ পাচারিতাঁ নব্হে আরাণুকা।
ঐসেঁ যেতী লোক প্রীতীসাঠীঁ॥
তুকা হ্মণে রাণ্ডে নাবড়ে ভূষণ।
কঁতেলেঁসেঁ শ্বান লাগে পাঠীঁ॥
                           ১০
"হেথা কেন আসে লোকগুলা,
তাদের কি কাজ নাই [১১] হাতে?'
তুকা কহে, "ঈশ্বরের তরে
ব্রহ্মাণ্ড [১২] মিলেছে মোর সাথে।
[১৩] ভালোমুখে দু-চারিটা কথা
না জানি তাহে কী ক্ষতি আছে! [১৩]
কোথাও যায় না যারা কভু৭
ভালোবেসে আসে মোর কাছে।
এও সে বাসে না ভালো-- হায় [৭],
ভাগ্য কিবা আছে এর বাড়া!
সকল লোকের পাছে পাছে [৭]
কুকুরের মতো করে তাড়া।'
                ১১
আহ্মী  জাতোঁ আপুল্যা গাঁবা।
আমুচা রামরাম ঘ্যাবা॥
তুমচী আমচী হে চি ভেটী।
যেথুনিয়াঁ জন্মতুটী॥
আতাঁ অসোঁ দ্যাবী দয়া।
তুমচ্যা লগতসেঁ পায়াঁ॥
যে তাঁ নিজধামীঁ কোণী।
বিঠ্ঠল বিঠ্ঠল বোলা বাণী।
রামকৃষ্ণ মুখীঁ বোলা।
তুকা জাতো  বৈকুণ্ঠালা॥
                     ১১
দেও গো বিদায় এবে যাই নিজধামে--
এতকাল আছিলাম তোমাদের গ্রামে।
আর কী কহিব বলো, মনে রেখো মোরে--
আর না ভ্রমিতে হবে সংসারের ঘোরে।
বলো সবে রাম কৃষ্ণ বিঠ্ঠলের নাম
বৈকুণ্ঠে পৃথিবী ছাড়ি যায় তুকারাম।
                   ১২
ঘরিঞ্চি দারিঞ্চি সুখী তুহ্মি নান্দা।
বডিলাঁসি সাঙ্গা দণ্ডবত॥
মধাচিয়ে গোড়ী মাশী ঘালি উড়ি!
গেলি প্রাপ্তঘড়ী পুন্হা নয়ে॥
গঙ্গেচা তো ওঘ সাগরাসী গেলা।
নাহিঁ মাগেঁ আলা পরতোনী॥
ঐসিয়া শব্দাচা বরা হেত ধরা।
উপকার করা তুকয়াবরী॥
                     ১২
বাহিরে ও ঘরে মোর আছ যারা যারা
এই আশীর্বাদ-- সুখে থাকো গো তোমরা।
গুরু পূজ্যলোক মোর রয়েছেন যত
প্রণতি তাঁদের মোর জানাইবে শত।
মধু-অন্বেষণ-তরে অলি যায় উড়ে--
বস্ত্র ছিন্ন হ'লে পরে আর কি সে জুড়ে?
নদী যবে একবার সাগরেতে মিশে
তার সেই স্রোত আর ফিরাইবে কিসে?
এই-সব কথাগুলি মনে জেনো সার--
এই-যে চলিল তুকা ফিরিবে না আর।
                     ১৩
পতাকাঞ্চা ভার মৃদঙ্গাচা ঘোষ।
জাতী হরিদাস পংঢরীসী॥
লোকাঞ্চী পংঢরী আহে ভূমীবরী।
আহ্মা জাণেঁ দূরী বৈকুণ্ঠাসী॥
কাঁহী' কেল্যা তুহ্মা উমজেনা বাট।
হ্মনুনি বোভাট করূনি জাতোঁ॥
মাগেঁ পুঢেঁ রডাল করাল আরোলী।
মগ কদাকালীঁ তুকা ন য়ে॥
                     ১৩
ধরায় পাণ্ডরী আছে লোকেদের তরে,
আমি চলিলাম কিন্তু বৈকুণ্ঠের 'পরে।
যাহা-কিছু কর সবে ইহা জেনো সার--
বৈকুণ্ঠের সেই পথ খুঁজে পাওয়া ভার।
আমি গেলে কাঁদিবে সকলে উচ্চরবে,
কিন্তু আর ফিরিব না মনে জেনো সবে।
আমার যে পথ, বড়ো সহজ সে নয়--
দুর্গম সে পথ অতি জানিয়ো নিশ্চয়।
                   ১৪
সখে সজ্জনহো ঘ্যারে রামনাম।
সঙ্গে এতো কোণ নিশ্চয়েসী॥
আমুচে গাবীঞ্চে জারী রত্ন গেলেঁ।
নাহিঁ সাংগীতলে হ্মণাল কোণী॥
হ্মণোনীয়া জরী তুহ্মাঁ করিতোঁ ঠাওয়েঁ।
ন কলে তরী জাওয়ে পুঢে বাটে॥
ইতক্যাবরী রহাল জরী তুম্হি মাগে।
তুকা নিরোপ সাঙ্গে বিঠোবাশিঁ॥
                   ১৪
বন্ধুগণ, শুন, রামনাম করো সবে--
তিনি ছাড়া সত্য বলো কী আছে এ ভবে।
"গ্রামের রত্ন যে ছিল সে ছাড়িল দেহ
মোদের সে বার্তা তবু জানালে না কেহ'
পাছে এই কথা বলো ভয় করি, তাই
পৃথ্বী ছাড়িবার আগে জানাইনু ভাই!
