×
Home
Artists
Verses
Songs
Novels
Stories
Plays
Essays
Others
Login
Login
×
Login
Signup
Email
Password
Forgot your password?
Log in
Or Continue With
Login With
Name
Email
Password
Confirm Password
Register
Or Continue With
Signup With
Home
Verses
লেখন
লেখন
লেখন (60)
৬০
৬০
পর্বতমালা আকাশের পানে চাহিয়া না কহে কথা,
অগমের লাগি ওরা ধরণীর স্তম্ভিত ব্যাকুলতা॥
Rendition
Related Topics
9
Verses
সতিমির রজনী, সচকিত সজনী
শূন্য নিকুঞ্জ অরণ্য।
কলয়িত মলয়ে, সুবিজন নিলয়ে
বালা বিরহবিষণ্ণ!
নীল আকাশে, তারক ভাসে,
যমুনা গাওত গান,
পাদপ মরমর, নির্ঝর ঝরঝর
কুসুমিত বল্লিবিতান।
তৃষিত নয়ানে, বন-পথ পানে
নিরখে ব্যাকুল বালা,
দেখ না পাওয়ে, আঁখ ফিরাওয়ে
গাঁথে বনফুলমালা।
সহসা রাধা চাহল সচকিত
দূরে খেপল মালা,
কহল-সজনি শুন, বাঁশরি বাজে
কুঞ্জে আওল কালা।
চকিত গহন নিশি, দূর দূর দিশি
বাজত বাঁশি সুতানে।
কন্ঠ মিলাওল ঢলঢল যমুনা
কল কল কল্লোলগানে।
ভণে ভানু, অব শুন গো কানু
পিয়াসিত গোপিনী প্রাণ।
তোঁহার পীরিত বিমল অমৃতরস
হরষে করবে পান।
আরো দেখুন
রঙ্গ
Verses
"এ তো বড়ো রঙ্গ' ছড়াটির অনুকরণে লিখিত
এ তো বড়ো রঙ্গ, জাদু, এ তো বড়ো রঙ্গ--
চার মিঠে দেখাতে পার যাব তোমার সঙ্গ।
বরফি মিঠে, জিলাবি মিঠে, মিঠে শোন-পাপড়ি--
তাহার অধিক মিঠে, কন্যা, কোমল হাতের চাপড়ি।
এ তো বড়ো রঙ্গ, জাদু, এ তো বড়ো রঙ্গ--
চার সাদা দেখাতে পার যাব তোমার সঙ্গ।
ক্ষীর সাদা, নবনী সাদা, সাদা মালাই রাবড়ি--
তাহার অধিক সাদা তোমার পষ্ট ভাষার দাবড়ি।
এ তো বড়ো রঙ্গ, জাদু, এ তো বড়ো রঙ্গ--
চার তিতো দেখাতে পার যাব তোমার সঙ্গ।
উচ্ছে তিতো, পলতা তিতো, তিতো নিমের সুক্ত--
তাহার অধিক তিতো যাহা বিনি ভাষায় উক্ত।
এ তো বড়ো রঙ্গ, জাদু, এ তো বড়ো রঙ্গ--
চার কঠিন দেখাতে পার যাব তোমার সঙ্গ।
লোহা কঠিন, বজ্র কঠিন, নাগরা জুতোর তলা--
তাহার অধিক কঠিন তোমার বাপের বাড়ি চলা।
এ তো বড়ো রঙ্গ, জাদু, এ তো বড়ো রঙ্গ--
চার মিথ্যে দেখাতে পার যাব তোমার সঙ্গ।
মিথ্যে ভেলকি, ভূতের হাঁচি, মিথ্যে কাঁচের পান্না--
তাহার অধিক মিথ্যে তোমার নাকি সুরের কান্না।
আরো দেখুন
আর্তস্বর
Verses
শ্রাবণে গভীর নিশি দিগ্বিদিক আছে মিশি
মেঘেতে মেঘেতে ঘন বাঁধা,
কোথা শশী কোথা তারা মেঘারণ্যে পথহারা
আঁধারে আঁধারে সব আঁধা।
জ্বলন্ত বিদ্যুৎ-অহি ক্ষণে ক্ষণে রহি রহি
অন্ধকারে করিছে দংশন।
কুম্ভকর্ণ অন্ধকার নিদ্রা টুটি বার বার
উঠিতেছে করিয়া গর্জন।
শূন্যে যেন স্থান নাই, পরিপূর্ণ সব ঠাঁই,
সুকঠিন আঁধার চাপিয়া।
ঝড় বহে, মনে হয় ও যেন রে ঝড় নয়,
অন্ধকার দুলিছে কাঁপিয়া।
মাঝে মাঝে থরথর কোথা হতে মরমর
কেঁদে কেঁদে উঠিছে অরণ্য।
নিশীথসমুদ্র-মাঝে জলজন্তু-সম রাজে
নিশাচর যেন রে অগণ্য।
কে যেন রে মুহুর্মুহু নিশ্বাস ফেলিছে হু হু,
হু হু করে কেঁদে কেঁদে ওঠে,
সূদূর অরণ্যতলে ডালপালা পায়ে দ'লে
আর্তনাদ করে যেন ছোটে।
এ অনন্ত অন্ধকারে কে রে সে, খুঁজিছে কারে,
তন্ন তন্ন আকাশগহ্বর।
তারে নাহি দেখে কেহ, শুধু শিহরায় দেহ
শুনি তার তীব্র কণ্ঠস্বর।
তুই কি রে নিশীথিনী অন্ধকারে অনাথিনী
হারাইলি জগতেরে তোর?
অনন্ত আকাশ-'পরি ছুটিস রে হা হা করি,
আলোড়িয়া অন্ধকার ঘোর।
তাই কি রে থেকে থেকে নাম ধরে ডেকে ডেকে
জগতেরে করিস আহ্বান।
শুনি আজি তোর স্বর শিহরিত কলেবর,
কাঁদিয়া উঠিছে কার প্রাণ।
কে আজি রে তোর সাথে ধরি তোর হাতে হাতে
খুঁজিতে চাহিছে যেন কারে।
মহাশূন্যে দাঁড়াইয়ে প্রান্ত হতে প্রান্তে গিয়ে
কে চাহে কাঁদিতে অন্ধকারে!
আঁধারেতে আঁখি ফুটে ঝটিকার 'পরে ছুটে
তীক্ষ্নশিখা বিদ্যুৎ মাড়ায়ে
হু হু করি নিশ্বাসিয়া চলে যাবে উদাসিয়া
কেশপাশ আকাশে ছড়ায়ে।
উলঙ্গিনী উন্মাদিনী ঝটিকার কণ্ঠ জিনি
তীব্র কণ্ঠে ডাকিবে তাহারে,
সে বিলাপ কেঁপে কেঁপে বেড়াবে আকাশ ব্যেপে
ধ্বনিয়া অনন্ত অন্ধকারে।
ছিঁড়ি ছিঁড়ি কেশপাশ কভু কান্না কভু হাস
প্রাণ ভ'রে করিবে চীৎকার,
বজ্র-আলিঙ্গন দিয়ে বুকে তোরে জড়াইয়ে
ছুটিতে গিয়েছে সাধ তার।
আরো দেখুন
Please
Login
first to submit a rendition.
Click here
for help.