যেতে যেতে চায় না যেতে
Verses
যেতে যেতে চায় না যেতে
                ফিরে ফিরে চায়,
সবাই মিলে পথে চলা
                 হল আমার দায়।
দুয়ার ধরে দাঁড়িয়ে থাকে,
দেয় না সাড়া হাজার ডাকে--
বাঁধন এদের সাধন-ধন,
                ছিঁড়তে যে ভয় পায়।
আবেশভরে ধুলায় প'ড়ে
               কতই করে ছল,
যখন বেলা যাবে চলে
              ফেলবে আঁখিজল।
নাই ভরসা, নাই যে সাহস,
চিত্ত অবশ, চরণ অলস--
লতার মতো জড়িয়ে ধরে
               আপন বেদনায়।
আরো দেখুন
The Victory
Stories
SHE WAS THE Princess Ajita. And the court poet of King Narayan had never seen her. On the day he recited a new poem to the king he would raise his voice just to that pitch which could be heard by unseen hearers in the screened balcony high above the hall. He sent up his song towards the star-land out of his reach, where, circled with light, the planet who ruled his destiny shone unknown and out of ken.
He would espy some shadow moving behind the veil. A tinkling sound would come to his ear from afar, and would set him dreaming of the ankles whose tiny golden bells sang at each step. Ah, the rosy red tender feet that walked the dust of the earth like God's mercy on the fallen! The poet had placed them on the altar of his heart, where he wove his songs to the tune of those golden bells. Doubt never arose in his mind as to whose shadow it was that moved behind the screen, and whose anklets they were that sang to the time of his beating heart.
আরো দেখুন
হালদারগোষ্ঠী
Stories
এই পরিবারটির মধ্যে কোনোরকমের গোল বাধিবার কোনো সংগত কারণ ছিল না। অবস্থাও সচ্ছল, মানুষগুলিও কেহই মন্দ নহে, কিন্তু তবুও গোল বাধিল।
কেননা, সংগত কারণেই যদি মানুষের সব-কিছু ঘটিত তবে তো লোকালয়টা একটা অঙ্কের খাতার মতো হইত, একটু সাবধানে চলিলেই হিসাবে কোথাও কোনো ভুল ঘটিত না; যদি বা ঘটিত সেটাকে রবার দিয়া মুছিয়া সংশোধন করিলেই চলিয়া যাইত।
আরো দেখুন
ঘরে বাইরে
Novels
মা গো, আজ মনে পড়ছে তোমার সেই সিঁথের সিঁদুর, চওড়া সেই লাল-পেড়ে শাড়ি, সেই তোমার দুটি চোখ-- শান্ত, স্নিগ্ধ, গভীর। সে যে দেখেছি আমার চিত্তাকাশে ভোরবেলাকার অরুণরাগরেখার মতো। আমার জীবনের দিন যে সেই সোনার পাথেয় নিয়ে যাত্রা করে বেরিয়েছিল। তার পরে? পথে কালো মেঘ কি ডাকাতের মতো ছুটে এল? সেই আমার আলোর সম্বল কি এক কণাও রাখল না? কিন্তু জীবনের ব্রাহ্মমুহূর্তে সেই-যে উষাসতীর দান, দুর্যোগে সে ঢাকা পড়ে, তবু সে কি নষ্ট হবার?
আমাদের দেশে তাকেই বলে সুন্দর যার বর্ণ গৌর। কিন্তু যে আকাশ আলো দেয় সে যে নীল। আমার মায়ের বর্ণ ছিল শামলা, তাঁর দীপ্তি ছিল পুণ্যের। তাঁর রূপ রূপের গর্বকে লজ্জা দিত।
এসো পাপ, এসো সুন্দরী!
তব চুম্বন-অগ্নি-মদিরা রক্তে ফিরুক সঞ্চরি।
অকল্যাণের বাজুক শঙ্খ,
ললাটে, লেপিয়া দাও কলঙ্ক,
নির্লাজ কালো কলুষপঙ্ক
    বুকে দাও প্রলয়ংকরী!
      রাই আমার    চলে যেতে ঢলে পড়ে।
               অগাধ জলের মকর যেমন,
                         ও তার    চিটে চিনি জ্ঞান নেই!
