অপরাহ্নে এসেছিল জন্মবাসরের আমন্ত্রণে পাহাড়িয়া যত। একে একে দিল মোরে পুষ্পের মঞ্জরি নমস্কারসহ। ধরণী লভিয়াছিল কোন্ ক্ষণে প্রস্তর আসনে বসি বহু যুগ বহ্নিতপ্ত তপস্যার পরে এই বর, এ পুষ্পের দান, মানুষের জন্মদিনে উৎসর্গ করিবে আশা করি। সেই বর, মানুষেরে সুন্দরের সেই নমস্কার আজি এল মোর হাতে আমার জন্মের এই সার্থক স্মরণ। নক্ষত্রে-খচিত মহাকাশে কোথাও কি জ্যোতিঃসম্পদের মাঝে কখনো দিয়েছে দেখা এ দুর্লভ আশ্চর্য সম্মান।
কী কথা বলিব বলে বাহিরে এলেম চলে, দাঁড়ালেম দুয়ারে তোমার-- ঊর্ধ্বমুখে উচ্চরবে বলিতে গেলেম যবে কথা নাহি আর। যে কথা বলিতে চাহে প্রাণ সে শুধু হইয়া উঠে গান। নিজে না বুঝিতে পারি, তোমারে বুঝাতে নারি, চেয়ে থাকি উৎসুক-নয়ান। তবে কিছু শুধায়ো না-- শুনে যাও আনমনা, যাহা বোঝ, যাহা নাই বোঝ। সন্ধ্যার আঁধার-পরে মুখে আর কণ্ঠস্বরে বাকিটুকু খোঁজো। কথায় কিছু না যায় বলা, গান সেও উন্মত্ত উতলা। তুমি যদি মোর সুরে নিজ কথা দাও পুরে গীতি মোর হবে না বিফলা।