যখন আমায় বাঁধ আগে পিছে, মনে করি আর পাব না ছাড়া। যখন আমায় ফেল তুমি নীচে, মনে করি আর হব না খাড়া। আবার তুমি দাও যে বাঁধন খুলে, আবার তুমি নাও আমারে তুলে, চিরজীবন বাহু-দোলায় তব এমনি করে কেবলি দাও নাড়া। ভয় লাগায়ে তন্দ্রা কর ক্ষয়, ঘুম ভাঙায়ে তখন ভাঙ ভয়। দেখা দিয়ে ডাক দিয়ে যাও প্রাণে, তাহার পরে লুকাও যে কোন্খানে, মনে করি এই হারালেম বুঝি, কোথা হতে আবার যে দাও সাড়া।
শ্লথপ্রাণ দুর্বলের স্পর্ধা আমি কভু সহিব না। লোলুপ সে লালায়িত, প্রেমেরে সে করে বিড়ম্বনা ক্লেদঘন চাটুবাক্যে, বাষ্পে বিজড়িত দৃষ্টি তার কলুষকুণ্ঠিত অঙ্গে লিপ্ত করে গ্লানি লালসার, আবেশে মন্থর কণ্ঠে গদ্গদ সে প্রার্থনা জানায় আলোকবঞ্চিত তার অন্তরের কানায় কানায় দুষ্ট ফেন উঠে বুদ্বুদিয়া-- ফেটে যায়, দেয় খুলি রুদ্ধ বিষবায়ু। গলিত মাংসের যেন ক্রিমিগুলি কল্পনাবিকার তার শিথিল চিন্তার তলে তলে আকুলিতে থাকে কিলিবিলি।-- যেন প্রাণপণ বলে মন তারে করে কষাঘাত! জীর্ণমজ্জা কাপুরুষে নারী যদি গ্রাহ্য করে, লজ্জিত দেবতা তারে দুষে অসহ্য সে অপমানে। নারী সে-যে মহেন্দ্রের দান, এসেছে ধরিত্রীতলে পুরুষেরে সঁপিতে সম্মান।