ভরা বাদর, মাহ ভাদর,
শূন্য মন্দির মোর!
ভরা বাদর, মাহ ভাদর,
শূন্য মন্দির মোর!
ভরা বাদর, মাহ ভাদর,
শূন্য মন্দির মোর!
ভরা বাদর, মাহ ভাদর,
শূন্য মন্দির মোর!
বিদ্যাপতি কহে কৈসে গোয়াঁয়বি
হরি বিনে দিনরাতিয়া?
আমার নিকড়িয়া রসের রসিক কানন ঘুরে ঘুরে
      নিকড়িয়া বাঁশের বাঁশি বাজায় মোহন সুরে।
আমার ঘর বলে, তুই কোথায় যাবি,
বাইরে গিয়ে সব খোয়াবি--
আমার প্রাণ বলে, তোর যা আছে সব
যাক-না উড়ে পুড়ে।
ওগো,যায় যদি তো যাক-না চুকে,
সব হারাব হাসিমুখে,
আমি এই চলেছি মরণসুধা
নিতে পরান পূরে।
ওগো, আপন যারা কাছে টানে
এ রস তারা কেই বা জানে,
আমার বাঁকা পথের বাঁকা সে যে
ডাক দিয়েছে দূরে।
এবার বাঁকার টানে সোজার বোঝা
পড়ুক ভেঙে-চুরে।
যখন দেখা দাও নি, রাধা, তখন বেজেছিল বাঁশি।
এখন চোখে চোখে চেয়ে সুর যে আমার গেল ভাসি।
তখন নানা তানের ছলে
ডাক ফিরেছে জলে স্থলে,
এখন আমার সকল কাঁদা রাধার রূপে উঠল হাসি।
বঁধুর লাগি কেশে আমি পরব এমন ফুল
স্বর্গে মর্তে তিন ভুবনে নাইকো যাহার মূল।
বাঁশির ধ্বনি হাওয়ায় ভাসে,
সবার কানে বাজবে না সে--
দেখ্‌ লো চেয়ে যমুনা ওই ছাপিয়ে গেল কূল।
She should never have looked at me,
If she meant I should not love her!
There are plenty... men you call such,
I suppose... she may discover
All her soul to, if she pleases,
And yet leave much as she found them:
But I'm not so, and she knew it
When she fixed me, glancing round them.
আমায় ভালো বাসবে না সে এই যদি তার ছিল জানা,
তবে কি তার উচিত ছিল আমার-পানে দৃষ্টি হানা?
তেমন-তেমন অনেক মানুষ আছে তো এই ধরাধামে
(যদিচ ভাই, আমি তাদের গণি নেকো মানুষ নামে)--
যাদের কাছে সে যদি তার খুলে দিত প্রাণের ঢাকা,
তবু তারা রইত খাড়া যেমন ছিল তেমনি ফাঁকা।
আমি তো নই তাদের মতন সে কথা সে জানত মনে
যখন মোরে বাঁধল ধ'রে বিদ্ধ ক'রে নয়নকোণে।
মধুঋতু নিত্য হয়ে রইল তোমার মধুর দেশে।
যাওয়া-আসার কান্নাহাসি হাওয়ায় সেথা বেড়ায় ভেসে।
যার যে জনা সেই শুধু যায়, ফুল ফোটা তো ফুরোয় না হায়--
ঝরবে যে ফুল সেই কেবলি ঝরে পড়ে বেলাশেষে।
যখন আমি ছিলেম কাছে তখন কত দিয়েছি গান;
এখন আমার দূরে যাওয়া, এরও কি গো নাই কোনো দান?
