প্রতিহিংসা
Stories
মুকুন্দবাবুদের ভূতপূর্ব দেওয়ানের পৌত্রী, বর্তমান ম্যানেজারের স্ত্রী ইন্দ্রাণী অশুভক্ষণে বাবুদের বাড়িতে তাঁহাদের দৌহিত্রের বিবাহে বউভাতের নিমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন।
তৎপূর্বকার ইতিহাস সংক্ষেপে বলিয়া রাখিলে কথাটা পরিষ্কার হইবে।
আরো দেখুন
সমাপ্তি
Stories
অপূর্বকৃষ্ণ বি. এ. পাস করিয়া কলিকাতা হইতে দেশে ফিরিয়া আসিতেছেন।
নদীটি ক্ষুদ্র। বর্ষা অন্তে প্রায় শুকাইয়া যায়। এখন শ্রাবণের শেষে জলে ভরিয়া উঠিয়া একেবারে গ্রামের বেড়া ও বাঁশঝাড়ের তলদেশ চুম্বন করিয়া চলিয়াছে।
আরো দেখুন
বিপাশা
Verses
মায়ামৃগী, নাই বা তুমি
          পড়লে প্রেমের ফাঁদে।
ফাগুন-রাতে চোরা মেঘে
          নাই হরিল চাঁদে।
বাঁধন-কাটা ভাব্‌না তোমার
          হাওয়ায় পাখা মেলে,
দেহমনে চঞ্চলতার
          নিত্য যে ঢেউ খেলে।
ঝরনা-ধারার মতো সদাই
          মুক্ত তোমার গতি,
নাই বা নিলে তটের শরণ
          তায় বা কিসের ক্ষতি।
শরৎপ্রাতের মেঘ যে তুমি
          শুভ্র আলোয় ধোওয়া,
একটুখানি অরুণ-আভার
          সোনার-হাসি-ছোঁওয়া।
শূন্য পথে মনোরথে
          ফেরো আকাশ-পার,
বুকের মাঝে নাই বহিলে
          অশ্রুজলের ভার।
এমনি করেই যাও খেলে যাও
          অকারণের খেলা,
ছুটির স্রোতে যাক-না ভেসে
          হালকা খুশির ভেলা।
পথে চাওয়ার ক্লান্তি কেন
          নামবে আঁখির পাতে,
কাছের সোহাগ ছাড়বে কেন
          দূরের দুরাশাতে।
তোমার পায়ের নূপুরখানি
          বাজাক নিত্যকাল
অশোকবনের চিকন পাতার
          চমক-আলোর তাল।
রাতের গায়ে পুলক দিয়ে
          জোনাক যেমন জ্বলে
তেমনি তোমার খেয়ালগুলি
          উড়ুক স্বপন-তলে।
যারা তোমার সঙ্গ-কাঙাল
          বাইরে বেড়ায় ঘুরে--
ভিড় যেন না করে তোমার
          মনের অন্তঃপুরে।
সরোবরের পদ্ম তুমি,
          আপন চারি দিকে
মেলে রেখো তরল জলের
          সরল বিঘ্নটিকে।
গন্ধ তোমার হোক-না সবার,
          মনে রেখো তবু
বৃন্ত যেন চুরির ছুরি
          নাগাল না পায় কভু।
আমার কথা শুধাও যদি--
          চাবার তরেই চাই,
পাবার তরে চিত্তে আমার
          ভাব্‌ না কিছুই নাই।
তোমার পানে নিবিড় টানের
          বেদন-ভরা সুখ
মনকে আমার রাখে যেন
          নিয়ত উৎসুক।
চাই না তোমায় ধরতে আমি
          মোর বাসনায় ঢেকে,
আকাশ থেকেই গান গেয়ে যাও--
          নয় খাঁচাটার থেকে।
আরো দেখুন
নামঞ্জুর গল্প
Stories
আমাদের আসর জমেছিল পোলিটিক্যাল লঙ্কাকাণ্ডের পালায়। হাল আমলের উত্তরকাণ্ডে আমরা সম্পূর্ণ ছুটি পাই নি বটে, কিন্তু গলা ভেঙেছে; তা ছাড়া সেই অগ্নিদাহের খেলা বন্ধ।
