প্রথম চিঠি
Stories
বধূর সঙ্গে তার প্রথম মিলন, আর তার পরেই সে এই প্রথম এসেছে প্রবাসে।
চলে যখন আসে তখন বধূর লুকিয়ে কান্নাটি ঘরের আয়নার মধ্যে দিয়ে চকিতে ওর চোখে পড়ল।
আরো দেখুন
আবার যদি ইচ্ছা কর
Verses
আবার যদি ইচ্ছা কর
          আবার আসি ফিরে
দুঃখসুখের-ঢেউ-খেলানো
          এই সাগরের তীরে।
আবার জলে ভাসাই ভেলা,
ধুলার 'পরে করি খেলা,
হাসির মায়ামৃগীর পিছে
          ভাসি নয়ন-নীরে।
কাঁটার পথে আঁধার রাতে
          আবার যাত্রা করি--
আঘাত খেয়ে বাঁচি কিম্বা
          আঘাত খেয়ে মরি।
আবার তুমি ছদ্মবেশে
আমার সাথে খেলাও হেসে,
নূতন প্রেমে ভালোবাসি
          আবার ধরণীরে।
আরো দেখুন
বিদূষক
Stories
কাঞ্চীর রাজা কর্ণাট জয় করতে গেলেন। তিনি হলেন জয়ী। চন্দনে, হাতির দাঁতে, আর সোনামানিকে হাতি বোঝাই হল।
দেশে ফেরবার পথে বলেশ্বরীর মন্দির বলির রক্তে ভাসিয়ে দিয়ে রাজা পুজো দিলেন।
আরো দেখুন
নীরব তন্ত্রী
Verses
"তোমার বীণায় সব তার বাজে,
  ওহে বীণকার,
তারি মাঝে কেন নীরব কেবল
  একখানি তার।'
ভবনদীতীরে হৃদিমন্দিরে
  দেবতা বিরাজে,
পূজা সমাপিয়া এসেছি ফিরিয়া
  আপনার কাজে।
বিদায়ের ক্ষণে শুধাল পূজারি,
  "দেবীরে কী দিলে?
তব জনমের শ্রেষ্ঠ কী ধন
  ছিল এ নিখিলে?'
কহিলাম আমি, সঁপিয়া এসেছি
  পূজা-উপহার
আমার বীণায় ছিল যে একটি
  সুবর্ণ-তার,
যে তারে আমার হৃদয়বনের
  যত মধুকর
ক্ষণেকে ক্ষণেকে ধ্বনিয়া তুলিত
  গুঞ্জনস্বর,
যে তারে আমার কোকিল গাহিত
  বসন্তগান
সেইখানি আমি দেবতাচরণে
  করিয়াছি দান।
তাই এ বীণায় বাজে না কেবল
  একখানি তার--
আছে তাহা শুধু মৌন মহৎ
  পূজা-উপহার।
আরো দেখুন
মুক্তি
Stories
বিরহিণী তার ফুলবাগানের এক ধারে বেদী সাজিয়ে তার উপর মূর্তি গড়তে বসল। তার মনের মধ্যে যে মানুষটি ছিল বাইরে তারই প্রতিরূপ প্রতিদিন একটু একটু করে গড়ে, আর চেয়ে চেয়ে দেখে, আর ভাবে, আর চোখ দিয়ে জল পড়ে।
কিন্তু, যে রূপটি একদিন তার চিত্তপটে স্পষ্ট ছিল তার উপরে ক্রমে যেন ছায়া পড়ে আসছে। রাতের বেলাকার পদ্মের মতো স্মৃতির পাপড়িগুলি অল্প অল্প করে যেন মুদে এল।
আরো দেখুন
93
Verses
   জীবনরহস্য যায়
মরণরহস্য-মাঝে নামি,
    মুখর দিনের আলো
নীরব নক্ষত্রে যায় থামি।
আরো দেখুন
চিত্রকর
Stories
ময়মনসিংহ ইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে আমাদের গোবিন্দ এল কলকাতায়। বিধবা মায়ের অল্প কিছু সম্বল ছিল। কিন্তু, সব-চেয়ে তার বড়ো সম্বল ছিল নিজের অবিচলিত সংকল্পের মধ্যে। সে ঠিক করেছিল, 'পয়সা' করবই, সমস্ত জীবন উৎসর্গ করে দিয়ে।' সর্বদাই তার ভাষায় ধনকে সে উল্লেখ করত 'পয়সা' বলে। অর্থাৎ, তার মনে খুব একটা দর্শন স্পর্শন ঘ্রাণের যোগ্য প্রত্যক্ষ পদার্থ ছিল; তার মধ্যে বড়ো নামের মোহ ছিল না; অত্যন্ত সাধারণ পয়সা, হাটে হাটে হাতে হাতে ঘুরে ঘুরে ক্ষয়ে যাওয়া, মলিন হয়ে যাওয়া পয়সা, তাম্রগন্ধী পয়সা, কুবেরের আদিম স্বরূপ, যা রুপোয় সোনায় কাগজে দলিলে নানা মূর্তি পরিগ্রহ করে মানুষের মনকে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে।
নানা বাঁকা পথের ভিতর দিয়ে নানা পঙ্কে আবিল হতে হতে আজ গোবিন্দ তার পয়সাপ্রবাহিণীর প্রশস্তধারার পাকা বাঁধানো ঘাটে এসে পৌঁচেছে। গানিব্যাগ্‌ওয়ালা বড়োসাহেব ম্যাক্‌ডুগালের বড়োবাবুর আসনে তার ধ্রুব প্রতিষ্ঠা। সবাই তাকে নাম দিয়েছিল ম্যাক্‌দুলাল।
আরো দেখুন
21
Verses
ON THAT NIGHT when the storm broke open my door.
I did not know that you entered my room through the ruins,
For the lamp was blown out, and it became dark;
I stretched my arms to the sky in search of help.
I lay on the dust waiting in the tumultuous dark and I knew not that storm was your own banner.
When the morning came I saw you standing upon the emptiness that was spread over my house.
আরো দেখুন