পুষ্পবনের ছায়ায় ঢেকে এই আশা তাই গেলেম রেখে--
আগুন-ভরা ফাগুনকে তোর কাঁদায় যেন আষাঢ় এসে॥
আরো দেখুন
হৈমন্তী
Stories
কন্যার বাপ সবুর করিতে পারিতেন, কিন্তু বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না। তিনি দেখিলেন,মেয়েটির বিবাহের বয়স পার হইয়া গেছে, কিন্তু আর কিছুদিন গেলে সেটাকে ভদ্র বা অভদ্র কোনো রকমে চাপা দিবার সময়টাও পার হইয়া যাইবে। মেয়ের বয়স অবৈধ রকমে বাড়িয়া গেছে বটে, কিন্তু পণের টাকার আপেক্ষিক গুরুত্ব এখনো তাহার চেয়ে কিঞ্চিৎ উপরে আছে, সেইজন্যই তাড়া।
আমি ছিলাম বর। সুতরাং, বিবাহসম্বন্ধে আমার মত যাচাই করা অনাবশ্যক ছিল। আমার কাজ আমি করিয়াছি, এফ.এ. পাস করিয়া বৃত্তি পাইয়াছি। তাই প্রজাপতির দুই পক্ষ, কন্যাপক্ষ ও বরপক্ষ ঘন ঘন বিচলিত হইয়া উঠিল।
আরো দেখুন
সাঁওতাল মেয়ে
Verses
যায় আসে সাঁওতাল মেয়ে
             শিমূলগাছের তলে কাঁকরবিছানো পথ বেয়ে।
        মোটা শাড়ি আঁট করে ঘিরে আছে তনু কালো দেহ।
                বিধাতার ভোলা-মন কারিগর কেহ
             কোন্‌ কালো পাখিটিরে গড়িতে গড়িতে
                 শ্রাবণের মেঘে ও তড়িতে
                      উপাদান খুঁজি
                 ওই নারী রচিয়াছে বুঝি।
                      ওর দুটি পাখা
                 ভিতরে অদৃশ্য আছে ঢাকা,
             লঘু পায়ে মিলে গেছে চলা আর ওড়া।
        নিটোল দু হাতে তার সাদারাঙা কয় জোড়া
                      গালা-ঢালা চুড়ি,
                 মাথায় মাটিতে-ভরা ঝুড়ি,
                 যাওয়া-আসা করে বারবার।
                   আঁচলে প্রান্ত তার
                      লাল রেখা দুলাইয়া
        পলাশের স্পর্শমায়া আকাশেতে দেয় বুলাইয়া।
                 পউষের পালা হল শেষ,
        উত্তর বাতাসে লাগে দক্ষিণের ক্বচিৎ আবেশ।
                 হিমঝুরি শাখা-'পরে
             চিকন চঞ্চল পাতা ঝলমল করে
                 শীতের রোদ্‌দুরে।
        পাণ্ডুনীল আকাশেতে চিল উড়ে যায় বহুদূরে।
             আমলকীলতা ছেয়ে খসে পড়ে ফল,
                 জোটে সেথা ছেলেদের দল।
        আঁকাবাঁকা বনপথে আলোছায়া-গাঁথা,
             অকস্মাৎ ঘুরে ঘুরে ওড়ে ঝরা পাতা
                 সচকিত হাওয়ার খেয়ালে।
                      ঝোপের আড়ালে
                 গলাফোলা গিরগিটি স্তব্ধ আছে ঘাসে।
        ঝুড়ি নিয়ে বারবার সাঁওতাল মেয়ে যায় আসে।
                 আমার মাটির ঘরখানা
আরম্ভ হয়েছে গড়া, মজুর জুটেছে তার নানা।
   ধীরে ধীরে ভিত তোলে গেঁথে
        রৌদ্রে পিঠ পেতে।
           মাঝে মাঝে
   সুদূরে রেলের বাঁশি বাজে;
প্রহর চলিয়া যায়, বেলা পড়ে আসে,
ঢং ঢং ঘন্টাধ্বনি জেগে ওঠে দিগন্ত-আকাশে।
        আমি দেখি চেয়ে,
ঈষৎ সংকোচে ভাবি--এ কিশোরী মেয়ে
