আমি হব না তাপস, হব না, হব না, যেমনি বলুন যিনি। আমি হব না তাপস নিশ্চয় যদি না মেলে তপস্বিনী। আমি করেছি কঠিন পণ যদি না মিলে বকুলবন, যদি মনের মতন মন না পাই জিনি, তবে হব না তাপস, হব না, যদি না পাই সে তপস্বিনী। আমি ত্যজিব না ঘর, হব না বাহির উদাসীন সন্ন্যাসী, যদি ঘরের বাহিরে না হাসে কেহই ভুবন-ভুলানো হাসি। যদি না উড়ে নীলাঞ্চল মধুর বাতাসে বিচঞ্চল, যদি না বাজে কাঁকন মল রিনিক-ঝিনি-- আমি হব না তাপস, হব না, যদি না পাই গো তপস্বিনী। আমি হব না তাপস, তোমার শপথ, যদি সে তপের বলে কোনো নূতন ভুবন না পারি গড়িতে নূতন হৃদয়-তলে। যদি জাগায়ে বীণার তার কারো টুটিয়া মরম-দ্বার, কোনো নূতন আঁখির ঠার না লই চিনি আমি হব না তাপস, হব না, হব না, না পেলে তপস্বিনী।
বহু লক্ষ বর্ষ ধরে জ্বলে তারা, ধাবমান অন্ধকার কালস্রোতে অগ্নির আবর্ত ঘুরে ওঠে। সেই স্রোতে এ ধরণী মাটির বুদ্বুদ্; তারি মধ্যে এই প্রাণ অণুতম কালে কণাতম শিখা লয়ে অসীমের করে সে আরতি। সে না হলে বিরাটের নিখিলমন্দিরে উঠত না শঙ্খধ্বনি, মিলত না যাত্রী কোনোজন, আলোকের সামমন্ত্র ভাষাহীন হয়ে রইত নীরব।