এক যে ছিল রাজা সেদিন আমায় দিল সাজা। ভোরের রাতে উঠে আমি গিয়েছিলুম ছুটে, দেখতে ডালিম গাছে বনের পিরভু কেমন নাচে। ডালে ছিলেম চড়ে, সেটা ভেঙেই গেল পড়ে। সেদিন হল মানা আমার পেয়ারা পেড়ে আনা, রথ দেখতে যাওয়া, আমার চিঁড়ের পুলি খাওয়া। কে দিল সেই সাজা, জান কে ছিল সেই রাজা?
এক যে ছিল রানী আমি তার কথা সব মানি। সাজার খবর পেয়ে আমায় দেখল কেবল চেয়ে। বললে না তো কিছু, কেবল মুখটি করে নিচু আপন ঘরে গিয়ে সেদিন রইল আগল দিয়ে। হল না তার খাওয়া, কিংবা রথ দেখতে যাওয়া। নিল আমায় কোলে সাজার সময় সারা হলে। গলা ভাঙা-ভাঙা, তার চোখ-দুখানি রাঙা। কে ছিল সেই রানী আমি জানি জানি জানি।
বজ্রে তোমার বাজে বাঁশি, সে কি সহজ গান। সেই সুরেতে জাগব আমি দাও মোরে সেই কান। ভুলব না আর সহজেতে, সেই প্রাণে মন উঠবে মেতে মৃত্যুমাঝে ঢাকা আছে যে অন্তহীন প্রাণ। সে ঝড় যেন সই আনন্দে চিত্তবীণার তারে সপ্ত সিন্ধু দশ দিগন্ত নাচাও যে ঝংকারে। আরাম হতে ছিন্ন ক'রে সেই গভীরে লও গো মোরে অশান্তির অন্তরে যেথায় শান্তি সুমহান।