পুত্রযজ্ঞ
Stories
বৈদ্যনাথ গ্রামের মধ্যে বিজ্ঞ ছিলেন সেইজন্য তিনি ভবিষ্যতের দিকে দৃষ্টি রাখিয়া বর্তমানের সমস্ত কাজ করিতেন। যখন বিবাহ করিলেন তখন তিনি বর্তমান নববধূর অপেক্ষা ভাবী নবকুমারের মুখ স্পষ্টতররূপে দেখিতে পাইয়াছিলেন। শুভদৃষ্টির সময় এতটা দূরদৃষ্টি প্রায় দেখা যায় না। তিনি পাকা লোক ছিলেন সেইজন্য প্রেমের চেয়ে পিণ্ডটাকেই অধিক বুঝিতেন এবং পুত্রার্থে ক্রিয়তে ভার্যা এই মর্মেই তিনি বিনোদিনীকে বিবাহ করিয়াছিলেন।
কিন্তু এ সংসারে বিজ্ঞ লোকও ঠকে। যৌবনপ্রাপ্ত হইয়াও যখন বিনোদিনী তাহার সর্বপ্রধান কর্তব্যটি পালন করিল না তখন পুন্নাম নরকের দ্বারা খোলা দেখিয়া বৈদ্যনাথ বড়ো চিন্তিত হইলেন। মৃত্যুর পরে তাঁহার বিপুল ঐশ্বর্যই বা কে ভোগ করিবে এই ভাবনায় মৃত্যুর পূর্বে তিনি সেই ঐশ্বর্য ভোগ করিতে বিমুখ হইলেন। পূর্বেই বলিয়াছি, বর্তমানের অপেক্ষা ভবিষ্যৎটাকেই তিনি সত্য বলিয়া জানিতেন।
আরো দেখুন
Sleep-Stealer
Verses
WHO STOLE sleep from baby's eyes? I must know.
Clasping her pitcher to her waist mother went to fetch water from
the village near by.
It was noon. The children's playtime was over; the ducks in the pond were silent.
The shepherd boy lay asleep under the shadow of the banyan tree.
The crane stood grave and still in the swamp near the mango grove.
In the meanwhile the Sleepstealer came and, snatching sleep from
baby's eyes, flew away.
When mother came back she found baby travelling the room over on all fours.
Who stole sleep from our baby's eyes? I must know. I must find her and chain her up.
I must look into that dark cave, where, through boulders and scowling stones, trickles a tiny stream.
I must search in the drowsy shade of the bakula grove, where pigeons coo in their corner, and fairies' anklets tinkle in the stillness of starry nights.
In the evening I will peep into the whispering silence of the bamboo forest, where fireflies squander their light, and will ask every creature I meet, 'Can anybody tell me where the Sleep-stealer lives?'
Who stole sleep from baby's eyes? I must know.
Shouldn't I give her a good lesson if I could only catch her!
I would raid her nest and see where she hoards all her stolen sleep.
I would plunder it all, and carry it home.
I would bind her two wings securely, set her on the bank of the river, and then let her play at fishing with a reed among the rushes and water-lilies.
When the marketing is over in the evening, and the village children sit in their mothers' laps, then the night birds will mockingly din her ears with:
'Whose sleep will you steal now?'
আরো দেখুন
ভাইফোঁটা
Stories
শ্রাবণ মাসটা আজ যেন এক রাত্রে একেবারে দেউলে হইয়া গেছে। সমস্ত আকাশে কোথাও একটা ছেঁড়া মেঘের টুকরোও নাই।
আশ্চর্য এই যে, আমার সকালটা আজ এমন করিয়া কাটিতেছে। আমার বাগানের মেহেদি-বেড়ার প্রান্তে শিরীষগাছের পাতাগুলো ঝল্‌মল্‌ করিয়া উঠিতেছে, আমি তাহা তাকাইয়া দেখিতেছি। সর্বনাশের যে মাঝ-দরিয়ায় আসিয়া পৌঁছিয়াছি এটা যখন দূরে ছিল তখন ইহার কথা কল্পনা করিয়া কত শীতের রাত্রে সর্বাঙ্গে ঘাম দিয়াছে,কত গ্রীষ্মের দিনে হাত-পায়ের তেলো ঠাণ্ডা হিম হইয়া গেছে। কিন্তু আজ সমস্ত ভয়ভাবনা হইতে এমনি ছুটি পাইয়াছি যে, ঐ যে আতাগাছের ডালে একটা গিরগিটি স্থির হইয়া শিকার লক্ষ্য করিতেছে,সেটার দিকেও আমার চোখ রহিয়াছে।
আরো দেখুন
প্রথম শোক
Stories
বনের ছায়াতে যে পথটি ছিল সে আজ ঘাসে ঢাকা।
সেই নির্জনে হঠাৎ পিছন থেকে কে বলে উঠল, 'আমাকে চিনতে পার না?'
