পুষ্প দিয়ে মার যারে চিনল না সে মরণকে। বাণ খেয়ে যে পড়ে, সে যে ধরে তোমার চরণকে। সবার নীচে ধুলার 'পরে ফেল যারে মৃত্যু-শরে সে যে তোমার কোলে পড়ে-- ভয় কী বা তার পড়নকে। আরামে যার আঘাত ঢাকা, কলঙ্ক যার সুগন্ধ, নয়ন মেলে দেখল না সে রুদ্র মুখের আনন্দ। মজল না সে চোখের জলে, পৌঁছল না চরণতলে, তিলে তিলে পলে পলে ম'ল যেজন পালঙ্কে।
দুঃখের বরষায় চক্ষের জল যেই নামল বক্ষের দরজায় বন্ধুর রথ সেই থামল। মিলনের পাত্রটি পূর্ণ যে বিচ্ছেদে বেদনায়; অর্পিনু হাতে তাঁর, খেদ নাই, আর মোর খেদ নাই। বহুদিন-বঞ্চিত অন্তরে সঞ্চিত কী আশা, চক্ষের নিমেষেই মিটল সে পরশের তিয়াষা। এতদিনে জানলেম যে কাঁদন কাঁদলেম সে কাহার জন্য। ধন্য এ জাগরণ, ধন্য এ ক্রন্দন, ধন্য রে ধন্য।