চন্দনী
Stories
জানোই তো সেদিন কী কাণ্ড। একেবারে তলিয়ে গিয়েছিলেম আর-কি, কিন্তু তলায় কোথায় যে ফুটো হয়েছে তার কোনো খবর পাওয়া যায় নি। না মাথা ধরা, না মাথা ঘোরা, না গায়ে কোথাও ব্যথা, না পেটের মধ্যে একটুও খোঁচাখুঁচির তাগিদ। যমরাজার চরগুলি খবর আসার সব দরজাগুলো বন্ধ করে ফিস্‌ ফিস্‌ ক'রে মন্ত্রণা করছিল। এমন সুবিধে আর হয় না! ডাক্তারেরা কলকাতায় নব্বই মাইল দূরে। সেদিনকার এই অবস্থা।
সন্ধে হয়ে এসেছে। বারান্দায় বসে আছি। ঘন মেঘ ক'রে এল। বৃষ্টি হবে বুঝি। আমার সভাসদ্‌রা বললে, ঠাকুরদা, একসময় শুনেছি তুমি মুখে মুখে গল্প ব'লে শোনাতে, এখন শোনাও না কেন।
আরো দেখুন
পত্র
Verses
সৃষ্টি-প্রলয়ের তত্ত্ব
      লয়ে সদা আছ মত্ত,
           দৃষ্টি শুধু আকাশে ফিরিছে;
গ্রহতারকার পথে
      যাইতেছ মনোরথে,
           ছুটিছ উল্কার পিছে পিছে;
হাঁকায়ে দু-চারিজোড়া
      তাজা পক্ষিরাজ-ঘোড়া
           কলপনা গগনভেদিনী
তোমারে করিয়া সঙ্গী
      দেশকাল যায় লঙ্ঘি,
           কোথা প'ড়ে থাকে এ মেদিনী।
সেই তুমি ব্যোমচারী
      আকাশ-রবিরে ছাড়ি
           ধরার রবিরে কর মনে--
ছাড়িয়া নক্ষত্র গ্রহ
      একি আজ অনুগ্রহ
           জ্যোতির্হীন মর্তবাসী জনে।
ভুলেছ ভুলেছ কক্ষ,
      দূরবীন ভ্রষ্টলক্ষ্য,
           কোথা হতে কোথায় পতন।
ত্যজি দীপ্ত ছায়াপথে
      পড়িয়াছ কায়াপথে--
           মেদ-মাংস-মজ্জা-নিকেতন।
বিধি বড়ো অনুকূল,
      মাঝে মাঝে হয় ভুল,
           ভুল থাক্‌ জন্ম জন্ম বেঁচে--
তবু তো ক্ষণেকতরে
      ধুলিময় খেলাঘরে
           মাঝে মাঝে দেখা দাও কেঁচে।
তুমি অদ্য কাশীবাসী,
      সম্প্রতি লয়েছ আসি
           বাবা ভোলানাথের শরণ;
দিব্য নেশা জমে ওঠে,
      দু বেলা প্রসাদ জোটে,
           বিধিমতে ধূমোপকরণ।
জেগে উঠে মহানন্দ
      খুলে যায় ছন্দোবন্ধ,
           ছুটে যায় পেন্সিল উদ্দাম--
পরিপূর্ণ ভাবভরে
      লেফাফা ফাটিয়া পড়ে,
           বেড়ে যায় ইস্টাম্পের দাম।
আমার সে কর্ম নাস্তি,
      দারুণ দৈবের শাস্তি,
           শ্লেষ্মা-দেবী চেপেছেন বক্ষে--
সহজেই দম কম,
      তাহে লাগাইলে দম
           কিছুতে রবে না আর রক্ষে।
নাহি গান, নাহি বাঁশি,
      দিনরাত্রি শুধু কাশি,
           ছন্দ তাল কিছু নাহি তাহে;
নবরস কবিত্বের
      চিত্তে জমা ছিল ঢের,
           বহে গেল সর্দির প্রবাহে।
অতএব নমোনম,
      অধম অক্ষমে ক্ষম,
           ভঙ্গ আমি দিনু ছন্দরণে--
মগধে কলিঙ্গে গৌড়ে
      কল্পনার ঘোড়দৌড়ে
           কে বলো পারিবে তোমা-সনে।
আরো দেখুন
122
Verses
THE SKY TELLS its beads all night
on the countless stars
in memory of the sun.
