জাগে নি এখনো জাগে নি
Songs
       জাগে নি এখনো জাগে নি
                  রসাতলবাসিনী নাগিনী।
                       বাজ্‌ বাজ্‌ বাজ্‌ বাঁশি, বাজ্‌ রে
                              মহাভীমপাতালী রাগিণী,
                                    জেগে ওঠ্‌ মায়াকালী নাগিনী--
                               ওরে মোর মন্ত্রে কান দে--
                      টান দে, টান দে, টান দে, টান দে।
                             বিষগর্জনে ওকে ডাক দে--
                       পাক দে, পাক দে, পাক দে,পাক দে।
                                গহ্বর হতে তুই বার হ,
                                     সপ্তসমুদ্র পার হ।
                                          বেঁধে তারে আন্‌ রে--
                                      টান্‌ রে, টান্‌ রে, টান্‌ রে, টান্‌ রে।
                                   নাগিনী জাগল, জাগল, জাগল--
                                 পাক দিতে ওই লাগল, লাগল, লাগল--
                            মায়াটান ওই টানল, টানল, টানল।
                            বেঁধে আনল, বেঁধে আনল, বেঁধে আনল॥
                      এইবার নৃত্যে করো আহ্বান--
                               ধর্‌ তোরা গান।
                      আয় তোরা যোগ দিবি আয়
                               যোগিনীর দল।
                         আয় তোরা আয়,
                            আয় তোরা আয়,
                              আয় তোরা আয়।
আরো দেখুন
উৎসর্গ
Stories
শেষ পারানির খেয়ায় তুমি
    দিনশেষের নেয়ে
আরো দেখুন
একটা আষাঢ়ে গল্প
Stories
দূর সমুদ্রের মধ্যে একটা দ্বীপ। সেখানে কেবল তাসের সাহেব, তাসের বিবি, টেক্কা এবং গোলামের বাস। দুরি তিরি হইতে নহলা-দহলা পর্যন্ত আরো অনেক-ঘর গৃহস্থ আছে কিন্তু তাহারা উচ্চজাতীয় নহে।
টেক্কা সাহেব গোলাম এই তিনটেই প্রধান বর্ণ, নহলা-দহলারা অন্ত্যজ-- তাহাদের সহিত এক পঙ্‌ক্তিতে বসিবার যোগ্য নহে।
আরো দেখুন
শেষ উপহার
Verses
আমি রাত্রি, তুমি ফুল। যতক্ষণ ছিলে কুঁড়ি
জাগিয়া চাহিয়া ছিনু আঁধার আকাশ জুড়ি
সমস্ত নক্ষত্র নিয়ে, তোমারে লুকায়ে বুকে।
যখন ফুটিলে তুমি সুন্দর তরুণ মুখে
তখনি প্রভাত এল, ফুরালো আমার কাল;
আলোকে ভাঙিয়া গেল রজনীর অন্তরাল।
এখন বিশ্বের তুমি; গুন্‌ গুন্‌ মধুকর
চারি দিকে তুলিয়াছে বিস্ময়ব্যাকুল স্বর;
গাহে পাখি, বহে বায়ু; প্রমোদহিল্লোলধারা
নবস্ফুট জীবনেরে করিতেছে দিশাহারা।
এত আলো, এত সুখ, এত গান, এত প্রাণ
ছিল না আমার কাছে, আমি করেছিনু দান
শুধু নিদ্রা, শুধু শান্তি, সযতন নীরবতা,
শুধু চেয়ে-থাকা আঁখি, শুধু মনে মনে কথা।
আর কি দিই নি কিছু? প্রলুব্ধ প্রভাত যবে
চাহিল তোমার পানে, শত পাখি শত রবে
ডাকিল তোমার নাম, তখন পড়িল ঝ'রে
আমার নয়ন হতে তোমার নয়ন-'পরে
একটি শিশিরকণা। চলে গেনু পরপার।
সেই বিষাদের বিন্দু, বিদায়ের উপহার
প্রখর প্রমোদ হতে রাখিবে শীতল ক'রে
তোমার তরুণ মুখ; রজনীর অশ্রু-'পরে
পড়ি প্রভাতের হাসি দিবে শোভা অনুপম,
বিকচ সৌন্দর্য তব করিবে সুন্দরতম।
আরো দেখুন
পরী
Stories
