৩৩ (bohukal age tumi diyechhile)
বহুকাল আগে তুমি দিয়েছিলে একগুচ্ছ ধূপ,
আজি তার ধোঁয়া হতে বাহিরিল অপরূপ রূপ;
যেন কোন্ পুরানী আখ্যানে
স্তব্ধ মোর ধ্যানে
ধীরপদে এল কোন্ মালবিকা
লয়ে দীপশিখা
মহাকালমন্দিরের দ্বারে
যুগান্তের কোন্ পারে।
সদ্যস্নান-পরে
সিক্ত বেণী গ্রীবা তার জড়াইয়া ধরে,
চন্দনের মৃদু গন্ধ আসে
অঙ্গের বাতাসে।
মনে হয়, এই পূজারিনী--
এরে আমি বার বার চিনি,
আসে মৃদুমন্দ পদে
চিরদিবসের বেদিতলে
তুলি ফুল শুচিশুভ্র বসন-অঞ্চলে।
শান্ত স্নিগ্ধ চোখের দৃষ্টিতে
সেই বাণী নিয়ে আসে এ যুগের ভাষার সৃষ্টিতে।
সুললিত বাহুর কঙ্কণে
প্রিয়জন-কল্যাণের কামনা বহিছে সযতনে।
প্রীতি আত্মহারা
আদি সূর্যোদয় হতে
বহি আনে আলোকের ধারা।
দূর কাল হতে তারি
হস্ত দুটি লয়ে সেবারস
আতপ্ত ললাট মোর আজও ধীরে করিছে পরশ।