চোদ্দো (ogo toruni)
ওগো তরুণী,
ছিল অনেক দিনের পুরানো বছরে
এমনি একখানি নতুন কাল,
দক্ষিণ হাওয়ায় দোলায়িত,
সেই কালেরই আমি ।
মুছে-আসা ঝাপসা পথ বেয়ে
এসে পড়েছি বনগন্ধের সংকেতে
তোমাদের এই আজকে-দিনের নতুন কালে ।
পারো যদি মেনে নিয়ো আমায় সখা বলে ।
আর কিছু নয়,আমি গান জোগাতে পারি
তোমাদের মিলনরাতে
আমার সেই নিদ্রাহারা সুদূর রাতের গান;
তার সুরে পাবে দুরের নতুনকে,
তোমার লাগবে ভালো,
পাবে আপনাকেই
আপনার সীমানার অতীত পারে ।
সেদিনকার বসন্তের বাঁশিতে
লেগেছিল যে প্রিয়বন্দনার তান
আজ সঙ্গে এনেছি তাই,
সে নিয়ো তোমার অর্ধনিমীলিত চোখের পাতায়,
তোমার দীর্ঘনিশ্বাসে ।
আমার বিস্মৃত বেদনার আভাসটুকু
ঝরা ফুলের মৃদু গন্ধের মতো
রেখে দিয়ে যাব তোমার নববসন্তের হাওয়ায়।
সেদিনকার ব্যথা
অকারণে বাজবে তোমার বুকে;
মনে বুঝবে, সেদিন তুমি ছিলে না তবু ছিলে,
নিখিল যৌবনের রঙ্গভূমির নেপথ্যে
যবনিকার ও পারে ।
ওগো চিরন্তনী,
আজ আমার বাঁশি তোমাকে বলতে এল--
যখন তুমি থাকবে না তখনো তুমি থাকবে আমার গানে ।
ডাকতে এলেম আমার হারিয়ে-যাওয়া পুরোনোকে
তার খুঁজে-পাওয়া নতুন নামে ।
হে তরুণী,
আমাকে মেনে নিয়ো তোমার সখা বলে,
তোমার অন্যযুগের সখা ।