বঙ্গভঙ্গের রঙ্গভূমিতে বিদ্রোহীর অভিনয় শুরু হল। সবাই জানেন, এই নাট্যের পঞ্চম অঙ্কের দৃশ্য আলিপুর পেরিয়ে পৌঁছল আণ্ডামানের সমুদ্রকূলে। পারানির পাথেয় আমার যথেষ্ট ছিল, তবু গ্রহের গুণে এপারের হাজতেই আমার ভোগসমাপ্তি। সহযোগীদের মধ্যে ফাঁসিকাঠ পর্যন্ত যাদের সর্বোচ্চ প্রোমোশন হয়েছিল, তাদের প্রণাম করে আমি পশ্চিমের এক শহরের কোণে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় পসার জমিয়ে তুললেম।
আরো দেখুন
ইচ্ছাপূরণ
Stories
সুবলচন্দ্রের ছেলেটির নাম সুশীলচন্দ্র। কিন্তু সকল সময়ে নামের মতো মানুষটি হয় না। সেইজন্যই সুবলচন্দ্র কিছু দুর্বল ছিলেন এবং সুশীলচন্দ্র বড়ো শান্ত ছিলেন না।
ছেলেটি পাড়াসুদ্ধ লোককে অস্থির করিয়া বেড়াইত, সেইজন্য বাপ মাঝে মাঝে শাসন করিতে ছুটিতেন; কিন্তু বাপের পায়ে ছিল বাত, আর ছেলেটি হরিণের মতো দৌড়িতে পারিত; কাজেই কিল চড়-চাপড় সকল সময় ঠিক জায়গায় গিয়া পড়িত না। কিন্তু সুশীলচন্দ্র দৈবাৎ যেদিন ধরা পড়িতেন সেদিন তাঁহার আর রক্ষা থাকিত না।
আরো দেখুন
রথযাত্রা
Stories
রথযাত্রার দিন কাছে।
তাই রানী রাজাকে বললে, 'চলো, রথ দেখতে যাই।'
আরো দেখুন
অধ্যাপক
Stories
কলেজে আমার সহপাঠীসম্প্রদায়ের মধ্যে আমার একটু বিশেষ প্রতিপত্তি ছিল। সকলেই আমাকে সকল বিষয়েই সমজদার বলিয়া মনে করিত।
ইহার প্রধান কারণ, ভুল হউক আর ঠিক হউক, সকল বিষয়েই আমার একটা মতামত ছিল। অধিকাংশ লোকেই হাঁ এবং না জোর করিয়া বলিতে পারে না, আমি সেটা খুব বলিতাম।
আরো দেখুন
71
Verses
শান্তা, তুমি শান্তিনাশের ভয় দেখালে মোরে,
সই-করা নাম করবে আদায় ঝগড়া করার জোরে?
এই তো দেখি বঁটি হাতে শিউলিতলায় যাওয়া
আপনি যে ফুল ঝরিয়ে দিল শরৎপ্রাতের হাওয়া।
আরো দেখুন
অধরা মাধুরী ধরেছি
Songs
অধরা মাধুরী ধরেছি ছন্দোবন্ধনে।
     ও যে   সুদূর প্রাতের পাখি
          গাহে   সুদূর রাতের গান॥
              বিগত বসন্তের অশোকরক্তরাগে ওর   রঙিন পাখা,
                   তারি ঝরা ফুলের গন্ধ ওর   অন্তরে ঢাকা ॥
ওগো বিদেশিনী,
     তুমি ডাকো ওরে নাম ধরে,
              ও যে   তোমারি চেনা।
     তোমারি দেশের আকাশ ও যে জানে,   তোমার রাতের তারা,
              তোমারি বকুলবনের গানে ও দেয় সাড়া--
                   নাচে   তোমারি কঙ্কণেরই তালে॥
আরো দেখুন
বাচস্পতি
Stories
দাদামশায়, তুমি তোমার চার দিকে যেসব পাগলের দল জমিয়েছিলে, গুণ হিসেব ক'রে তাদের বুঝি সব নম্বর দিয়ে রেখেছিলে?
হ্যাঁ, তা করতে হয়েছে বই-কি। কম তো জমে নি।
আরো দেখুন