আরো দেখুন
যজ্ঞেশ্বরের যজ্ঞ
Stories
এক সময় যজ্ঞেশ্বরের অবস্থা ভালোই ছিল। এখন প্রাচীন ভাঙা কোঠাবাড়িটাকে সাপব্যাঙ-বাদুড়ের হস্তে সমর্পণ করিয়া খোড়ো ঘরে ভগবদগীতা লইয়া কালযাপন করিতেছেন।
এগারো বৎসর পূর্বে তাঁহার মেয়েটি যখন জন্মিয়াছিল তখন বংশের সৌভাগ্যশশী কৃষ্ণপক্ষের শেষকলায় আসিয়া ঠেকিয়াছে। সেইজন্য সাধ করিয়া মেয়ের নাম রাখিয়াছিলেন কমলা। ভাবিয়াছিলেন, যদি এই কৌশলে ফাঁকি দিয়া চঞ্চলা লক্ষ্মীকে কন্যারূপে ঘরে ধরিয়া রাখিতে পারেন। লক্ষ্মী সে ফন্দিতে ধরা দিলেন না, কিন্তু মেয়েটির মুখে নিজের শ্রী রাখিয়া গেলেন। বড়ো সুন্দরী মেয়ে।
আরো দেখুন
মুক্তি
Stories
বিরহিণী তার ফুলবাগানের এক ধারে বেদী সাজিয়ে তার উপর মূর্তি গড়তে বসল। তার মনের মধ্যে যে মানুষটি ছিল বাইরে তারই প্রতিরূপ প্রতিদিন একটু একটু করে গড়ে, আর চেয়ে চেয়ে দেখে, আর ভাবে, আর চোখ দিয়ে জল পড়ে।
কিন্তু, যে রূপটি একদিন তার চিত্তপটে স্পষ্ট ছিল তার উপরে ক্রমে যেন ছায়া পড়ে আসছে। রাতের বেলাকার পদ্মের মতো স্মৃতির পাপড়িগুলি অল্প অল্প করে যেন মুদে এল।
আরো দেখুন
দৃষ্টিদান
Stories
শুনিয়াছি, আজকাল অনেক বাঙালির মেয়েকে নিজের চেষ্টায় স্বামী সংগ্রহ করিতে হয়। আমিও তাই করিয়াছি, কিন্তু দেবতার সহায়তায়। আমি ছেলেবেলা হইতে অনেক ব্রত এবং অনেক শিবপূজা করিয়াছিলাম।
আমার আটবৎসর বয়স উত্তীর্ণ না হইতেই বিবাহ হইয়া গিয়াছিল। কিন্তু পূর্বজন্মের পাপবশত আমি আমার এমন স্বামী পাইয়াও সম্পূর্ণ পাইলাম না। মা ত্রিনয়নী আমার দুইচক্ষু লইলেন। জীবনের শেষমুহূর্ত পর্যন্ত স্বামীকে দেখিয়া লইবার সুখ দিলেন না।
আরো দেখুন
রাসমণির ছেলে
Stories
কালীপদর মা ছিলেন রাসমণি-- কিন্তু তাঁহাকে দায়ে পড়িয়া বাপের পদ গ্রহণ করিতে হইয়াছিল। কারণ, বাপ মা উভয়েই মা হইয়া উঠিলে ছেলের পক্ষে সুবিধা হয় না। তাঁহার স্বামী ভবানীচরণ ছেলেকে একেবারেই শাসন করিতে পারেন না।
তিনি কেন এত বেশি আদর দেন তাহা জিজ্ঞাসা করিলে তিনি যে উত্তর দিয়া থাকেন তাহা বুঝিতে হইলে পূর্ব ইতিহাস জানা চাই।
আরো দেখুন
32
Verses
MY KING WAS unknown to me, therefore when he claimed his tribute I was bold to think I would hide myself leaving my debts unpaid.
I fled and fled behind my day's work and my night's dreams.
But his claims followed me at every breath I drew.
Thus I came to know that I am known to him and no place left which is mine.