কুসমি বললে, তুমি বড্ড বানিয়ে কথা বল। একটা সত্যিকার গল্প শোনাও-না।
আমি বললুম, জগতে দুরকম পদার্থ আছে। এক হচ্ছে সত্য, আর হচ্ছে--আরও-সত্য। আমার কারবার আরও-সত্যকে নিয়ে।
আরো দেখুন
বেসুর
Verses
ভাগ্য তাহার ভুল করেছে-- প্রাণের তানপুরার
গানের সাথে মিল হল না, বেসুরো ঝংকার।
           এমন ত্রুটি ঘটল কিসে
           আপনিও তা বোঝে নি সে,
অভাব কোথাও নেই-যে কিছুই এই কি অভাব তার।
ঘরটাকে তার ছাড়িয়ে গেল ঘরেরই আসবাবে।
মনটাকে তার ঠাঁই দিল না ধনের প্রাদুর্ভাবে।
           যা চাই তারো অনেক বেশি
           ভিড় করে রয় ঘেঁষাষেঁষি,
সেই ব্যাঘাতের বিরুদ্ধে তাই বিদ্রোহ তার নাবে।
সব চেয়ে যা সহজ সেটাই দুর্লভ তার কাছে।
সেই সহজের মূর্তি যে তার বুকের মধ্যে আছে।
           সেই সহজের খেলাঘরে
           ওই যারা সব মেলা করে
দূর হতে ওর বদ্ধ জীবন সঙ্গ তাদের যাচে।
প্রাণের নিঝর স্বভাব-ধারায় বয় সকলের পানে,
সেটাই কি কেউ ফিরিয়ে দিল উলটো দিকের টানে।
           আত্মদানের রুদ্ধ বাণী
           বক্ষকপাট বেড়ায় হানি,
সঞ্চিত তার সুধা কি তাই ব্যথা জাগায় প্রাণে।
আপনি যেন আর কেহ সে এই লাগে তার মনে,
চেনা ঘরের অচল ভিতে কাটায় নির্বাসনে।
           বসন ভূষণ অঙ্গরাগে
           ছদ্মবেশের মতন লাগে,
তার আপনার ভাষা যে হায় কয় না আপন জনে।
আজকে তারে নিজের কাছে পর করেছে কা'রা,
আপন-মাঝে বিদেশে বাস হায় এ কেমনধারা।
           পরের খুশি দিয়ে সে যে
           তৈরি হল ঘ'ষে মেজে,
আপনাকে তাই খুঁজে বেড়ায় নিত্য আপন-হারা।
আরো দেখুন
নিয়ে আয় কৃপাণ
Songs
       নিয়ে আয় কৃপাণ। রয়েছে তৃষিতা শ্যামা মা ,
         শোণিত পিয়াও– যা ত্বরায়।
         লোল জিহ্বা লকলকে , তড়িত খেলে চোখে ,
         করিয়ে খণ্ড দিক দিগন্ত ঘোর দন্ত ভায়।।
আরো দেখুন
বড়ো খবর
Stories
কুসমি বললে, তুমি যে বললে এখনকার কালের বড়ো বড়ো সব খবর তুমি আমাকে শোনাবে, নইলে আমার শিক্ষা হবে কী রকম ক'রে, দাদামশায়।
দাদামশায় বললে, বড়ো খবরের ঝুলি বয়ে বেড়াবে কে বলো, তার মধ্যে যে বিস্তর রাবিশ।
আরো দেখুন
ল্যাবরেটরি
Stories
নন্দকিশোর ছিলেন লণ্ডন য়ুনিভার্সিটি থেকে পাস করা এঞ্জিনীয়ার। যাকে সাধুভাষায় বলা যেতে পারে দেদীপ্যমান ছাত্র অর্থাৎ ব্রিলিয়ান্ট, তিনি ছিলেন তাই। স্কুল থেকে আরম্ভ করে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষার তোরণে তোরণে ছিলেন পয়লা শ্রেণীর সওয়ারী।
ওঁর বুদ্ধি ছিল ফলাও, ওঁর প্রয়োজন ছিল দরাজ, কিন্তু ওঁর অর্থসম্বল ছিল আঁটমাপের।
আরো দেখুন
যজ্ঞেশ্বরের যজ্ঞ
Stories
এক সময় যজ্ঞেশ্বরের অবস্থা ভালোই ছিল। এখন প্রাচীন ভাঙা কোঠাবাড়িটাকে সাপব্যাঙ-বাদুড়ের হস্তে সমর্পণ করিয়া খোড়ো ঘরে ভগবদগীতা লইয়া কালযাপন করিতেছেন।
এগারো বৎসর পূর্বে তাঁহার মেয়েটি যখন জন্মিয়াছিল তখন বংশের সৌভাগ্যশশী কৃষ্ণপক্ষের শেষকলায় আসিয়া ঠেকিয়াছে। সেইজন্য সাধ করিয়া মেয়ের নাম রাখিয়াছিলেন কমলা। ভাবিয়াছিলেন, যদি এই কৌশলে ফাঁকি দিয়া চঞ্চলা লক্ষ্মীকে কন্যারূপে ঘরে ধরিয়া রাখিতে পারেন। লক্ষ্মী সে ফন্দিতে ধরা দিলেন না, কিন্তু মেয়েটির মুখে নিজের শ্রী রাখিয়া গেলেন। বড়ো সুন্দরী মেয়ে।
আরো দেখুন