সকল আকাশ,           সকল বাতাস,
       সকল শ্যামল ধরা,
সকল কান্তি,              সকল শান্তি
         সন্ধ্যাগগন-ভরা,
যত-কিছু সুখ            যত সুধামুখ,
         যত মধুমাখা হাসি,
যত নব নব                বিলাসবিভব,
         প্রমোদমদিরারাশি,
সকল পৃথ্বী,               সকল কীর্তি,
         সকল অর্ঘ্যভার,
বিশ্বমথন                   সকল যতন,
         সকল রতনহার,
সব পাই যদি              তবু নিরবধি
         আরো পেতে চায় মন--
যদি তারে পাই           তবে শুধু চাই
         একখানি গৃহকোণ।

THEY SAID that Kabir, the weaver, was favoured of God, and the crowd flocked round him for medicine and miracles. But he was troubled; his low birth had hitherto endowed him with a most precious obscurity to sweeten with songs and with the presence of his God. He prayed that it might be restored.
        Envious of the repute of this outcast, the priests leagued themselves with a harlot to disgrace him. Kabir came to the market to sell cloths from his loom; when the woman grasped his hand, blaming him for being faithless, and followed him to his house, saying she would not be forsaken, Kabir said to himself, 'God answers prayers in his own way.'
        Soon the woman felt a shiver of fear and fell on her knees and cried, 'Save me from my sin!' To which he said, 'Open your life to God's light!'
        Kabir worked at his loom and sang, and his songs washed the stains from that woman's heart, and by way of return found a home in her sweet voice.
        One day the King, in a fit of caprice, sent a message to Kabir to come and sing before him. The weaver shook his head: but the messenger dared not leave his door till his master's errand was fulfilled.
        The King and his courtiers started at the sight of Kabir when he entered the hall. For he was not alone, the woman followed him. Some smiled, some frowned, and the King's face darkened at the beggar's pride and shamelessness.
        Kabir came back to his house disgraced, the woman fell at his feet crying, 'Why accept such dishonour for my sake, master? Suffer me to go back to my infamy!'
Kabir said, 'I dare not turn my God away when he comes branded with insult.'

চৈত্রের রাতে যে মাধবীমঞ্জরী
ঝরে গেল, তারে কেন লও সাজি ভরি।
সে শুধিছে তার ধুলায় চরম দেনা,
আজ বাদে কাল যাবে না তো তারে চেনা।
মরুপথে যেতে পিপাসার সম্বল
গাগরি হইতে চলকিয়া পড়ে জল,
সে জলে বালুতে ফল কি ফলাতে পারো?
সে জলে কি তাপ মিটিবে কখনো কারো?
যাহা দেওয়া নহে, যাহা শুধু অপচয়,
তারে নিতে গেলে নেওয়া অনর্থ হয়।
ক্ষতির ধনেরে ক্ষয় হতে দেওয়া ভালো,
কুড়াতে কুড়াতে শুকায়ে সে হয় কালো।
হায় গো ভাগ্য, ক্ষণিক করুণাভরে
যে হাসি যে ভাষা ছড়ায়েছ অনাদরে,
বক্ষে তাহারে সঞ্চয় করে রাখি--
ধুলা ছাড়া তার কিছুই রয় না বাকি।
নিমেষে নিমেষে ফুরায় যাহার দিন
চিরকাল কেন বহিব তাহার ঋণ?
যাহা ভুলিবার তাহা নহে তুলিবার,
স্বপ্নের ফুলে কে গাঁথে গলার হার!
প্রতি পলকের নানা দেনাপাওনায়
চলতি মেঘের রঙ বুলাইয়া যায়
জীবনের স্রোতে; চলতরঙ্গতলে
ছায়ার লেখন আঁকিয়া মুছিয়া চলে
শিল্পের মায়া--নির্মম তার তুলি
আপনার ধন আপনি সে যায় ভুলি।
বিস্মৃতিপটে চিরবিচিত্র ছবি
লিখিয়া চলেছে ছায়া-আলোকের কবি।
                   হাসিকান্নার নিত্য-ভাসান খেলা
বহিয়া চলেছে বিধাতার অবহেলা।
নহে সে কৃপণ, রাখিতে যতন নাই,
খেলাপথে তার বিঘ্ন জমে না তাই।
মানো সেই লীলা, যাহা যায় যাহা আসে
পথ ছাড়ো তারে অকাতরে অনায়াসে।
আছে তবু নাই, তাই নাই তার ভার;
ছেড়ে যেতে হবে, তাই তো মূল্য তার।
স্বর্গ হইতে যে সুধা নিত্য ঝরে
সে শুধু পথের, নহে সে ঘরের তরে।
তুমি ভরি লবে ক্ষণিকের অঞ্জলি,
স্রোতের প্রবাহ চিরদিন যাবে চলি।