Now I wish to lay my all before his feet, and gain the right to my place in his kingdom.
আরো দেখুন
11
Verses
              হে মোর সুন্দর,
                    যেতে যেতে
              পথের প্রমোদে মেতে
              যখন তোমার গায়
                     কারা সবে ধুলা দিয়ে যায়,
                            আমার অন্তর
                                   করে হায় হয়।
              কেঁদে বলি, হে মোর সুন্দর,
                    আজ তুমি হও দণ্ডধর,
                           করহ বিচার।
                    তার পরে দেখি,
                            এ কী,
                  খোলা তব বিচারঘরের দ্বার,
                       নিত্য চলে তোমার বিচার।
                       নীরবে প্রভাত-আলো পড়ে
                   তাদের কলুষরক্ত নয়নের 'পরে;
                       শুভ্র বনমল্লিকার বাস
                   স্পর্শ করে লালসার উদ্দীপ্ত নিশ্বাস;
              সন্ধ্যাতাপসীর হাতে জ্বালা
                    সপ্তর্ষির পূজাদীপমালা
              তাদের মত্ততাপানে সারারাত্রি চায়--
                            হে সুন্দর, তব গায়
                                   ধুলা দিয়ে যারা চলে যায়।
                            হে সুন্দর,
                       তোমার বিচারঘর
                            পুষ্পবনে,
                            পুণ্যসমীরণে,
                       তৃণপুঞ্জে পতঙ্গগুঞ্জনে,
              বসন্তের বিহঙ্গকূজনে,
          তরঙ্গচুম্বিত তীরে মর্মরিত পল্লববীজনে।
                              প্রেমিক আমার,
          তারা যে নির্দয় ঘোর, তাদের যে আবেগ দুর্বার।
              লুকায়ে ফেরে যে তারা করিতে হরণ
                            তব আভরণ,
                            সাজাবারে
                        আপনার নগ্ন বাসনারে।
     তাদের আঘাত যবে প্রেমের সর্বাঙ্গে বাজে,
          সহিতে সে পারি না যে;
              অশ্রু-আঁখি
          তোমারে কাঁদিয়া ডাকি--
              খড়গ ধরো, প্রেমিক আমার,
                     করো গো বিচার।
                            তার পরে দেখি
                                  এ কী,
                            কোথা তব বিচার-আগার।
                           জননীর স্নেহ-অশ্রু ঝরে
                                   তাদের উগ্রতা-'পরে;
                            প্রণয়ীর অসীম বিশ্বাস
     তাদের বিদ্রোহশেল ক্ষতবক্ষে করি লয় গ্রাস।
                            প্রেমিক আমার,
          তোমার সে বিচার-আগার
         বিনিদ্র স্নেহের স্তব্ধ নিঃশব্দ বেদনামাঝে,
                            সতীর পবিত্র লাজে,
              সখার হৃদয়রক্তপাতে,
          পথ-চাওয়া  প্রণয়ের বিচ্ছেদের রাতে,
     অশ্রুপ্লুত করুণার পরিপূর্ণ ক্ষমার প্রভাতে।
                            হে রুদ্র আমার,
          লুব্ধ তারা, মুগ্ধ তারা, হয়ে পার
                            তব সিংহদ্বার,
                            সংগোপনে
                          বিনা নিমন্ত্রণে
          সিঁধ কেটে চুরি করে তোমার ভাণ্ডার।
              চোরা ধন দুর্বহ সে ভার
                  পলে পলে
              তাহাদের র্মম দলে,
                   সাধ্য নাহি রহে নামাবার।
     তোমারে কাঁদিয়া তবে কহি বারম্বার--
     এদের মার্জনা করো, হে রুদ্র আমার।
              চেয়ে দেখি মার্জনা যে নামে এসে
                     প্রচণ্ড ঝঞ্ঝার বেশে;
                            সেই ঝড়ে
                     ধুলায় তাহারা পড়ে;
              চুরির প্রকাণ্ড বোঝা খণ্ড খণ্ড হয়ে
                         সে-বাতাসে কোথা যায় বয়ে।
                            হে রুদ্র আমার,
                            মার্জনা তোমার
                          গর্জমান বজ্রাগ্নিশিখায়,
                          সুর্যাস্তের প্রলয়লিখায়,
                            রক্তের বর্ষণে,
                    অকস্মাৎ সংঘাতের ঘর্ষণে ঘর্ষণে।
আরো দেখুন