পট
Stories
যে শহরে অভিরাম দেবদেবীর পট আঁকে, সেখানে কারো কাছে তার পূর্বপরিচয় নেই। সবাই জানে, সে বিদেশী, পট আঁকা তার চিরদিনের ব্যাবসা।
সে মনে ভাবে, 'ধনী ছিলেম, ধন গিয়েছে, হয়েছে ভালো। দিনরাত দেবতার রূপ ভাবি, দেবতার প্রসাদে খাই, আর ঘরে ঘরে দেবতার প্রতিষ্ঠা করি। আমার এই মান কে কাড়তে পারে।'
আরো দেখুন
44
Verses
OUR VOYAGE is begun. Captain, we bow to thee!
The storm howls and the waves are wicked and wild, but we sail on.
The menace of danger waits in the way to yield to thee its
offerings of pain, and a voice in the heart of the tempest
cries: 'Come to conquer fear!'
Let us not linger to look back for the laggards, or benumb the
quickening hours with dread and doubt.
For thy time is our time and thy burden is our own and life and
death are but thy breath playing upon the eternal sea of Life.
Let us not wear our hearts away picking small help and taking
slow count of friends.
Let us know more than all else that thou art with us and we are
thine forever.
আরো দেখুন
মীনু
Stories
মীনু পশ্চিমে মানুষ হয়েছে। ছেলেবেলায় ইঁদারার ধারে তুঁতের গাছে লুকিয়ে ফল পাড়তে যেত; আর অড়রখেতে যে বুড়ো মালী ঘাস নিড়োত তার সঙ্গে ওর ছিল ভাব।
বড়ো হয়ে জৌনপুরে হল ওর বিয়ে। একটি ছেলে হয়ে মারা গেল, তার পরে ডাক্তার বললে, 'এও বাঁচে কি না-বাঁচে।'
আরো দেখুন
দিদি
Stories
পল্লীবাসিনী কোনো-এক হতভাগিনীর অন্যায়কারী অত্যাচারী স্বামীর দুষ্কৃতিসকল সবিস্তারে বর্ণনপূর্বক প্রতিবেশিনী তারা অত্যন্ত সংক্ষেপে নিজের রায় প্রকাশ করিয়া কহিল, 'এমন স্বামীর মুখে আগুন।'
শুনিয়া জয়গোপালবাবুর স্ত্রী শশী অত্যন্ত পীড়া অনুভব করিলেন-- স্বামীজাতির মুখে চুরটের আগুন ছাড়া অন্য কোনো প্রকার আগুন কোনো অবস্থাতেই কামনা করা স্ত্রীজাতিকে শোভা পায় না।
আরো দেখুন
উচ্ছৃঙ্খল
Verses
          এ মুখের পানে চাহিয়া রয়েছ
                কেন গো অমন করে?
তুমি    চিনিতে নারিবে, বুঝিতে নারিবে মোরে।
আমি    কেঁদেছি হেসেছি, ভালো যে বেসেছি
                এসেছি যেতেছি সরে
                কী জানি কিসের ঘোরে।
          কোথা হতে এত বেদনা বহিয়া
                এসেছে পরান মম।
          বিধাতার এক অর্থবিহীন
                প্রলাপবচন-সম।
          প্রতিদিন যারা আছে সুখে দুখে
                আমি তাহাদের নই--
আমি    এসেছি নিমেষে, যাইব নিমেষ বই।
আমি    আমারে চিনি নে, তোমারে জানি নে,
                আমার আলয় কই!
          জগৎ বেড়িয়া নিয়মের পাশ,
                অনিয়ম শুধু আমি।
          বাসা বেঁধে আছে কাছে কাছে সবে,
          কত কাজ করে কত কলরবে,
          চিরকাল ধরে দিবস চলিছে
                দিবসের অনুগামী--
শুধু     আমি নিজবেগ সামালিতে নারি
                ছুটেছি দিবসযামী।
          প্রতিদিন বহে মৃদু সমীরণ,
                প্রতিদিন ফুটে ফুল।
          ঝড় শুধু আসে ক্ষণেকের তরে
                সৃজনের এক ভুল--
          দুরন্ত সাধ কাতর বেদনা
                ফুকারিয়া উভরায়
          আঁধার হইতে আঁধারে ছুটিয়া যায়।
          এ আবেগ নিয়ে কার কাছে যাব,
                নিতে কে পারিবে মোরে!