পল্লীকোণে যে ঘরের তরে
করিয়াছে প্রস্ফুটিত দেহে ও অন্তরে
   নারীর সহজ শক্তি আত্মনিবেদনপরা
        শুশ্রূষার স্নিগ্ধসুধা-ভরা,
আমি তারে লাগিয়েছি কেনা কাজে করিতে মজুরি--
   মূল্যে যার অসম্মান সেই শক্তি করি চুরি
        পয়সার দিয়ে সিঁধকাঠি।
সাঁওতাল মেয়ে ওই ঝুড়ি ভরে নিয়ে আসে মাটি।
আরো দেখুন
মোদের যেমন খেলা
Songs
মোদের    যেমন খেলা তেমনি যে কাজ    জানিস নে কি ভাই।
        তাই    কাজকে কভু আমরা না ডরাই॥
খেলা মোদের লড়াই করা,        খেলা মোদের বাঁচা মরা,
            খেলা ছাড়া কিছুই কোথাও নাই॥
খেলতে খেলতে ফুটেছে ফুল,    খেলতে খেলতে ফল যে ফলে,
            খেলারই ঢেউ জলে স্থলে।
ভয়ের ভীষণ রক্তরাগে                খেলার আগুন যখন লাগে
            ভাঙাচোরা জ্ব'লে যে হয় ছাই॥
আরো দেখুন
সন্ধ্যা ও প্রভাত
Stories
এখানে নামল সন্ধ্যা। সূর্যদেব, কোন্‌ দেশে, কোন্‌ সমুদ্রপারে, তোমার প্রভাত হল।
অন্ধকারে এখানে কেঁপে উঠছে রজনীগন্ধা, বাসরঘরের দ্বারের কাছে অবগুণ্ঠিতা নববধূর মতো; কোন্‌খানে ফুটল ভোরবেলাকার কনকচাঁপা।
আরো দেখুন
চতুরঙ্গ
Novels
আমি পাড়াগাঁ হইতে কলিকাতায় আসিয়া কালেজে প্রবেশ করিলাম। শচীশ তখন বি. এ. ক্লাসে পড়িতেছে। আমাদের বয়স প্রায় সমান হইবে।
শচীশকে দেখিলে মনে হয় যেন একটা জ্যোতিষ্ক-- তার চোখ জ্বলিতেছে; তার লম্বা সরু আঙুলগুলি যেন আগুনের শিখা; তার গায়ের রঙ যেন রঙ নহে, তাহা আভা। শচীশকে যখন দেখিলাম অমনি যেন তার অন্তরাত্মাকে দেখিতে পাইলাম; তাই একমুহূর্তে তাহাকে ভালোবাসিলাম।
আরো দেখুন
185
Verses
THE CAPTIVE flower in the King's wreath
smiles bitterly when the Meadow-flower envies her.
আরো দেখুন
গিয়াছে সে দিন
Songs
গিয়াছে সে দিন যে দিন হৃদয়           রূপেরই মোহনে আছিল মাতি,
প্রাণের স্বপন আছিল যখন--          'প্রেম' 'প্রেম' শুধু দিবস-রাতি।
শান্তিময়ী আশা ফুটেছে এখন           হৃদয়-আকাশপটে,
জীবন আমার কোমল বিভায়           বিমল হয়েছে বটে,
বালককালের প্রেমের স্বপন           মধুর যেমন উজল যেমন
                   তেমন কিছুই আসিবে না --
                   তেমন কিছুই আসিবে না॥
    
সে দেবীপ্রতিমা নারিব ভুলিতে  প্রথম প্রণয়  আঁকিল যাহা,
স্মৃতিমরু মোর শ্যামল করিয়া   এখনো হৃদয়ে বিরাজে তাহা।
সে প্রতিমা সেই পরিমলসম       পলকে যা লয় পায়,
প্রভাতকালের স্বপন যেমন       পলকে মিশায়ে যায়
অলসপ্রবাহ জীবনে আমার        সে কিরণ কভু ভাসিবে না আর --
                   সে কিরণ কভু ভাসিবে না --
                   সে কিরণ কভু ভাসিবে না॥
আরো দেখুন
প্রাণমন
Stories
আমার জানলার সামনে রাঙা মাটির রাস্তা।
ওখান দিয়ে বোঝাই নিয়ে গোরুর গাড়ি চলে; সাঁওতাল মেয়ে খড়ের আঁটি মাথায় করে হাটে যায়, সন্ধ্যাবেলায় কলহাস্যে ঘরে ফেরে।
আরো দেখুন