×
Home
Artists
Verses
Songs
Novels
Stories
Plays
Essays
Others
Login
Login
×
Login
Signup
Email
Password
Forgot your password?
Log in
Or Continue With
Login With
Name
Email
Password
Confirm Password
Register
Or Continue With
Signup With
Home
Verses
Stray Birds
Stray Birds
Stray Birds (THOU WILT find)
306
THOU WILT find. Eternal Traveller, marks of thy footsteps across my songs.
Rendition
Related Topics
নূতন
Verses
আমরা খেলা খেলেছিলেম,
আমরাও গান গেয়েছি;
আমরাও পাল মেলেছিলেম,
আমরা তরী বেয়েছি।
হারায় নি তা হারায় নি,
বৈতরণী পারায় নি,
নবীন আঁখির চপল আলোয়
সে কাল ফিরে পেয়েছি।
দূর রজনীর স্বপন লাগে
আজ নূতনের হাসিতে।
দূর ফাগুনের বেদন জাগে
আজ ফাগুনের বাঁশিতে।
হায় রে সেকাল, হায় রে
কখন্ চলে যায় রে
আজ একালের মরীচিকায়
নতুন মায়ায় ভাসিতে।
যে মহাকাল দিন ফুরালে
আমার কুসুম ঝরাল,
সেই তোমারি তরুণ ভালে
ফুলের মালা পরাল।
কইল শেষের কথা সে,
কাঁদিয়ে গেল হতাশে,
তোমার মাঝে নতুন সাজে
শূন্য আবার ভরাল।
আনলে ডেকে পথিক মোরে
তোমার প্রেমের আঙনে।
শুকনো ঝোরা দিল ভরে
এক পসলায় শাঙনে।
সন্ধ্যামেঘের কোনাতে
রক্তরাগের সোনাতে
শেষ নিমেষের বোঝাই দিয়ে
ভাসিয়ে দিলে ভাঙনে।
আরো দেখুন
ঘরছাড়া
Verses
তখন একটা রাত-- উঠেছে সে তড়বড়ি,
কাঁচা ঘুম ভেঙে। শিয়রেতে ঘড়ি
কর্কশ সংকেত দিল নির্মম ধ্বনিতে।
অঘ্রানের শীতে
এ বাসার মেয়াদের শেষে
যেতে হবে আত্মীয়পরশহীন দেশে
ক্ষমাহীন কর্তব্যের ডাকে।
পিছে পড়ে থাকে
এবারের মতো
ত্যাগযোগ্য গৃহসজ্জা যত।
জরাগ্রস্ত তক্তপোশ কালিমাখা-শতরঞ্চ-পাতা;
আরামকেদারা ভাঙা-হাতা;
পাশের শোবার ঘরে
হেলে-পড়া টিপয়ের 'পরে
পুরোনো আয়না দাগ-ধরা;
পোকা কাটা হিসাবের খাতা-ভরা
কাঠের সিন্দুক এক ধারে;
দেয়ালে-ঠেসান-দেওয়া সারে সারে
বহু বৎসরের পাঁজি;
কুলুঙ্গিতে অনাদৃত পূজার ফুলের জীর্ণ সাজি।
প্রদীপের স্তিমিত শিখায়
দেখা যায়,
ছায়াতে জড়িত তারা
স্তম্ভিত রয়েছে অর্থহারা।
ট্যাক্সি এল দ্বারে, দিল সাড়া
হুংকারপরুষরবে। নিদ্রায় গম্ভীর পাড়া
রহে উদাসীন।
প্রহরীশালায় দূরে বাজে সাড়ে-তিন।
শূন্যপানে চক্ষু মেলি
দীর্ঘশ্বাস ফেলি
দূরযাত্রী নাম নিল দেবতার,
তালা দিয়ে রুধিল দুয়ার।
টেনে নিয়ে অনিচ্ছুক দেহটিরে
দাঁড়ালো বাহিরে।
ঊর্ধ্বে কালো আকাশের ফাঁকা
ঝাঁট দিয়ে চলে গেল বাদুড়ের পাখা।
যেন সে নির্মম
অনিশ্চিত-পানে-ধাওয়া অদৃষ্টের প্রেতচ্ছায়াসম।
বৃদ্ধবট মন্দিরের ধারে,
অজগর-অন্ধকার গিলিয়াছে তারে।
সদ্য-মাটি-কাটা পুকুরের
পাড়ি-ধারে বাসা বাঁধা মজুরের
খেজুরের পাতা-ছাওয়া--ক্ষীণ আলো করে মিট্মিট্,
পাশে ভেঙে-পড়া পাঁজা। তলায় ছড়ানো তার ইঁট।
রজনীর মসীলিপ্তিমাঝে
লুপ্তরেখা সংসারের ছবি-- ধান-কাটা কাজে
সারাবেলা চাষীর ব্যস্ততা;
গলা-ধরাধরি কথা
মেয়েদের; ছুটি-পাওয়া
ছেলেদের ধেয়ে যাওয়া
হৈ হৈ রবে; হাটবারে ভোরবেলা
বস্তা-বহা গোরুটাকে তাড়া দিয়ে ঠেলা;
আঁকড়িয়া মহিষের গলা
ও পারে মাঠের পানে রাখাল ছেলের ভেসে চলা।
নিত্যজানা সংসারের প্রাণলীলা না উঠিতে ফুটে
যাত্রী লয়ে অন্ধকারে গাড়ি যায় ছুটে।
যেতে যেতে পথপাশে
পানাপুকুরের গন্ধ আসে,
সেই গন্ধে পায় মন
বহুদিনরজনীর সকরুণ স্নিগ্ধ আলিঙ্গন।
আঁকাবাঁকা গলি
রেলের স্টেশনপথে গেছে চলি;
দুই পাশে বাসা সারি সারি;
নরনারী
যে যাহার ঘরে
রহিল আরামশয্যা 'পরে।
নিবিড়-আঁধার-ঢালা আমবাগানের ফাঁকে
অসীমের টিকা দিয়া বরণ করিয়া স্তব্ধতাকে
শুকতারা দিল দেখা।
পথিক চলিল একা
অচেতন অসংখ্যের মাঝে।
সাথে সাথে জনশূন্য পথ দিয়ে বাজে
রথের চাকার শব্দ হদয়বিহীন ব্যস্ত সুরে
দূর হতে দূরে।
আরো দেখুন
38
Verses
ভেলার মতো বুকে টানি
কলমখানি
মন যে ভেসে চলে।
ঢেউয়ে ঢেউয়ে বেড়ায় দুলে
কূলে কূলে
স্রোতের কলকলে।
ভবের স্রোতের কলকলে।
এবার কেড়ে লও এ ভেলা
ঘুচাও খেলা
জলের কোলাহলে।
অধীর জলের কোলাহলে।
এবার তুমি ডুবাও তারে
একেবারে
রসের রসাতলে।
গভীর রসের রসাতলে।
আরো দেখুন
Please
Login
first to submit a rendition.
Click here
for help.