লইয়া ধ্বজার বোঝা, করি ভেরীরব
পাণ্ডরীপুরেতে যায় হরিভক্ত সব।
                   ১৫
তুকা উতরলা তুকীঁ।
নবল জালেঁ তিহীঁ লোকীঁ॥
নিত্য করিতোঁ কীর্তন।
হেঁ চি মাঝেঁ অনুষ্ঠান॥
তুকা বৈসলা বিমানীঁ।
সন্ত পাহাতী লোচনীঁ॥
দেব ভাবাচা ভুকেলা।
তুকা বৈকুণ্ঠাসী নেলা॥
                ১৫
তুকার পরীক্ষা শেষ হয়,
তিন লোকে লাগিল বিস্ময়।
প্রত্যহ দেবতাগুণগান
ইথে তার কেটে গেছে প্রাণ।
তুকা বসি আছে স্বর্গরথে,
দেবগণ দেখে স্বর্গ হতে।
বিধি তিনি ভক্ত শুধু চান,
তুকারে বৈকুণ্ঠে লয়ে যান।
তুকা বৈসলা বিমানীঁ।
সন্ত পাহাতী লোচনীঁ॥
দেব ভাবাচা ভুকেলা।
তুকা বৈকুণ্ঠাসী নেলা॥
     টীকা :    ১  নবরত্নমালা-ধৃত প্রথম-দ্বিতীয় ছত্র--
                            শুন, দেব, মনে যাহা করেছি নিশ্চয়,
                            জীবন সঁপিনু পদে হইয়ে নির্ভয়।
                 ২নবরত্নমালায় পাঠান্তর--
                                              গম্ভীর সে বাণী,
                            বিঠ্ঠলজী নিজহস্তে ধরেন লেখনী।
                 ৩নবরত্নমালা : দেও
                 ৪  নবরত্নমালা : তুকা-
                 ৫  নবরত্নমালা : তোমার প্রসাদ এই
                 ৬নবরত্নমালা : দুঃখ সব
                 ৭  শব্দটি পাণ্ডুলিপিতে নাই।
                 ৮পাণ্ডুলিপিতে : এখনি
                 ৯  নবরত্নমালা : স্ত্রী যে
                 ১০       নবরত্নমালা : লাজ
                 ১১পাণ্ডুলিপি : নেই
                 ১২       পাণ্ডুলিপি : পৃথিবী
                 ১৩       ছত্রদ্বয়ের পাণ্ডুলিপি-ধৃত পাঠ--
                            দুচারিটা ভাল বাক্যে
                            তাতে কিবা ক্ষতি বৃদ্ধি  আ[ছে]
     ॥ মন্তব্য॥  ১, ২, ৩, ৫, ৮, ৯, ১৩, ১৪ ও ১৫-সংখ্যক তুকারাম-ভজনের ভাষান্তর পাণ্ডুলিপি হইতে সংকলিত। ৪, ৭, ১০ ও ১১ -সংখ্যক রূপান্তর নবরত্নমালা হইতে গৃহীত। ৬ ও ১২ -সংখ্যক বাংলা কবিতার পাঠ নবরত্নমালায় ও মালতীপুঁথিতে অভিন্ন। মালতীপুঁথির জীর্ণতা-বশতঃ ৪, ৭, ১০ ও ১১ -সংখ্যক রূপান্তর পাণ্ডুলিপিতে কোনো কোনো স্থলে পড়া যায় না।
                
                আরো দেখুন