          কে আমারে পারে আঁকড়ি রাখিতে
                দুখানি বাহুর ডোরে!
আমি          কেবল কাতর গীত!
          কেহ বা শুনিয়া ঘুমায় নিশীথে,
                কেহ জাগে চমকিত।
          কত-যে বেদনা সে কেহ বোঝে না,
                কত-যে আকুল আশা,
          কত-যে তীব্র পিপাসাকাতর ভাষা।
ওগো         তোমরা জগৎবাসী,
          তোমাদের আছে বরষ বরষ
                দরশ-পরশ-রাশি--
          আমার কেবল একটি নিমেষ,
                তারি তরে ধেয়ে আসি।
          মহাসুন্দর একটি নিমেষ
                ফুটেছে কাননশেষে,
আমি    তারি পানে ধাই, ছিঁড়ে নিতে চাই,
          ব্যাকুল বাসনা-সংগীত গাই
          অসীমকালের আঁধার হইতে
                বাহির হইয়া এসে।
শুধু     একটি মুখের এক নিমেষের
                একটি মধুর কথা,
          তারি তরে বহি চিরদিবসের
                চিরমনোব্যাকুলতা।
          কালের কাননে নিমেষ লুটিয়া
                কে জানে চলেছি কোথা!
ওগো,  মিটে না তাহাতে মিটে না প্রাণের ব্যথা।
                অধিক সময় নাই।
          ঝড়ের জীবন ছুটে চলে যায়
                শুধু কেঁদে "চাই চাই"--
          যার কাছে আসি তার কাছে শুধু
                হাহাকার রেখে যাই।
          ওগো, তবে থাক্‌, যে যায় সে যাক--
                তোমরা দিয়ো না ধরা।
                আমি চলে যাব ত্বরা।
মোরে   কেহ কোরো ভয়, কেহ কোরো ঘৃণা,
                ক্ষমা কোরো যদি পারো!
          বিস্মিত চোখে ক্ষণেক চাহিয়া
                তার পরে পথ ছাড়ো!
          তার পরদিনে উঠিবে প্রভাত,
                ফুটিবে কুসুম কত,
          নিয়মে চলিবে নিখিল জগৎ
                প্রতিদিবসের মতো।
          কোথাকার এই শৃঙ্খল-ছেঁড়া
                সৃষ্টি-ছাড়া এ ব্যথা
          কাঁদিয়া কাঁদিয়া গাহিয়া গাহিয়া,
          অজানা আঁধার-সাগর বাহিয়া,
                মিশায়ে যাইবে কোথা!
          এক রজনীর প্রহরের মাঝে
                ফুরাবে সকল কথা।
আরো দেখুন
রথযাত্রা
Stories
রথযাত্রার দিন কাছে।
তাই রানী রাজাকে বললে, 'চলো, রথ দেখতে যাই।'
আরো দেখুন
কৃতঘ্ন শোক
Stories
ভোরবেলায় সে বিদায় নিলে।
আমার মন আমাকে বোঝাতে বসল, 'সবই মায়া।'
আরো দেখুন
একরাত্রি
Stories
সুরবালার সঙ্গে একত্রে পাঠশালায় গিয়াছি, বউ-বউ খেলিয়াছি। তাহাদের বাড়িতে গেলে সুরবালার মা আমাকে বড় যত্ন করিতেন এবং আমাদের দুইজনকে একত্র করিয়া  আপনা-আপনি বলাবলি করিতেন,'আহা দুটিতে বেশ মানায়।'
ছোট ছিলাম কিন্তু কথাটার অর্থ একরকম বুঝতে পারিতাম। সুরবালার প্রতি যে সর্বসাধারণের অপেক্ষা আমার কিছু বিশেষ দাবি ছিল, সে ধারণা আমার মনে বদ্ধমূল হইয়া গিয়াছিল। সেই অধিকারমদে মত্ত হইয়া তাহার প্রতি যে আমি শাসন এবং উপদ্রব না করিতাম তাহা নহে। সেও সহিষ্ণুভাবে আমার সকলরকম  ফরমাশ খাটিত এবং শাস্তি বহন করিত। পাড়ায় তাহার রূপের প্রশংসা ছিল, কিন্তু বর্বর বালকের চক্ষে সে সৌন্দর্যের কোনো গৌরব ছিল না-- আমি কেবল জানিতাম, সুরবালা আমারই প্রভুত্ব স্বীকার করিবার জন্য পিতৃগৃহে জন্মগ্রহণ করিয়াছিল, এইজন্য সে আমার বিশেষরূপ অবহেলার পাত্র।
আরো দেখুন
274
Verses
LIGHT IN MY heart the evening star of rest and then let the night whisper to me of love.