আরো দেখুন
এ কী সুগন্ধহিল্লোল
Songs
          এ কী সুগন্ধহিল্লোল বহিল
আজি প্রভাতে, জগত মাতিল তায় ॥
হৃদয়মধুকর ধাইছে দিশি দিশি পাগলপ্রায় ॥
বরন-বরন পুষ্পরাজি    হৃদয় খুলিয়াছে আজি,
          সেই সুরভিসুধা করিছে পান
   পূরিয়া প্রাণ, সে সুধা করিছে দান--
          সে সুধা অনিলে উথলি যায় ॥
আরো দেখুন
আগমনী
Stories
আয়োজন চলেইছে। তার মাঝে একটুও ফাঁক পাওয়া যায় না যে ভেবে দেখি, কিসের আয়োজন।
তবুও কাজের ভিড়ের মধ্যে মনকে এক-একবার ঠেলা দিয়ে জিজ্ঞাসা করি, 'কেউ আসবে বুঝি?'
আরো দেখুন
পণরক্ষা
Stories
বংশীবদন তাহার ভাই রসিককে যেমন ভালোবাসিত এমন করিয়া সচরাচর মাও ছেলেকে ভালোবাসিতে পারে না। পাঠশালা হইতে রসিকের আসিতে যদি কিছু বিলম্ব হইত তবে সকল কাজ ফেলিয়া সে তাহার সন্ধানে ছুটিত। তাহাকে না খাওয়াইয়া সে নিজে খাইতে পারিত না। রসিকের অল্প কিছু অসুখবিসুখ হইলেই বংশীর দুই চোখ দিয়া ঝর্‌ঝর্‌ করিয়া জল ঝরিতে থাকিত।
রসিক বংশীর চেয়ে ষোলো বছরের ছোটো। মাঝে যে কয়টি ভাইবোন জন্মিয়াছিল সবগুলিই মারা গিয়াছে। কেবল এই সব-শেষেরটিকে রাখিয়া, যখন রসিকের এক বছর বয়স, তখন তাহার মা মারা গেল এবং রসিক যখন তিন বছরের ছেলে তখন সে পিতৃহীন হইল। এখন রসিককে মানুষ করিবার ভার একা এই বংশীর উপর।
আরো দেখুন
উৎসর্গ
Verses
শ্রীযুক্ত শ্রীশচন্দ্র মজুমদার
সুহৃৎকরকমলে
আরো দেখুন
The Patriot
Stories
I AM SURE that Chitragupta, who keeps strict record at the gate of Death, must have noted down in big letters accusations against me, which had escaped my attention altogether. On the other hand many of my sins, that have passed unnoticed by others, loom large in my own memory. The story of my transgression, that I am going to relate, belongs to the latter kind, and I hope that a frank confession of it, before it is finally entered in the Book of Doom, may lessen its culpability.
It all happened yesterday afternoon, on a day of festival for the Jains in our neighbourhood. I was going out with my wife, Kalika, to tea at the house of my friend Nayanmohan.
আরো দেখুন
দেনাপাওনা
Stories
পাঁচ ছেলের পর যখন এক কন্যা জন্মিল তখন বাপমায়ে অনেক আদর করিয়া তাহার নাম রাখিল নিরুপমা। এ গোষ্ঠীতে এমন শৌখিন নাম ইতিপূর্বে কখনো শোনা যায় নাই। প্রায় ঠাকুরদেবতার নামই প্রচলিত ছিল-- গণেশ, কার্তিক, পার্বতী, তাহার উদাহরণ।
এখন নিরুপমার বিবাহের প্রস্তাব চলিতেছে। তাহার পিতা রামসুন্দর মিত্র অনেক খোঁজ করেন কিন্তু পাত্র কিছুতেই মনের মতন হয় না। অবশেষে মস্ত এক রায়বাহাদুরের ঘরের একমাত্র ছেলেকে সন্ধান করিয়া বাহির করিয়াছেন। উক্ত রায়বাহাদুরের পৈতৃক বিষয়-আশয় যদিও অনেক হ্রাস হইয়া আসিয়াছে কিন্তু বনেদি ঘর বটে।
আরো দেখুন