আমার     সুরের সাধন রইল পড়ে।
       চেয়ে চেয়ে কাটল বেলা
                           কেমন করে।
       দেখি সকল অঙ্গ দিয়ে,
       কী যে দেখি বলব কী এ--
       গানের মতো চোখে বাজে
                           রূপের ঘোরে।
       সবুজ সুধা এই ধরণীর
              অঞ্জলিতে
       কেমন করে ওঠে ভরে
              আমার চিতে।
       আমার সকল ভাবনাগুলি
       ফুলের মতো নিল তুলি,
       আশ্বিনের ওই আঁচলখানি
                  গেল ভরে।

কাছের রাতি দেখিতে পাই
        মানা।
দূরের চাঁদ চিরদিনের
        জানা।

আরো চাই যে, আরো চাই গো-
            আরো যে চাই।
ভাণ্ডারী যে সুধা আমায়
            বিতরে নাই।
সকালবেলার আলোয় ভরা
এই যে আকাশ-বসুন্ধরা
এরে আমার জীবন-মাঝে
            কুড়ানো চাই--
সকল ধন যে বাইরে আমার,
            ভিতরে নাই।
ভাণ্ডারী যে সুধা আমায়
            বিতরে নাই।
প্রাণের বীণায় আরো আঘাত
            আরো যে চাই।
গুণীর পরশ পেয়ে সে যে
            শিহরে নাই।
দিন-রজনীর বাঁশি পুরে
যে গান বাজে অসীম সুরে,
তারে আমার প্রাণের তারে
            বাজানো চাই।
আপন গান যে দূরে তাহার
            নিয়ড়ে নাই।
গুণীর পরশ পেয়ে সে যে
            শিহরে নাই।