সভা যখন ভাঙবে তখন শেষের গান কি যাব গেয়ে। হয়তো তখন কণ্ঠহারা মুখের পানে রব চেয়ে। এখনো যে সুর লাগে নি বাজবে কি আর সেই রাগিণী, প্রেমের ব্যথা সোনার তানে সন্ধ্যাগগন ফেলবে ছেয়ে? এতদিন যে সেধেছি সুর দিনেরাতে আপন-মনে ভাগ্যে যদি সেই সাধনা সমাপ্ত হয় এই জীবনে-- এ জনমের পূর্ণ বাণী মানস-বনের পদ্মখানি ভাসাব শেষ সাগরপানে বিশ্বগানের ধারা বেয়ে।
ওরে মাঝি, ওরে আমার মানবজন্মতরীর মাঝি, শুনতে কি পাস দূরের থেকে পারের বাঁশি উঠছে বাজি। তরী কি তোর দিনের শেষে ঠেকবে এবার ঘাটে এসে। সেথায় সন্ধ্যা-অন্ধকারে দেয় কি দেখা প্রদীপরাজি। যেন আমার লাগছে মনে, মন্দমধুর এই পবনে সিন্ধুপারের হাসিটি কার আঁধার বেয়ে আসছে আজি। আসার বেলায় কুসুমগুলি কিছু এনেছিলেম তুলি, যেগুলি তার নবীন আছে এইবেলা নে সাজিয়ে সাজি।