কুষ্মাণ্ডের মনে মনে বড়ো অভিমান বাঁশের মাচাটি তার পুষ্পক বিমান। ভুলেও মাটির পানে তাকায় না তাই, চন্দ্রসূর্যতারকারে করে ভাই ভাই। নভশ্চর ব'লে তার মনের বিশ্বাস, শূণ্যপানে চেয়ে তাই ছাড়ে সে নিশ্বাস। ভাবে শুধু মোটা এই বোঁটাখানা মোরে বেঁধেছে ধরার সাথে কুটুম্বিতা-ডোরে। বোঁটা যদি কাটা পড়ে তখনি পলকে উড়ে যাব আপনার জ্যোতির্ময় লোকে। বোঁটা যবে কাটা গেল, বুঝিল সে খাঁটি, সূর্য তার কেহ নয়, সবই তার মাটি।
একটি চুম্বন দাও প্রমদা আমার জনমের মতো দেখা হবে না কো আর। মর্মভেদী অশ্রু দিয়ে, পূজিব তোমারে প্রিয়ে দুখের নিশ্বাস আমি দিব উপহার। সে তো তবু আছে ভালো, একটু আশার আলো জ্বলিতেছে অদৃষ্টের আকাশে যাহার। কিন্তু মোর আশা নাই, যে দিকে ফিরিয়া চাই সেই দিকে নিরাশার দারুণ আঁধার! ভালো যে বেসেছি তারে দোষ কী আমার? উপায় কী আছে বলো উপায় কী তার? দেখামাত্র সেই জনে, ভালোবাসা আসে মনে ভালো বাসিলেই ভুলা নাহি যায় আর! নাহি বাসিতাম যদি এত ভালো তারে অন্ধ হয়ে প্রেমে তার মজিতাম না রে যদি নাহি দেখিতাম, বিচ্ছেদ না জানিতাম তা হলে হৃদয় ভেঙে যেত না আমার! আমারে বিদায় দাও যাই গো সুন্দরী, যাই তবে হৃদয়ের প্রিয় অধীশ্বরী, থাকো তুমি থাকো সুখে, বিমল শান্তির বুকে সুখ, প্রেম, যশ, আশা থাকুক তোমার একটি চুম্বন দাও প্রমদা আমার।