জানি দিন অবসান হবে, জানি তবু কিছু বাকি রবে। রজনীতে ঘুমহারা পাখি এক সুরে গাহিবে একাকী-- যে শুনিবে, যে রহিবে জাগি সে জানিবে, তারি নীড়হারা স্বপন খুঁজিছে সেই তারা যেথা প্রাণ হয়েছে বিবাগি। কিছু পরে করে যাবে চুপ ছায়াঘন স্বপনের রূপ। ঝরে যাবে আকাশকুসুম, তখন কূজনহীন ঘুম এক হবে রাত্রির সাথে। যে-গান স্বপনে নিল বাসা তার ক্ষীণ গুঞ্জন-ভাষা শেষ হবে সব-শেষ রাতে।
গোধূলিতে নামল আঁধার, ফুরিয়ে গেল বেলা, ঘরের মাঝে সাঙ্গ হল চেনা মুখের মেলা। দূরে তাকায় লক্ষ্যহারা নয়ন ছলোছলো, এবার তবে ঘরের প্রদীপ বাইরে নিয়ে চলো। মিলনরাতে সাক্ষী ছিল যারা আজো জ্বলে আকাশে সেই তারা। পাণ্ডু-আঁধার বিদায়রাতের শেষে যে তাকাত শিশিরসজল শূন্যতা-উদ্দেশে সেই তারকাই তেমনি চেয়েই আছে অস্তলোকের প্রান্তদ্বারের কাছে। অকারণে তাই এ প্রদীপ জ্বালাই আকাশ-পানে-- যেখান হতে স্বপ্ন নামে প্রাণে।