সখী, ভাবনা কাহারে বলে। সখী, যাতনা কাহারে বলে । তোমরা যে বলো দিবস-রজনী ‘ভালোবাসা’ ‘ভালোবাসা’— সখী, ভালোবাসা কারে কয়! সে কি কেবলই যাতনাময় । সে কি কেবলই চোখের জল? সে কি কেবলই দুখের শ্বাস ? লোকে তবে করে কী সুখেরই তরে এমন দুখের আশ । আমার চোখে তো সকলই শোভন, সকলই নবীন, সকলই বিমল, সুনীল আকাশ, শ্যামল কানন, বিশদ জোছনা, কুসুম কোমল— সকলই আমার মতো । তারা কেবলই হাসে, কেবলই গায়, হাসিয়া খেলিয়া মরিতে চায়— না জানে বেদন, না জানে রোদন, না জানে সাধের যাতনা যত । ফুল সে হাসিতে হাসিতে ঝরে, জোছনা হাসিয়া মিলায়ে যায়, হাসিতে হাসিতে আলোকসাগরে আকাশের তারা তেয়াগে কায় । আমার মতন সুখী কে আছে। আয় সখী, আয় আমার কাছে— সুখী হৃদয়ের সুখের গান শুনিয়া তোদের জুড়াবে প্রাণ । প্রতিদিন যদি কাঁদিবি কেবল একদিন নয় হাসিবি তোরা— একদিন নয় বিষাদ ভুলিয়া সকলে মিলিয়া গাহিব মোরা।।