অর্ঘ্য সেন

আমার গোধূলিলগন

আমার গোধূলিলগন এল বুঝি কাছে গোধূলিলগন রে।
                   বিবাহের রঙে রাঙা হয়ে আসে সোনার গগন রে।
শেষ ক'রে দিল পাখি গান গাওয়া,   নদীর উপরে পড়ে এল হাওয়া;
          ও পারের তীর, ভাঙা মন্দির আঁধারে মগন রে।
                   আসিছে মধুর ঝিল্লিনূপুরে গোধূলিলগন রে ॥
আমার   দিন কেটে গেছে কখনো খেলায়, কখনো কত কী কাজে।
                   এখন কী শুনি পুরবীর সুরে কোন্‌ দূরে বাঁশি বাজে।
বুঝি দেরি নাই, আসে বুঝি আসে, আলোকের আভা লেগেছে আকাশে--
          বেলাশেষে মোরে কে সাজাবে, ওরে, নবমিলনের সাজে!
                   সারা হল কাজ, মিছে কেন আজ ডাক মোরে আর কাজে ॥
আমি   জানি যে আমার হয়ে গেছে গণা গোধূলিলগন রে।
                             ধূসর আলোকে মুদিবে নয়ন অস্তগগন রে।
তখন এ ঘরে কে খুলিবে দ্বার,   কে লইবে টানি বাহুটি আমার,
          আমায় কে জানে কী মন্ত্রে গানে করিবে মগন রে--
                   সব গান সেরে আসিবে যখন গোধূলিলগন রে ॥

রাগ : মিশ্র পূরবী

তাল : দাদরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ) : ২৯ পৌষ, ১৩১২

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ) : 1905

রচনাস্থান : শান্তিনিকেতন

স্বরলিপিকার: 1905

অর্ঘ্য সেন - অন্যান্য নিবেদন