আরো দেখুন
চিত্রকর
Stories
ময়মনসিংহ ইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করে আমাদের গোবিন্দ এল কলকাতায়। বিধবা মায়ের অল্প কিছু সম্বল ছিল। কিন্তু, সব-চেয়ে তার বড়ো সম্বল ছিল নিজের অবিচলিত সংকল্পের মধ্যে। সে ঠিক করেছিল, 'পয়সা' করবই, সমস্ত জীবন উৎসর্গ করে দিয়ে।' সর্বদাই তার ভাষায় ধনকে সে উল্লেখ করত 'পয়সা' বলে। অর্থাৎ, তার মনে খুব একটা দর্শন স্পর্শন ঘ্রাণের যোগ্য প্রত্যক্ষ পদার্থ ছিল; তার মধ্যে বড়ো নামের মোহ ছিল না; অত্যন্ত সাধারণ পয়সা, হাটে হাটে হাতে হাতে ঘুরে ঘুরে ক্ষয়ে যাওয়া, মলিন হয়ে যাওয়া পয়সা, তাম্রগন্ধী পয়সা, কুবেরের আদিম স্বরূপ, যা রুপোয় সোনায় কাগজে দলিলে নানা মূর্তি পরিগ্রহ করে মানুষের মনকে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে।
নানা বাঁকা পথের ভিতর দিয়ে নানা পঙ্কে আবিল হতে হতে আজ গোবিন্দ তার পয়সাপ্রবাহিণীর প্রশস্তধারার পাকা বাঁধানো ঘাটে এসে পৌঁচেছে। গানিব্যাগ্‌ওয়ালা বড়োসাহেব ম্যাক্‌ডুগালের বড়োবাবুর আসনে তার ধ্রুব প্রতিষ্ঠা। সবাই তাকে নাম দিয়েছিল ম্যাক্‌দুলাল।
আরো দেখুন
শেষ পুরস্কার
Stories
সেদিন আই.এ. এবং ম্যাট্রিক ক্লাসের পুরস্কারবিতরণের উৎসব। বিমলা ব'লে এক ছাত্রী ছিল, সুন্দরী ব'লে তার খ্যাতি। তারই হাতে পুরস্কারের ভার। চার দিকে তার ভিড় জমেছে আর তার মনে অহংকার জমে উঠেছে খুব প্রচুর পরিমাণে। একটি মুখচোরা ভালোমানুষ ছেলে কোণে দাঁড়িয়ে ছিল। সাহস করে একটু কাছে এল যেই, দেখা গেল তার পায়ে হয়েছে ঘা, ময়লা কাপড়ের ব্যাণ্ডেজ জড়ানো। তাকে দেখে বিমলা নাক তুলে বললে, 'ও এখানে কেন বাপু, ওর যাওয়া উচিত হাসপাতালে।'
ছেলেটি মন-মরা হয়ে আস্তে আস্তে চলে গেল। বাড়িতে গিয়ে তার স্কুলঘরের কোণে বসে কাঁদছে, জলখাবারের থালা হাতে তার দিদি এসে বললে, 'ও কী হচ্ছে জগদীশ, কাঁদছিস কেন।'
আরো দেখুন